- স্বাগতম!
- কেমন হতে পারে চেন্নাইয়ের উইকেট
- টস
- চেন্নাইয়ে ৪২ বছর আগের স্মৃতি ফেরালেন নাজমুল
- বাউন্সে শুরু...
- রোহিত ক নাজমুল ব হাসান
- ধারাভাষ্যকক্ষে তামিম ইকবাল
- হাসানে হাসছে বাংলাদেশ
- কোহলিও আউট, হাসানকে খেলতে পারছে না ভারত
- আক্রমণে নাহিদ রানা
- ১০০ মিনিটের মাথায় বোলিংয়ে স্পিনার
- বেঁচে গেলেন পন্ত, ক্যাচ মিস!
- প্রথম সেশন বাংলাদেশের
- চলছে হাসান ‘শো’, এবার শিকার পন্ত
- ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, চুপ! চুপ!’
- জয়সোয়াল একাই ফিফটি, এক শও হবে কি
- নাহিদের শিকার জয়সোয়াল
- তামিমের কথা ফলিয়ে রাহুলকে আউট করলেন মিরাজ
- চা বিরতির আগে আরও ৩ উইকেট নিল বাংলাদেশ
- দুই সেশনেও সাকিব নেই!
- ভারতের দুই শ
- অশ্বিনের ফিফটি
- অশ্বিন–জাদেজা জুটির সেঞ্চুরি
- সৌরভ–যোশীকে মনে করালেন অশ্বিন–জাদেজা
- অশ্বিনের পর ফিফটি জাদেজারও
- টেন্ডুলকার–জহিরও পেছনে
- তিন শর ঘরে ভারত
- ঘরের মাঠে টেস্টে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি অশ্বিনের
- ৩৩৯ রানে দিন শেষ করল ভারত
- দ্বিতীয় দিনে স্বাগতম
- টিকিটের লম্বা লাইন
- জাদেজাকে ফেরালেন তাসকিন
- সাকিবের ক্যাচ মিস
- হাসান কি কিছুটা ক্লান্ত?
- তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার আকাশ
- ভারত ৩৭৬ রানে অলআউট, হাসানের ৫ উইকেট
- জাকিরের স্টাম্প ছত্রখান!
- মুমিনুলও বোল্ড!
- ৬৩ রানে ৭ উইকেটের সেশন
- নাজমুলের আউটে বিপদে বাংলাদেশ
- টিকলেন না মুশফিকও
- লিটন, কেন ওই শট?
- লিটনকে দেখেও শিখলেন না সাকিব
- ফিরেই উইকেট বুমরার
- দুই ঘণ্টায় গেল ৫ উইকেট
- বুমরায় বোল্ড তাসকিন
- ১৪৯ রানে অলআউট বাংলাদেশ
- তাসকিনের শিকার রোহিত
- জয়সোয়ালকে ফিরিয়ে নাহিদ রানার প্রথম
- মিরাজের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লুর ফাঁদে কোহলি
- বাংলাদেশের চেয়ে ৩০৮ রানে এগিয়ে ভারত
- রাত–ভোর বৃষ্টির পর তৃতীয় দিন
- টিকিটের লম্বা লাইন আজও
- গিলের ফিফটি
- তামিম যেভাবে দেখছেন...
- পন্তের ‘কামব্যাক’ ফিফটি
- চার মেরে ‘১০০’ পন্ত–গিলের
- চার শ পেরিয়ে ভারতের লিড
- ক্যাচ মিস, নেতিবাচক শরীরী ভাষার সেশন
- ২১ মাস পর টেস্টে ফিরেই সেঞ্চুরি পন্তের, ১০৯ রানে আউট
- সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন গিলও, ভারত ২৫২/৪
- ৫১৫ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
- বিনা উইকেটে ৫৬ রান নিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
- বিদায় নিলেন সাদমানও, বাংলাদেশ ৮৬/২
- থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আউট মুশফিক
- আবার সাকিবের রিভার্স সুইপ!
- নাজমুলের চতুর্থ টেস্ট ফিফটি
- টেস্টে ১০ ইনিংস পর ফিফটি নাজমুলের
- আলোক স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ
- বড় হার এড়াতে পারবে বাংলাদেশ?
