শরীফুল-হাসানদের প্রশংসায় পাকিস্তানের ওপেনার সাঈম
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে প্রথম দিনে শুরুটা বাংলাদেশের। আরও সংক্ষিপ্ত করে বললে বাংলাদেশের দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও শরীফুল ইসলামের। ভেজা উইকেটের সুবিধা নিয়ে দুজনে মিলে ৯ ওভারের মধ্যেই তুলে নেন পাকিস্তানের ৩ উইকেট। হাসান ফিরিয়েছেন আবদুল্লাহ শফিককে, শরীফুলের শিকার শান মাসুদ ও বাবর আজম।
হাসান ও শরীফুলের দুর্দান্ত স্পেলে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের ফেরা অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখেছেন ওপেনার সাঈম আইয়ুব। ৫৬ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানকে টেনে তোলা এই ওপেনার দিন শেষে প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের পেসারদের।
গতকাল প্রথম দিনের খেলা শেষে সাঈম বলেছেন, ‘শুরুতে বাংলাদেশ দুর্দান্ত বোলিং করেছে। আমাদের জন্য কাজটা সহজ ছিল না। বাংলাদেশের বোলাররা কোনো সুযোগ দেয়নি। আমাদের নিজেদের পক্ষে সময় আসার আগপর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে, এরপর ম্যাচে ফিরেছি।’
১৬ রানে ৩ উইকেট হারানো পাকিস্তান সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায় সাঈম-সৌদ শাকিলের জুটিতে। চতুর্থ উইকেটে এ দুজন যোগ করেন ৯৮ রান। ৫৬ রান করা সাঈমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন হাসান। দিনের বাকি অংশে অবিচ্ছিন্ন থেকেছেন সৌদ শাকিল ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। শাকিল অপরাজিত ৫৭ রানে, রিজওয়ান ২৪ রানে।
সাঈম তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে না পারলেও তাঁর ইনিংসে বিপদ থেকে বেঁচেছে পাকিস্তান। সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান সাঈম কাল টিকে থাকার মানসিকতা নিয়ে ব্যাটিং করা প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘যতটা সময় উইকেটে থাকা যায় সেদিকেই মনোযোগ ছিল আমার। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সবকিছু আমার হাতে নেই।’
সাঈম আরও জানিয়েছেন, এই কন্ডিশনে নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য খেলাটা কঠিন হবে, ‘লাল বলের ক্রিকেটকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনো সুযোগই নেই। আমরা জুটি গড়ার চেষ্টা করেছি। এই কন্ডিশনে নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য খেলাটা কঠিন হবে।’
ভেজা আউটফিল্ডের কারণে সব মিলিয়ে প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ৪১ ওভার। পাকিস্তান রান তুলেছে ৪ উইকেটে ১৫৮। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ও হাসান। উইকেটহীন রয়েছেন নাহিদ রানা, মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান।