অ্যাশেজ নিয়ে ব্রডের অজুহাত ঠিকঠাক হলো তো—প্রশ্ন স্টার্কের
অ্যাশেজ বলে কথা, মাঠে নামার আগেই বাগ্যুদ্ধ শুরু হওয়াই স্বাভাবিক। জুনে এবারের অ্যাশেজ শুরুর আগে কথার লড়াইটা শুরু করেছেন ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। ডেইলি মেইলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্রড বলেছিলেন, সর্বশেষ অ্যশেজকে নাকি সত্যিকারের অ্যাশেজ হিসেবেই বিবেচনা করেন না।
এই কথা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের গায়ে লাগাই স্বাভাবিক। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ অ্যাশেজে যে ৪-০ ব্যবধানে জিতেছিল স্বাগতিকেরা। তাই ব্রডের কথার জবাব দিয়েছেন মিচেল স্টার্ক ও নাথান লায়ন।
সর্বশেষ অ্যাশেজ হয়েছে ২০২১-২২ মৌসুমে। ব্রডের দাবি, কোভিডের কারণে জৈব সুরক্ষাবলয় ও নানা বাধ্যবাধকতায় ওই সিরিজে লড়াইয়ের উপযুক্ত পরিবেশই ছিল না।
এই পেসার বলেছিলেন, ‘গত অ্যাশেজ সিরিজের চেয়ে কঠিন কিছু আর ছিল না। ট্রেনিংয়ের সুযোগ-সুবিধা, ভ্রমণ, সামাজিকতার সুযোগ না থাকা, সব মিলিয়ে কঠিন ছিল। সত্যি বলতে, আমি এটিকে সত্যিকারের অ্যাশেজ হিসেবে দেখি না। অ্যাশেজের অর্থ হলো, আবেগ নিয়ে অভিজাত এক লড়াই, যেখানে ক্রিকেটাররা নিজেদের সেরাটা দেবেন। কিন্তু ওই সিরিজে কোভিডের নানা বাধ্যবাধকতার কারণে উঁচু মানের পারফরম্যান্সের সুযোগ ছিল না।’
ইংল্যান্ডের বাজে পারফরম্যান্সের জন্য কোভিডের নানা বাধ্যবাধকতাকে দায়ী করা পছন্দ হয়নি অস্ট্রেলিয়ার পেসার স্টার্কের। অজুহাতটা ঠিকঠাক হলো কি না, সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে প্রশ্নও তুলেছেন এই পেসার, ‘সবচেয়ে হাস্যকর হচ্ছে, তারা এটাকে জৈব সুরক্ষাবলয় বলছে। এমন অভিজ্ঞতা আমার আরও সাতবার হয়েছে। তবে এটাই ছিল সবচেয়ে সহজ। পুল, জিম আর গোল্ড কোস্টে রিসোর্ট ছিল। তারা মেট্রিকন স্টেডিয়ামে (বর্তমান নাম হেরিটেজ ব্যাংক স্টেডিয়াম) অনুশীলন করেছে, রুমে বদ্ধ থাকতে হয়নি, পরিবারও সঙ্গে ছিল। এটা কি আসলেও জৈব সুরক্ষাবলয়? তাদের তো গলফ খেলারও সুযোগ ছিল। এটা কি ৪-০ হারার জন্য অজুহাত?’
অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার নাথান লায়ন মনে করছেন, সিরিজের আগে তাদের বিরক্ত করার জন্যই এমন কথা বলেছেন ব্রড। আজ সকালে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নাইনে লায়ন বলেছেন, ‘এটা অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ার ৪-০ ব্যবধানের জয়। দিন শেষে আমরা যা জিতেছি, তা নিয়ে কৃতজ্ঞ আর বিনয়ী থাকতে হবে, সেটা কোভিডের সময় হলেও। স্টুয়ার্ট কথাটা ভালো বলেনি, সম্ভবত সে আমাদের উসকে দিতে চাইছে।’
এবারের অ্যাশেজ হবে ইংল্যান্ডের মাটিতে। এজবাস্টন টেস্ট দিয়ে শুরু হবে আগামী ১৬ জুন আর শেষ ৩১ জুলাই।