- আকাশে মেঘ আছে
- গতকালের ওভার শেষ করলেন সিরাজ
- আবার আঙুলে চোট সাকিবের
- ‘জীবন’ পেলেন সাকিব
- প্রথম ঘণ্টায় উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ
- পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ
- সাকিবের রান–খরা চলছেই
- এবার আঘাত জাদেজার
- নাজমুল ফিরলেন ৮২ রান করে
- ভারতের আর ১ উইকেটের অপেক্ষা
- অশ্বিনের ঘূর্ণিতে শেষ বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস
স্বাগতম!
চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আজ দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ।
পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ জিতে আসা বাংলাদেশ দল এই ম্যাচে ভালো করায় আত্মবিশ্বাসী। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মাও বলেছেন, ভালো ক্রিকেট খেলতে চায় তাঁর দল।
প্রথম আলোর প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, ভারতকে হারাতে এর চেয়ে ভালো মঞ্চ আর হয় না। চাইলে পরিসংখ্যানের আলোয় ভারত–বাংলাদেশ মুখোমুখি হওয়ার অতীত চিত্রও দেখে নিতে পারেন।
কেমন হতে পারে চেন্নাইয়ের উইকেট
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলেছেন, চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের উইকেটে অতিরিক্ত বাঁক থাকলে সেটা ভারতকেই বিপদে ফেলতে পারে। বাংলাদেশ দলে প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলার মতো স্পিনার ও পেসার আছেন। পেসার নাহিদ রানা এরই মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটে আলোচনার ঝড় তুলেছেন। মাত্র তিন টেস্ট খেলেই কোনো ফাস্ট বোলার এর আগে কবে এত আলোচিত হয়েছেন, তা একটা প্রশ্ন।
চেন্নাই থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের উইকেট লাল মাটির, একটু ঘাসও আছে। আবহাওয়া একটু মেঘাচ্ছন্ন। গত কয়েকদিনের চেয়ে গরম কম। তবে সকাল ১০টার পর আবহাওয়া এমন নাও থাকতে পারে।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার দিনেশ কার্তিক জানিয়েছেন, চেন্নাইয়ে আজকের দিনটা অন্য সব সাধারণ দিনের মতো নয়। পরিবেশ একটু ঠান্ডা। ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে তাপমাত্রা যা ৩৪ ডিগ্রিতেও উঠতে পারে।
কার্তিক আরও জানিয়েছেন, লাল মাটির উইকেটে বাউন্স ও বাঁক দুটোই থাকবে। উইকেটে একটু ময়েশ্চারও থাকবে তাই দিনের খেলার শুরুতে সাহায্য পাবেন পেসাররা।
টস
টস জিতে আগে ফিল্ডিং করবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন টস জিতে বলেছেন, তিনি কন্ডিশন কাজে লাগাতে চান এবং উইকেটের ময়েশ্চারের ফায়দা তুলে নিতে চান।
পাকিস্তান সফরে সর্বশেষ টেস্টের মতো এই ম্যাচেও তিন পেসার ও দুজন স্পিন অলরাউন্ডার খেলাবে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানিয়েছেন, তিন পেসার ও দুজন স্পিনার খেলাবেন তাঁরা।
বাংলাদেশের একাদশ
জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।
বাংলাদেশ দলে কোনো পরিবর্তন নেই। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও সর্বশেষ টেস্টের একাদশই খেলাচ্ছে বাংলাদেশ।
ভারতের একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সোয়াল, শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋষভ পন্ত (উইকেটকিপার), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, আকাশ দীপ, যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ সিরাজ।
চেন্নাইয়ে ৪২ বছর আগের স্মৃতি ফেরালেন নাজমুল
চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে এর আগে সর্বশেষ কোনো দল টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৯৮২ সালে। ভারতের বিপক্ষে সেই টেস্টে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক কিথ ফ্লেচার। ম্যাচটি ড্র হয়েছিল।
ফ্লেচারের সেই সিদ্ধান্তের ৪২ বছর পর চিদাম্বরমে টস জিতে একই সিদ্ধান্ত নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল। এই মাঠে ২১ ম্যাচ পর কোনো দল টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলো।
বাউন্সে শুরু...
