১৬ বছর আগে টেস্ট অভিষেকে দলকে হারতে দেখেছিলেন টিম সাউদি। ৫ উইকেট নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ার শুরু করা সাউদির দল নেপিয়ারে সেই ম্যাচে হেরেছিল ইংল্যান্ডের কাছে। ব্যবধানটা বড়ই ছিল—১২১ রানের।
১৬ বছর পর সাউদি সেই ইংল্যান্ডকে হারিয়েই শেষ করলেন টেস্ট ক্যারিয়ার। সাউদির নিউজিল্যান্ড হ্যামিল্টনে রেকর্ড ছুঁয়েই হারিয়েছে ৪২৩ রানে। টেস্টে রানের হিসেবে নিউজিল্যান্ডের এটি সবচেয়ে বড় জয়। ২০১৮ সালে ক্রাইস্টচার্চে শ্রীলঙ্কাকেও এই ব্যবধানেই হারিয়েছিল কিউইরা।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল ইংল্যান্ড।
টেস্ট ক্যারিয়ারের শেষ দিনটায় ১ উইকেট পেয়েছেন সাউদি। আগের দিন বেন ডাকেটকে বোল্ড করে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম উইকেট এনে দেওয়া সাউদি আজ পেয়েছেন জ্যাকব বেথেলের উইকেট। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে গ্লেন ফিলিপসের ক্যাচ হয়ে সাউদিকে টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৯১তম উইকেট উপহার দিয়েছেন বেথেল।
সাউদি যখন ৭৬ রান করা বেথেলকে ফেরালেন ইংল্যান্ডের স্কোর ১৬৬/৫। ২ উইকেটে ১৮ রান নিয়ে দিন শুরু করা ইংল্যান্ড অলআউট হওয়ার আগে করতে পারে ২৩৪ রান। ৬৫৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ইংলিশরা দ্বিতীয় ইনিংসে টিকেছে ৪৭.২ ওভার।
দিনের শুরুটা খারাপ ছিল না স্টোকসদের। আগের দিন ১৮ রানে ২ উইকেট হারানো দলটিকে তৃতীয় উইকেটে ১০৪ রান এনে দেন বেথেল ও জো রুট। বাঁহাতি স্পিনার মিচেল স্যান্টনারের প্রথম শিকার হয়ে ফেরার আগে রুট করেছেন ৫৪ রান। স্যান্টনার পরে নিয়েছেন আরও ৩ উইকেট।
রুটের বিদায়ের পরই ভেঙে পড়ে ইংলিশ প্রতিরোধ। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুক ব্যর্থ হয়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসেও। প্রথম ইনিংসে ব্রুককে শূন্য রানে ফেরানো উইলিয়াম ও’রুর্ক দ্বিতীয় ইনিংসে ব্রুককে ১ রানের বেশি করতে দেননি।
এরপর ইংল্যান্ডের হয়ে যা একটু প্রতিরোধ গড়েছেন গাস অ্যাটকিনসন। ৪১ বলে ৪৩ রান করেছেন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। চোটের কারণে বেন স্টোকস ব্যাট করতে না পারায় ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস খেলেছে একজন কম নিয়েই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৩৪৭ ও ৪৫৩
ইংল্যান্ড: ১৪৩ ও ৪৭.২ ওভারে ২৩৪ (বেথেল ৭৬, রুট ৫৪, অ্যাটকিনসন ৪৩; স্যান্টনার ৪/৮৫, সাউদি ২/৩৪, হেনরি ২/৬২)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৪২৩ রানে জয়ী।
সিরিজ: ৩–ম্যাচ সিরিজে ইংল্যান্ড ২–১–এ জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মিচেল স্যান্টনার
ম্যান অব দ্য সিরিজ: হ্যারি ব্রুক।