জাতীয় লিগে বোলারদের দিন
মিরপুর, বগুড়া, রাজশাহী ও সিলেট—জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনে আজ সব ভেন্যুতেই ছিল বোলারদের দাপট। মিরপুরে ঢাকা মহানগরের পেসার শহিদুল ইসলাম ৪ উইকেট নিয়েছেন। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ঢাকার সুমন খানের শিকার ৫ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামও নিয়েছেন ৫ উইকেট। রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে স্বাগতিক রাজশাহীর ব্যাটিংয়ে ধস নামান বরিশালের এই স্পিনার। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে দাপট দেখিয়েছেন খুলনা বিভাগের বোলাররা।
মিরপুরে আজ আগে ব্যাট করা রংপুরকে মাত্র ৩৪.১ ওভারে অলআউট করেছে ঢাকা মহানগর। রংপুরের ১০ উইকেটের ৯টিই নিয়েছেন পেসাররা। শহিদুল সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন ২৫ রানে। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মানিক খান ও আবু হায়দার রনি। জবাবে মহানগরের ব্যাটিংও ভালো হয়নি। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৬১ রান করেছে তারা।
বগুড়ায় পেসের সামনে ধসে পড়েছে সিলেটের ব্যাটিংও। তারা অলআউট ২১২ রানে। ঢাকা বিভাগের দুই পেসার সুমন ও সালাউদ্দিন শাকিলই ৮ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। সর্বোচ্চ ৪৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন সুমন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি সুমনের চতুর্থ ৫ উইকেট। সিলেটের হয়ে অধিনায়ক জাকির হাসান একাই লড়াই করে গেছেন। প্রথম রাউন্ডে সেঞ্চুরির পর আজ তাঁর ব্যাট থেকে আসে ১৫৮ বলে ৮৫ রান। অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় জাকিরকে সঙ্গ দিয়েছেন রেজাউর রহমান (৩৫) ও আবু জায়েদ (৩৪)। ঢাকা তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৪ রান করেছে।
রাজশাহী তাদের ঘরের মাঠে সাব্বির রহমান (৫৭) ও মেহরব হোসেনের (৬৫) ফিফটিতে ২০৯ রান করেছে। বাঁহাতি স্পিনার তানভির এই মৌসুমে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ৫ উইকেট নিয়েছেন। আরেক স্পিনার সোহাগ গাজী নিয়েছেন ৪ উইকেট। বরিশাল দিন শেষে ১ উইকেটে ৩৪ রান করেছে।
সিলেটে চট্টগ্রাম বিভাগের ইনিংসও বড় হয়নি। ২৪২ রানে থেমেছে তাদের ইনিংস। শামীম হোসেন সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন, ইয়াসিন আরাফাত করেছেন ৪৭ রান। খুলনা দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ২০ রান নিয়ে।