প্রথম ওভারটি করলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। যথেষ্ট বাউন্স পেয়েছেন উইকেট থেকে। চতুর্থ স্টাম্প বরাবর বল তুলতে পেরেছেন ব্যাটসম্যানের বুক সমান উচ্চতায়। অর্থাৎ সকালের সেশনে পেসারদের সাহায্য পাওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে উইকেটে।
ভারতের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল ও রোহিত শর্মা দেখেশুনে শুরু করেছেন। দ্বিতীয় ওভারে হাসান মাহমুদ আরেকটু সামনে বোলিং করায় বাউন্স না পেলেও সিম মুভমেন্ট পেয়েছেন একটি ডেলিভারিতে।
ভারত ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ২ রান।
রোহিত ক নাজমুল ব হাসান
শুরু থেকেই হাসান মাহমুদের বল স্বস্তি নিয়ে খেলতে পারছিলেন না ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। একটু বেশি সাবধানী মনে হচ্ছিল। চতুর্থ ওভারে এলবিডব্লু হওয়া থেকে বেঁচেছেন। রিভিউ নিয়েও তাঁর উইকেটটি পায়নি বাংলাদেশ। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে রোহিতকে (১০ বলে ৬) তুলে নিলেন হাসান।
স্টাম্পের ভেতরে রাখা বল রোহিত একটু বেশি সাবধানে ডিফেন্স করতে গিয়ে পুরো ব্যাটে পাননি। ব্যাটের কানা নিয়ে বল জমা পড়ে প্রথম স্লিপে নাজমুলের হাতে। দারুণ টেস্ট ম্যাচসুলভ উইকেট!
ক্রিজে জয়সোয়ালের নতুন সঙ্গী শুবমান গিল।
ভারত প্রথম ইনিংস: ৬ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৪ রান।
ধারাভাষ্যকক্ষে তামিম ইকবাল
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী ধারাভাষ্যকক্ষে পরিচয় করিয়ে দিলেন তামিম ইকবালকে। জাতীয় দলের বাইরে থাকা বাংলাদেশের এই ওপেনার চেন্নাই টেস্টে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন।
হাসানে হাসছে বাংলাদেশ
অষ্টম ওভারে এই আউটটি একটু অদ্ভুত।
শুবমান গিলের পায়ের পাশ দিয়ে বলটি বেরিয়ে যাচ্ছিল। গিল ব্যাটে খেলার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর ব্যাটের কানা নিয়ে বল জমা পড়েছে উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসে। টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের জন্য এমন আউট কষ্টের।
৮ বল খেলে ০ রানে ফিরলেন গিল এবং বিরাট কোহলি ক্রিজে আসা মাত্রই যথারীতি গর্জে উঠেছেন গ্যালারির দর্শকেরা।
ভারত প্রথম ইনিংস: ৮ ওভারে ২ উইকেটে ২৯।
কোহলিও আউট, হাসানকে খেলতে পারছে না ভারত
ইনিংসের শুরুতে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে বিরাট কোহলির দুর্বলতা নিয়ে গুঞ্জন আছে। সেই গুঞ্জনকে সত্যে পরিণত করলেন হাসান মাহমুদ। ১০ম ওভারে তাঁর অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটকিপার লিটনকে ক্যাচ দেন কোহলি। ৬ বলে ৬ রানে আউট হলেন কোহলি।
ক্রিজে জয়সোয়ালের নতুন সঙ্গী ঋষভ পন্ত।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৩৪ রান।
আক্রমণে নাহিদ রানা
গ্যালারির দর্শকদের বাড়তি মনোযোগ পাবেন এখন এক পেসার। নাম তাঁর নাহিদ রানা। বাকিটা আপনার জানা। ১১তম ওভারে বোলিংয়ে তাঁকে নিয়ে এসেছেন অধিনায়ক নাজমুল।
প্রথম ওভারেই গতি ও বাউন্সে যথারীতি ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখলেন নাহিদ। টেস্টে নাহিদ রানার গড় গতি ১৪০.৫।
অজানা কিছু থাকলে সেটাও জানিয়েছেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর। পড়তে পারেন আরও পড়ুনে।
পানি পানের বিরতি।
১০০ মিনিটের মাথায় বোলিংয়ে স্পিনার
চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিনে খেলার ১০০ মিনিটের মাথায় আক্রমণে স্পিনার নিয়ে এলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান। পাকিস্তানে সিরিজসেরা মেহেদী হাসান মিরাজ অবশ্য তাঁর প্রথম ওভারেই দুটি চার হজম করেছেন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ১৯ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৭৫। ৪২ রানের জুটি গড়েছেন পন্ত ও জয়সোয়াল।
বেঁচে গেলেন পন্ত, ক্যাচ মিস!
