ওয়ানডে নিয়ে ওয়াসিমের শঙ্কাকে পাত্তা দিচ্ছেন না বাট
ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রয়োজনীয়তা আছে নাকি নেই, অথবা ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ কী—ভবিষ্যতে এটা থাকবে নাকি টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মধ্যে চাপা পড়ে যাবে?
ক্রিকেট বিশ্বে এখন আলোচনার বড় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এটা। সাবেক ক্রিকেটার ওয়াসিম আকরাম, রবি শাস্ত্রীরা ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা বলেছেন। অন্যদিকে ভারতের অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন সম্প্রতি বলেছেন, তিনি এখন আর ওয়ানডে ক্রিকেট উপভোগ করেন না।
তাহলে কি সত্যিই ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ শঙ্কার মুখে? ওয়াসিম আকরাম শঙ্কা দেখলেও সেটা পাত্তা দিচ্ছেন না পাকিস্তানের আরেক সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট। ওয়াসিম কয় দিন আগে বলেছিলেন, ওয়ানডে ক্রিকেট এখন ঠেলেঠুলে চলছে। ওয়ানডে ক্রিকেট একপ্রকার ‘মারা যাচ্ছে’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন কিংবদন্তি পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার।
তিন সংস্করণ মিলিয়ে ঠাসা সূচির কারণে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের অধিনায়ক বেন স্টোকস। এরপর তো ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কার বিষয়টি আরও বেশি করে সামনে চলে এসেছে। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটের বেঁচে থাকার পক্ষে কথা বলার লোকও কম নেই। তাঁদের মধ্যে একজন সালমান বাট।
ওয়ানডে ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাট তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘খেলোয়াড়েরা নিজেদের ইচ্ছেমতো সংস্করণ বেছে নেবে। ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টির মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে টি-টোয়েন্টির লিগ আছে এবং এটাতে অর্থও বেশি। এ কারণে এটা খেলোয়াড়েরা ছাড়তে চায় না।’ বাট এরপর যোগ করেন, ‘ঠাসা সূচির কারণে কেউ যদি ক্লান্ত বোধ করে, তারা ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।’
স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে সাজা ভোগ করা বাটের ক্যারিয়ারটা খুব বেশি লম্বা হয়নি। সর্বশেষ ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ৩৩টি টেস্ট, ৭৮টি ওয়ানডের পাশাপাশি ২৪ টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।
তিন সংস্করণে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে তিনি বলেছেন, ‘ওয়ানডে সংস্করণ ক্রিকেটের একধরনের স্তম্ভ। আমি চাই না, এটা কখনো শেষ হয়ে যাক। এই সংস্করণে অনেক খেলোয়াড়েরই বড় বড় রেকর্ড আছে।’
ওয়ানডে ক্রিকেট নিয়ে ওয়াসিমের শঙ্কার বিষয়ে বাটের কথা, ‘আমি সবার মতামতকেই শ্রদ্ধা করি। ওয়াসিম ভাই আমাদের কিংবদন্তি। আমি তাঁর মতামতকে শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু তিনিও তো ওয়ানডে ক্রিকেটে ৫০০ উইকেট নিয়েছেন। বিশ্বকাপে তাঁর দুটি ডেলিভারি আছে, যেটা এখনো সবার মনে পড়ে। এমনটা টি-টোয়েন্টিতে দেখা যায় না।’