শেষে এসে একটি জয় চান নিগাররা
২০১৪ সালের পর থেকেই নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়শূন্য বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত এ টুর্নামেন্টে তারা টানা ১৫টি ম্যাচ হেরেছে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার আগে একাধিক জয়ের লক্ষ্যের কথা শুনিয়েছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা।
কিন্তু প্রথম তিন ম্যাচে হেরেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। আজ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে তবু সান্ত্বনার জয় পাওয়ার আশা ছাড়ছেন না নিগার।
কেপটাউনের নিউল্যান্ডসের ম্যাচটি স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য কার্যত নকআউট—জিতলেই গ্রুপ ১ থেকে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী হবে স্বাগতিকেরা, হারলে উঠে যাবে নিউজিল্যান্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকার চাপে থাকার এই সুযোগটিই নিতে চান নিগার, ‘দলীয়ভাবেই ভালো করতে পারিনি আমরা। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স কিছু থাকার পরও হয়নি, এভাবে ম্যাচ জেতা আসলে কঠিন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা চাপে আছে। ভুল থেকে যদি শিখতে পারি, চাপহীন ক্রিকেট খেলতে পারি, তাহলে ভালো খেলতে পারব।’
টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের সবচেয়ে বড় সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আদতে সেভাবে লড়াই করতে পারেনি। নিগার দলগত পারফরম্যান্স না পাওয়াকে দুষলেও ব্যাটিংটাই যে বেশি ভুগিয়েছে, স্বীকার করে নিয়েছেন তা, ‘এসব উইকেটে ১৩০ বা ১৪০-এর বেশি করতে না পারলে ম্যাচ বের করা কঠিন। নিউজিল্যান্ড দুটি ম্যাচ জিতে আছে, শ্রীলঙ্কাও তাই। আমরা একটা জিতলে, (এ ম্যাচের আগে) আমাদেরও সুযোগ থাকত।’
সে সুযোগ না থাকলেও শেষটা জয় দিয়েই শেষ করতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘তবে অন্তত ভালো একটা কিছু নিয়ে, জয় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে সবার।’
সে জয়টা পেতে গেলে অবশ্য বাংলাদেশকে করতে হবে দারুণ কিছুই। এ সংস্করণে ২০১২ সালে দুই দলের প্রথম দেখায় দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল বাংলাদশ, তবে এরপর হেরেছে টানা ৯টি ম্যাচ। সর্বশেষ দুই দলের দেখা হয়েছিল ২০১৮ সালে।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের হয়ে আলো ছড়িয়েছেন তরুণ পেসার মারুফা আক্তার। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা স্বর্ণা আক্তারও সর্বশেষ ম্যাচে ঝলক দেখিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
দলে সিনিয়র ক্রিকেটাররা যেখানে সেভাবে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন, সেখানে স্বর্ণার মতো তরুণ ক্রিকেটারদের এ সংস্করণে আরও দরকার কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নিগার বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভালো করার জন্যই স্বর্ণাকে নেওয়া হয়েছে। আমরা কোনো চাপ দিইনি তাকে, প্রথম দুটি ম্যাচ একটু ধাতস্থ হতেই সময় লেগেছে। সে তরুণ হলেও পরিণত বলেই খেলছে। চাপহীন ক্রিকেট খেলার সুযোগ পুরো দল, ম্যানেজমেন্ট মিলে করে দিয়েছি ওর জন্য। এ কারণেই পারফর্ম করেছে। সিনিয়ররা হয়তো এবার ক্লিক করতে পারেনি সেভাবে। একটা টুর্নামেন্টের ভিত্তিতে কাউকে যাচাই করা ঠিক হবে না।’