তাসকিন আহমেদ খুশি হতে পারেননি।
২২তম ওভারে তাঁর ক্রস সিম ডেলিভারিটি ঋষভ পন্তের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে স্লিপে দাঁড়ানো সাদমান ইসলামের হাতের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেল! সাদমানের রিফ্লেক্সে দেরি হয়েছে। বলটা বেশ নিচু হয়ে এলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এগুলো রেগুলেশন ক্যাচ। ক্যাচটি মিস হওয়ার পর তাসকিনের মুখে তাকানো যাচ্ছিল না!
ভারত প্রথম ইনিংস: ২২ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৬।
প্রথম সেশন বাংলাদেশের
প্রথম সেশনে ২৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৮ রান তুলেছে ভারত। ক্রিজে অপরাজিত যশস্বী জয়সোয়াল ও ঋষভ পন্ত। চতুর্থ উইকেটে দুজন অবিচ্ছিন্ন ৫৪ রানের জুটি গড়েছেন। বাংলাদেশের হয়ে এই সেশনে ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ। রোহিত শর্মা, শুবমান গিল ও বিরাট কোহলি আউট করে ভারতকে চাপে ফেলেছিলেন তিনি। পন্ত ও জয়সোয়ালে চাপ কাটিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে ভারত।
দুর্দান্ত হাসান মাহমুদ। এই কন্ডিশনের জন্য আদর্শ বোলার। সঠিক গতি ও দুই দিকেই সুইং করাতে পারেন। কতক্ষণ সে নিজের ঝাঁজ দেখাতে পারে, সেটাই দেখার বিষয়।হার্শা ভোগলে, ভারতীয় ধারাভাষ্যকার
চলছে হাসান ‘শো’, এবার শিকার পন্ত
সকালের সেশনে আউট করেছিলেন রোহিত শর্মা, শুবমান গিল ও বিরাট কোহলিকে। এরপর দ্বিতীয় সেশনের তৃতীয় ওভারে তুলে নিলেন ঋষভ পন্তকে। হাসান মাহমুদ ‘শো’ চলছেই!
২৬তম ওভারে হাসানের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আলসে কাট করতে গিয়ে উইকেটকিপার লিটনকে ক্যাচ দেন পন্ত (৩৯)। ক্রিজে জয়সোয়ালের নতুন সঙ্গী লোকেশ রাহুল।
ভারত প্রথম ইনিংস: ২৫ ওভারে ৪ উইকেটে ৯৬।
‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, চুপ! চুপ!’
চেন্নাইয়ের চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে গ্যালারির অবস্থা জানিয়েছেন সেখানে অবস্থান করা প্রথম আলোর প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর।
ভারত প্রথম ইনিংসে এর মধ্যে ১০০ পার করেছে। ২৮ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৩।
জয়সোয়াল একাই ফিফটি, এক শও হবে কি
সকালের সেশনে ভারতের টপ অর্ডার হাসান মাহমুদের সামনে ভুগলেও ওপেনার যশস্বী জয়সোয়ালকে নড়বড়ে মনে হয়নি। টেস্টের ধ্রুপদী ব্যাটিংয়েই দ্বিতীয় সেশনে ৩৫তম ওভারে ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
টেস্টে এটি তাঁর পঞ্চম ফিফটি। ৯৫ বলে ফিফটি তুলে নিলেন তিনি।
ভারত প্রথম ইনিংস: ৩৬ ওভারে ৪ উইকেটে ১৩৩।
নাহিদের শিকার জয়সোয়াল
ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী বললেন, উইকেটটি ‘ডিজার্ভ’ করেন নাহিদ রানা।
বেশ কয়েকবার জয়সোয়ালকে বিপদে ফেলেও আউট করতে পারেননি। ৪২তম ওভারে ভাগ্য সহায় হলো তাঁর। ১৪৮ কিলোমিটার গতির বলটি জয়সোয়ালের ব্যাটের কানা নিয়ে স্লিপে সাদমানের হাতে জমা পড়েছে। ১১৮ বলে ৫৬ রানে আউট হলেন জয়সোয়াল।
ভারত প্রথম ইনিংস: ৪২ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৪। ক্রিজে লোকেশ রাহুলের নতুন সঙ্গী রবীন্দ্র জাদেজা।
তামিমের কথা ফলিয়ে রাহুলকে আউট করলেন মিরাজ
ধারাভাষ্যকক্ষে তামিম ইকবাল বলছিলেন, স্পিনারদের কাছ থেকে উইকেট প্রয়োজন বাংলাদেশের। তখন বোলিং করছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তামিমের মুখের কথা মুখে থাকতেই ৪৩তম ওভারে তৃতীয় বলে শর্ট লেগে রাহুলকে জাকির হাসানের ক্যাচে পরিণত করেন এই স্পিনার।
