না খেললেও ইসিবির কাছ থেকে মাসে ৯১ লাখ টাকা বেতন পাবেন বেয়ারস্টো
প্রথম টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন জনি বেয়ারস্টো। এবার ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলেও জায়গা হয়নি তাঁর। বাজে ফর্মের কারণে বাদ পড়া ৩৪ বছর বয়সী এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারই শেষ কি না, সে প্রশ্নও উঠে গেছে তাই।
বেয়ারস্টোর মতো সামনের মাসে হতে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজের দলে জায়গা হয়নি অলরাউন্ডার মঈন আলী ও ক্রিস জর্ডানেরও। এই তিনজনই সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ছিলেন। মঈন তো সীমিত ওভারের দলের সহ-অধিনায়কও।
বেয়ারস্টো ও মঈন—দুজনই আছেন ইসিবির (ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। সর্বশেষ গত অক্টোবরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ চলার সময় কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা ঘোষণা করে ইসিবি। প্রথমবারের মতো বিভিন্ন মেয়াদে চুক্তির আওতায় আনা হয় ক্রিকেটারদের।
সেখানে বেয়ারস্টো আছেন দুই বছরের চুক্তিতে। মানে ২০২৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকবেন তিনি। দ্য টাইমস জানিয়েছে, ইসিবির চুক্তি অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড়ের বিপক্ষে গুরুতর অসদাচরণের প্রমাণ পাওয়া না গেলে কাউকে চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া বা চুক্তির কোনো শ্রেণির অবনমন করানো যাবে না।
এর অর্থ, বেয়ারস্টো যদি সামনে কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আর না–ও খেলেন, আগামী বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ইসিবির বেতন পাবেন। মঈন অবশ্য আছেন এক বছরের চুক্তিতে, মানে সামনের অক্টোবরেই মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তাঁর। এমনিতেও অ্যাশেজের পর টেস্ট থেকে আবার অবসরে গেছেন মঈন।
দ্য টাইমস জানিয়েছে, ইসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সব সংস্করণের জন্য বিবেচিত হওয়ায় দুই বছরের চুক্তিতে প্রতি বছর প্রায় ৭ লাখ পাউন্ড বেতন পান বেয়ারস্টো। বাংলাদেশি টাকায় যেটি প্রায় ১১ কোটি ৭ লাখ টাকা। মানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেললেও প্রতি মাসে বেয়ারস্টোকে প্রায় ৯১ লাখ ৩১ হাজার টাকা বেতন দিতে হবে ইসিবিকে।
কেন্দ্রীয় চুক্তির ক্রিকেটারদের এমনিতে বেশ মোটা অঙ্কের বেতনই দিয়ে থাকে ইসিবি। সাধারণত ইংলিশ ক্রিকেটাররা আইপিএলের মতো লিগ থেকেও তাই সহজেই নিজেদের সরিয়ে নিতে পারেন। একই কথা প্রযোজ্য অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রেও।
সাধারণত কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের বার্ষিক বেতন কোনো বোর্ডই প্রকাশ করে না। তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, বিসিসিআইয়ের ঘোষিত সর্বশেষ কেন্দ্রীয় চুক্তির এ-প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকা রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, যশপ্রীত বুমরা ও রবীন্দ্র জাদেজা বছরে প্রায় ৭ কোটি রুপি বা প্রায় ১০ কোটি টাকা বেতন পান। মানে তাঁদের মাসিক বেতন দাঁড়ায় প্রায় ৮৩ লাখ টাকার বেশি। অবশ্য ম্যাচ ফি বা অন্যান্য ভাতা এর আওতায় পড়ে না। রোহিত, কোহলি ও জাদেজা—তিনজনই সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এ সংস্করণ থেকে অবসরে গেছেন।
এদিকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির সর্বশেষ তালিকায় শীর্ষ পর্যায়ে ছিলেন পাঁচজন—সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল হোসেন ও শরীফুল ইসলাম। অবশ্য তাঁদের বেতন ঠিক কত, তা নিশ্চিত নয়। এমনিতে ২০১৭ সালে প্রচলিত বেতনকাঠামো অনুযায়ী শীর্ষ স্তরের (তখনকার এ-প্লাস) ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা মাসিক ৪ লাখ টাকা করে পেতেন। এরপর ২০২১ সালে সেটি ১০-১২ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিসিবি।