সেই কনস্টাস কি তাহলে দল থেকে বাদ পড়ছেন
ভিন্ন এক সিরিজ, ভিন্ন এক প্রতিপক্ষ। তবে আলোচনায় সেই স্যাম কনস্টাস, এবার অবশ্য একটু অন্যভাবে।
বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফিতে দাপট দেখানো ১৯ বছর বয়সী ছেলেটিই গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবেন কি না, তা নিয়ে নানা কথাবার্তা হচ্ছে। অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের কথা শুনে মনে হচ্ছে, গলে অনুশীলন করেই হয়তো দিন কাটবে কনস্টাসের।
এমনিতে গলে কনস্টাসেরই খেলার কথা। মেলবোর্নে অভিষেক ইনিংসে ৬০ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন। সিডনিতে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, তবে ব্যাট হাতে তাঁর আক্রমণাত্মক মানসিকতা অস্ট্রেলিয়াকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রেখেছিল।
গলে কনস্টাসের না খেলার কারণ হতে পারে অস্ট্রেলিয়ার এক কৌশলী সিদ্ধান্ত। স্টিভ স্মিথ নিশ্চিত করেছেন, গলে ওপেনিংয়ে দেখা যাবে টেস্টে মিডল অর্ডারে অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা ট্রাভিস হেডকে। উসমান খাজার জায়গাও তো নিশ্চিত। তা হলে কনস্টাস আর খেলবেন কীভাবে?
আগামীকাল থেকে শুরু গল টেস্ট সামনে রেখে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্মিথ বলেছেন, ‘ট্রাভ ওপরে (ওপেনিংয়ে) যাবে, এ ছাড়া বাকি সব একই থাকবে। আমার মনে হয় না খুব বেশি পরিবর্তন হচ্ছে। ভারতে সে সুযোগ পেয়ে যে পারফরম্যান্স করেছে, তাতে নির্বাচকেরা সন্তুষ্ট। নতুন বলে চড়াও হয়ে সে দ্রুত রান তুলে শুরুতেই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলছিল। এখানেও আমি সেটাই ভাবছি।’
সরাসরি না বললেও কনস্টাসের আগামীকাল না খেলার ইঙ্গিতই আছে স্মিথের কথাতে, ‘ও যদি না খেলে, তাহলে অনেক অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে যাবে, উন্নতির জন্য যেটাও অনেক জরুরি। আমার ২০১৩ সালের ভারত সফরের কথা বলতে পারি, যে সিরিজের প্রথম দুটি টেস্টে আমি খেলিনি। নেট বোলারদের যে পরিমাণ বল আমি খেলেছি, তাতে অনেক কিছুতে আমি উন্নতি করতে পেরেছিলাম। ও খেলুক বা না খেলুক, এটা ওর জন্য দারুণ একটি অভিজ্ঞতা হবে। কনস্টাস অনেক কিছু শিখতে যাচ্ছে।’
অবশ্য ওপেনিংয়ে জায়গা না হলে কনস্টাসকে মিডল অর্ডারেও ভাবতে পারে অস্ট্রেলিয়া। যেখানে তাঁকে লড়তে হবে নাথান ম্যাকসুয়েনি ও জশ ইংলিসের সঙ্গে। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে প্রথম তিন টেস্ট খেলেছিলেন ম্যাকসুয়েনি। তাঁর ব্যর্থতাতেই সুযোগ মিলেছিল কনস্টাসের। আর ইংলিসের তো টেস্ট অভিষেকই হয়নি।