৫ বলের ব্যবধানে ২ উইকেট নিয়ে ভারতকে আবারও চাপে ফেলল বাংলাদেশ। ক্রিজে রবীন্দ্র জাদেজার সঙ্গী রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ৪২.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫।
চা বিরতির আগে আরও ৩ উইকেট নিল বাংলাদেশ
প্রথম সেশনে ভারতের ৩ উইকেট নিয়ে মধ্যাহৃভোজের বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনে স্বাগতিকদের আরও ৩টি উইকেট নিয়ে চা বিরতিতে গিয়েছে নাজমুল হোসেনের দল। দুই সেশন মিলিয়ে মোট ৬ উইকেট নিয়ে ভারতকে চাপে ফেলেছে বাংলাদেশ। চা বিরতির আগে প্রথম ইনিংসে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৭৬। দ্বিতীয় সেশনে ২৫ ওভারের খেলা হয়েছে।
প্রথম সেশনের মতো দ্বিতীয় সেশনেও উইকেট শিকারের শুরুটা করেছিলেন হাসান মাহমুদ। ঋষভ পন্তকে তুলে নেন দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই। এরপর ৪২তম ওভারে পথের কাঁটা হয়ে থাকা জয়সোয়ালকে ১৪৮ কিমি গতির এক ডেলিভারিতে স্লিপে ক্যাচে পরিণত করেন নাহিদ রানা। ঠিক এর ৪ বল পরই লোকেশ রাহুলকে তুলে নেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। সপ্তম উইকেটে ৩৪ বলে ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে চা বিরতিতে গিয়েছেন রবিন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। ২১ রানে অপরাজিত অশ্বিন। ৭ রানে অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছেন জাদেজা।
দুই সেশনেও সাকিব নেই!
প্রথম সেশন ও দ্বিতীয় সেশনেও বোলিংয়ে আনা হয়নি সাকিব আল হাসানকে। আজ টেস্টের প্রথম দিনের শেষ সেশনে কি বোলিং করতে দেখা যাবে বাঁহাতি এই স্পিনারকে? উত্তরটি শুধু বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেনই জানেন।
নাজমুল এখন পর্যন্ত চার বোলার ব্যবহার করেছেন। এর মধ্যে তিন পেসারকে দিয়ে বোলিং করিয়েছেন, সঙ্গে ছিলেন স্পিনার মিরাজ। তাসকিন ১৪ ওভার, নাহিদ ১১ ওভার ও হাসান ১৩ ওভার বোলিং করেছেন।
ধারাভাষ্যকার দিনেশ কার্তিক বলছিলেন, চেন্নাইয়ে গরমের মধ্যে পেসারদের দিয়ে বেশি বোলিং করালে তাঁরা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন।
তৃতীয় সেশনের খেলা শুরু হয়েছে।
ভারত প্রথম ইনিংস: ৪৯ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৮।
ভারতের দুই শ
প্রথম দিনে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এলেন সাকিব এবং তাঁর ওভারেই প্রথম ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ দুই শ পার করল ভারত। ৫৩তম ওভারে সাকিবের প্রথম বলে চার মেরে দুই শ পার করেন জাদেজা। এক বল পর সাকিবকে ছক্কাও মারেন অশ্বিন। প্রথম ওভারটি ভালো হলো না সাকিবের। ১১ রান দিয়েছেন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ৫৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৮।
সপ্তম উইকেটে ৬৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন অশ্বিন ও জাদেজা।
অশ্বিনের ফিফটি
চেন্নাই তাঁর ঘরের মাঠ। আর নিজের মাঠে দলের জন্য সবচেয়ে দরকারি সময়টাতেই ফিফটি করলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১৪৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর মাঠে নামা এই ডানহাতি ৫৮ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন। ৬টি চার ও ১টি ছয়ে সাজানো এই ফিফটি তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৫তম।
ভারতের রান ৬০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ২৩৮। অশ্বিন ৫৪, জাদেজা ৩৫ রানে ব্যাট করছেন।
অশ্বিন–জাদেজা জুটির সেঞ্চুরি
