তাওহিদ হৃদয় এবং টেলএন্ডের ব্যাটসম্যানদের সুবাদে বাংলাদেশ ২৮৬ রান করলেও সেটি যে এমন উইকেটে যথেষ্ট ছিল না, সেটিই প্রমাণিত হলো। ২২ থেকে ৪৭—এই ২৬ ওভারে ৪.৩ হারে বাংলাদেশের রান এসেছে ১১২। এতেই বোঝা যায়, অসময়ে উইকেট হারানোর খেসারত দলকে কীভাবে দিতে হয়েছে। উইকেটে সহায়তা না থাকলে আমাদের স্পিনারদের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। শুধু পরিসংখ্যান নয়, বিভিন্ন কন্ডিশনে স্পিনারদের কার্যকারিতার ব্যাপারটাও ভেবে দেখা প্রয়োজন। দলীয় ফিল্ডিং এবং দেরিতে হলেও শেষ প্রচেষ্টাটি ভালো লেগেছে।
লিটন দাস ২/১০
দেখে মনে হচ্ছে, ভাগ্যও লিটনের পক্ষে নেই।
সৌম্য সরকার ৭/১০
দারুণ কিছু শট খেলেছে আজ। ফুটওয়ার্ক এবং শটের ওপর নিয়ন্ত্রণ দেখে ওর নিজের ওপর আস্থার ব্যাপারটা বোঝা যাচ্ছিল। সুযোগ ছিল বড় একটা ব্যক্তিগত স্কোর গড়ার, সঙ্গে মাঝের ওভারগুলোতেও কর্তৃত্ব বজায় রাখার। বোলিংটা সন্তোষজনক।
নাজমুল হোসেন ৫.৫/১০
শুরুতে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা পেলেও ওর ইনিংসটা ছিল দারুণ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। দ্রুত প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে সৌম্যকে থিতু হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। আউটও হয়েছে ভালো একটি বলে।
তাওহিদ হৃদয় ৯/১০
আজকের এই ইনিংস তাকে অন্য ধরনের তৃপ্তি দেবে। দলের প্রয়োজনে নিজেকে বদলে ফেলা এবং পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সামর্থ্য ওকে আরও আত্মবিশ্বাসী করবে। টেল এন্ডারদের নিয়ে জুটিগুলোতেও নিয়ন্ত্রণহীন মনে হয়নি। সেঞ্চুরি না হলেও অন্যতম সেরা একটি ইনিংস।
মাহমুদউল্লাহ ২/১০
সম্প্রতি তার ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ এমনই। সেটি বদলে ফেলারও কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না। তবে ইনিংসের একেবারে শুরুতেই ওর এই ইতিবাচক থাকার ব্যাপারটি প্রতিপক্ষের বোলারদের চোখ এড়িয়ে না যাওয়ারই কথা।
মুশফিকুর রহিম ৪.৫/১০
দারুণ স্বচ্ছন্দে ব্যাটিং করছিল। সুযোগ ছিল সেই সময়ের প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে খানিকটা পিছিয়ে পড়া দলকে নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করে ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার। ম্যাচের অবস্থা বিবেচনায় কিছুটা সফট ডিসমিসাল। উইকেটকিপিং অবশ্য নিখুঁত।
মেহেদী হাসান মিরাজ ৪.৫/১০
ম্যাচের অবস্থা বিবেচনায় এতটা ঝুঁকিপূর্ণ অপশনে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল না, এটা সে-ও নিশ্চয় আউট হওয়ার পরপরই উপলব্ধি করছে। দুজন থিতু ব্যাটসম্যানের বিপক্ষে বোলিং করা সহজ ছিল না।
তানজিম হাসান ৫/১০
চাপের মুখে সপ্তম উইকেট জুটিতে ইনিংসটিকে ধাতস্থ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছে। আজ নতুন বলে লাইন ও লেংথে বেশ ঘাটতি ছিল, তবে শেষের স্পেলে ভালো করেছে।
তাসকিন আহমেদ ৬.৫/১০
হৃদয়ের সঙ্গে ২৩ বলে ৫০ রানের জুটিতে দারুণ ভূমিকা রেখেছে। ওই জুটির কারণে বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তিতে ছিল। প্রথম বলেই উইকেট নিয়েছে এবং এরপরও নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে।
শরীফুল ইসলাম ৬/১০
শুরুতেই উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেললেও সেই চাপ অন্যরা বজায় রাখতে পারেনি। সুইং, বাউন্স, লাইন, লেংথ—সবকিছু মিলিয়ে ভালো বোলিং করেছে।
তাইজুল ইসলাম ২/১০
এ ম্যাচেও বোলিংয়ে যথেষ্ট ভুগতে দেখেছি।