তাসকিনের ঘুম থেকে না ওঠা নিয়ে যা বললেন সাকিব

সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদ। ছবিটি বাংলাদেশ এবার টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে দলীয় ফটোসেশনের সময় তোলাপ্রথম আলো

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে ২৯ জুন। তবে বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টটা শেষ হয়ে গেছে আরও আগে। বার্বাডোজে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনালের আগে দেশেও ফিরে এসেছে দল। অনেকে তো এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলতে আবারও দেশ ছেড়ে গেছেন। যে তালিকায় সর্বশেষ যোগ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। মেজর লিগ ক্রিকেট খেলতে আজ বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন

তবে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বিতর্কের রেশ যেন এখনো কিছুটা রয়ে গেছে। বলতে পারেন, নতুন করেই বিতর্কটা আবার সামনে এসেছে অ্যান্টিগায় সুপার এইটে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দলের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদের এক ঘটনায়।

সংবাদমাধ্যমের খবর, সেদিন ঘুম থেকে উঠতে দেরি করেছিলেন তাসকিন। যে কারণে দলের সঙ্গে মাঠে যেতে পারেননি। আর এ জন্যই নাকি ভারত ম্যাচের একাদশে তাঁকে রাখা হয়নি। যদিও সেদিন ম্যাচ শুরুর আগে জাতীয় সংগীতের সময় দলের সঙ্গে দেখা গেছে তাসকিনকে।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে পারেননি তাসকিন। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে দল দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে তাসকিনের ছবিটি তোলা হয়
প্রথম আলো

যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে আজ বিমানবন্দরে সাকিবের কাছে জানতে চাইলে তিনিও বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। সেদিনের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে সাকিব বলেন, ‘ক্রিকেটে একটা নিয়ম আছে যে দলের বাস কারও জন্য অপেক্ষা করে না। যদি কেউ কখনো বাস মিস করে, তারা পরে গাড়ি নিয়ে মাঠে আসে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ট্রান্সপোর্টের সাপোর্টটা অনেক কঠিন ছিল। যখন তাসকিন পৌঁছেছিল (মাঠে), টস হওয়ার ৫-১০ মিনিট আগে। স্বাভাবিকভাবে কঠিন ছিল ওই সময় তাকে দলে নেওয়া। তাসকিন পরে এর জন্য দলের সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছে। দলের সবাইও বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে নিয়েছে। অনিচ্ছাকৃত ভুল সবারই হতে পারে। সে–ও এটা স্বীকার করেছে। তারপর ওখানেই এটা শেষ হয়ে গেছে।’

আরও পড়ুন

সংবাদমাধ্যমের খবর, দল হোটেল ছাড়ার সময় বারবার ফোন করেও তাসকিনকে পাওয়া যায়নি। তিনি তখন ঘুমাচ্ছিলেন। এ ক্ষেত্রে তাঁকে রুম থেকে ডেকে আনা যেত কি না, এমন এক প্রশ্নে সাকিবের উত্তর, ‘ক্রিকেটে এ রকম রীতি নেই যে কাউকে ঘর থেকে ডেকে আনবে। দল কখনোই কারও জন্য অপেক্ষা করে না। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে এমনও হয়েছে যে খেলোয়াড় দৌড়াচ্ছে, বাসের দরজা লেগে গেছে, বাস চলে যাচ্ছে। দলের বাস কখনো থামে না। একজনের জন্য পুরো দল থেমে থাকে না।’