১৪৪ রানেই ৬ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। সেখান থেকে দলটির স্কোর আড়াই শ পার করিয়ে ফেলেছেন রবীন্দ্র জাদেজা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দুজনের সপ্তম উইকেট জুটি এরই মধ্যে শত রানের বেশি যোগ করেছে।
৬২ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৫৪। অশ্বিন ৬৩, জাদেজা ৪২ রানে অপরাজিত।
সৌরভ–যোশীকে মনে করালেন অশ্বিন–জাদেজা
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে সপ্তম উইকেটে ভারতের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড গড়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা–রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
২০০০ সালে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে সপ্তম উইকেটে ১২১ রান যোগ করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী ও সুনীল যোশী। ২৪ বছর পর আজ সেই রান পেরিয়ে গেছেন অশ্বিন–জাদেজা। ভারতের প্রথম ইনিংসের ৬৬ ওভার পর্যন্ত দুজনের জুটিতে উঠেছে ১২৫ রান।
ভারতের রান ৬ উইকেটে ২৬৯। অশ্বিন ৭২, জাদেজা ৪৮ রানে ব্যাট করছেন।
অশ্বিনের পর ফিফটি জাদেজারও
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের পর ফিফটি করলেন রবীন্দ্র জাদেজাও। পার্থক্য হচ্ছে, পরে নামা অশ্বিন কিছুটা আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলে ৫৮ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করলেও জাদেজা খেলেছেন দেখেশুনে, ফিফটিতে পৌঁছেছেন ৭৩ বলে। এটি তাঁর ২১তম টেস্ট ফিফটি।
৬৮ ওভার ব্যাট করে ভারতের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৭৫। জাদেজা ৫১, অশ্বিন ৭৫ রানে ব্যাট করছেন।
টেন্ডুলকার–জহিরও পেছনে
২০০৪ সালে ঢাকায় ভারতের হয়ে দশম উইকেটে ১৩৩ রান যোগ করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার–জহির খান। সেটিই ছিল সপ্তম বা এর পরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সর্বোচ্চ রানের জুটি। আজ অশ্বিন–জাদেজারা তা টপকে গেছেন।
তিন শর ঘরে ভারত
মেহেদী হাসান মিরাজের বল সামনে এগিয়ে এসে মিড উইকেট দিয়ে ওড়ালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বল বাউন্ডারি পেরিয়ে হলো ছক্কা, ভারতের স্কোরবোর্ড পৌঁছে গেল ৩০০–এর ঘরে।
১৪৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতনের ভারতকে টেনে নিচ্ছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন–রবীন্দ্র জাদেজা। দুজনই এরই মধ্যে ফিফটি তুলে নিয়েছেন।
৭৩ ওভার শেষে ভারতের রান ৬ উইকেটে ৩০৩। অশ্বিন ৮৮, জাদেজা ৬৫ রানে ব্যাট করছেন।
ঘরের মাঠে টেস্টে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি অশ্বিনের
২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চেন্নাইয়ে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন অশ্বিন। ৩ বছর ঘরের মাঠে আবার টেস্ট খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিটি করে অশ্বিন অপরাজিত ১০১ রানে, সঙ্গী রবীন্দ্র জাদেজা ব্যাট করছেন ৮৩ রানে। ভারত করেছে ৬ উইকেটে ৩৩৫ রান।
৩৩৯ রানে দিন শেষ করল ভারত
৩২ ওভারে ১৬৩ রান—দিনের তৃতীয় ও শেষ সেশনে এই রান যোগ হয়েছে ভারতের। হারায়নি কোনো উইকেট।
শেষ সেশনে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভারত চেন্নাই টেস্টের প্রথম দিন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানে। অশ্বিন ১০২, জাদেজা ৮৬ রানে অপরাজিত। দুজনের অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেট জুটিতে ভারত পেয়েছে ১৯৫ রান। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সপ্তম উইকেট বা তার পরের জুটির সর্বোচ্চ তো বটেই, চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে যে কোনো দলেরই সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ।
দিনের প্রথম দুই সেশনে পতন হওয়া ভারতের ৬ উইকেটের মধ্যে ৪টি নিয়েছেন হাসান মাহমুদ, ১টি করে নাহিদ রানা ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
দ্বিতীয় দিনে স্বাগতম
চেন্নাই টেস্টে দ্বিতীয় দিনে স্বাগতম।
ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার দিনেশ কার্তিক মনে করেন, চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং প্রথম দিনের তুলনায় সহজ হবে। কারণ সকালে উইকেটে ময়েশ্চার কম মনে হয়েছে তাঁর কাছে। আর আকাশও পরিস্কার। ভারতের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজাকে নতুন বল সামলাতে হবে দ্বিতীয় দিন সকালে। কার্তিক আরও একটি দাবি করেছেন, উইকেট খুব দ্রুতই ভাঙবে না।
এদিকে গতকাল প্রথম দিনে ভারতের ৪ উইকেট নেওয়া হাসান মাহমুদ দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ দলের পরিকল্পনা জানিয়েছেন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছে ভারত।
ভারতের ‘হোম অব ক্রিকেট’ কোনটি? পড়তে পারেন।
টিকিটের লম্বা লাইন
ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীদের ভালোই মনোযোগ কেড়েছে বাংলাদেশ দল। সেটা কি গতকাল ১৪৪ রানের মধ্যে ভারতের ৬ উইকেট তুলে নেওয়ার কারণে? নাকি গতিময় পেস আক্রমণ? কারণ যেটাই হোক প্রথম আলোর প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর চেন্নাই থেকে জানিয়েছেন, গতকালের চেয়ে অনেক লম্বা হয়েছে টিকিটের লাইন। চেন্নাইয়ের আবহাওয়াও স্বাভাবিক। মানে বেশ গরম আছে।
জাদেজাকে ফেরালেন তাসকিন
দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় ওভারেই সাফল্যের দেখা পেল বাংলাদেশ দল। তাসকিন আহমেদের বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। আগের দিনের ৮৬ রানেই ফিরলেন ভারতীয় বাঁহাতি। তাসকিনের এটি প্রথম উইকেট।
নতুন ব্যাটসম্যান আকাশ দীপ। ভারতের রান ৭ উইকেটে ৩৪৩। অশ্বিন অপরাজিত ১০৬ রানে।
সাকিবের ক্যাচ মিস
বেঁচে গেলেন আকাশ দীপ। তাসকিনকে তুলে মারতে গিয়ে বল উঁচুতে তুলে ফেলেছিলেন। স্কয়ার লেগে থাকা সাকিব পেছনে গিয়ে বল পর্যন্ত পৌঁছেছেনও। কিন্তু বল তাঁর হাত ফসকে গেছে। আরেকটি উইকেট থেকে বঞ্চিত তাসকিন, সুযোগ নষ্ট বাংলাদেশেরও।
ভারতের রান ৭ উইকেটে ৩৫৪। অশ্বিন ১০৭ ও আকাশ দীপ ৯ রানে ব্যাট করছেন।
হাসান কি কিছুটা ক্লান্ত?
দ্বিতীয় দিনে নিজের চতুর্থ ওভারের বোলিং করার সময় হাসান মাহমুদের মুখটা বেশ শুকনো দেখাচ্ছিল। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে তামিম ইকবাল তা খেয়াল করে বললেন, হাসানকে কিছুটা ক্লান্ত দেখাচ্ছে। সহকর্মী ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রীও একমত হন তামিমের কথায়। শাস্ত্রী বলেন, গতকাল কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া থাকায় হাসান সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। আজ গরম আছে, সূর্যও আকাশ থেকে গনগনে তাপ দিচ্ছে। আজ তাঁর জন্য কাজটা কঠিন হবে।
তামিম সায় দিয়ে বললেন, অবশ্যই। ভারতের মাটিতে ৫ উইকেট পেতে তাঁকে কষ্ট করতেই হবে। তামিম এক পর্যায়ে বলেন, তাপমাত্রা সম্ভবত ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে খেলোয়াড়দের কাছে এটা আরও অনেক বেশি মনে হবে।
গতকাল টেস্টের প্রথম দিনে ১৮ ওভার বোলিং করে ৪ উইকেট নেন হাসান। আজ একটি উইকেট নিতে পারলে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নেবেন হাসান। পারবেন তো?
ধারাভাষ্যকক্ষে তামিমের কী কাজ, যাঁরা ভাবছেন তাঁরা পড়তে পারেন নিচের লিংকে ক্লিক করে।
তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার আকাশ
নাম আকাশ দীপ, ব্যাট হাতে কাজও যেন ঠিক তাই!
তাসকিনের করা ৮৯তম ওভারের পঞ্চম বলে তাঁকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল আকাশে তোলেন ভারতের এই পেসার। ক্যাচটি নিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুলের কোনো সমস্যা হয়নি।
প্রথম দিনে উইকেট না পাওয়া তাসকিন আজ সকালের সেশনের শুরুতেই ২টি উইকেট নিলেন।
ভারত প্রথম ইনিংস: ৮৯ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৭১। ক্রিজে অশ্বিনের নতুন সঙ্গী যশপ্রীত বুমরা।
তাসকিনের স্লোয়ারের ফাঁদে আউট অশ্বিন!
শেষ পর্যন্ত ! এই উইকেটটি গতকাল পেয়ে গেলে ভারতের ইনিংস আর এতদূর আসত না! কিন্তু রবিচন্দ্রন অশ্বিন টিকে গিয়েছিলেন। তাঁর ১১৩ রানের ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটল আজ। ৯১তম ওভারে তাসকিনের স্লোয়ার তুলে খেলতে গিয়ে ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি অশ্বিন। মিড অফ থেকে দৌড়ে ক্যাচটি নিয়েছেন নাজমুল। ২ ছক্কা ও ১১ চারে ১৩৩ বলে ইনিংসটি সাজিয়েছেন অশ্বিন।
দ্বিতীয় দিনে এটি তাসকিনের তৃতীয় উইকেট। গতকাল প্রথম দিনে সকালের সেশনে হাসানও ৩ উইকেট নিয়েছিলেন।
ক্রিজে বুমরার সঙ্গে শেষ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ সিরাজ।
ভারত প্রথম ইনিংস: ৯১ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৭৪।
ভারত ৩৭৬ রানে অলআউট, হাসানের ৫ উইকেট
হাসানের ৫ উইকেট পাওয়ার প্রত্যাশা ছিল। সেটি হয়ে গেল ভারত অলআউট হওয়ার মধ্য দিয়ে।
৯২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বুমরাকে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে ভারতকে প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে অলআউট করার পাশাপাশি নিজেও ব্যাক টু ব্যাক ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করলেন হাসান। রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন হাসান। এরপর চেন্নাইয়ে ভারতের প্রথম ইনিংসে ৮৩ রানে নিলেন ৫ উইকেট। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ৫ উইকেট পেলেন হাসান।
৮০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। আজ ১১.২ ওভার টিকেছে তাঁদের ইনিংস। এর মধ্যে ভারতের বাকি ৪ উইকেট তুলে নেওয়ার পথে তাসকিন নিয়েছেন ৩ উইকেট, হাসান ১ উইকেট।
ভারতের প্রথম ইনিংসে ১০ উইকেটের মধ্যে ৯টি নিয়েছেন বাংলাদেশের পেসাররা। বাকি ১টি উইকেট স্পিনার মিরাজের।
অদ্ভুত ব্যাপার হলো, ভারতের প্রথম ইনিংসে ‘মি: এক্সট্রা’ এর অবদান ৩০!
ভারত প্রথম ইনিংস: ৯১.২ ওভারে ৩৭৬ (অশ্বিন ১১৩, জাদেজা ৮৬, জয়সোয়াল ৫৬, পন্ত ৩৯, আকাশ ১৭, বুমরা ৭; হাসান ৫/৮৩, তাসকিন ৩/৫৫, নাহিদ ১/৮২, মিরাজ ১/৭৭)।
শুরুতেই ধাক্কা, সাদমান আউট
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে প্রথম ওভারটিই দুর্দান্ত করছিলেন যশপ্রীত বুমরা। সাদমান ইসলামকে একাধিকবার ‘বিট’ করার পর শেষ বলে পেলেন তাঁর উইকেট। খেলব কি খেলব না, এই দ্বিধায় ভুগে বলটি শেষ পর্যন্ত ছেড়ে বোল্ড! ওপেনার হিসেবে বাজে আউট।
৬ বলে ২ রানে ফিরলেন সাদমান। ক্রিজে জাকির হাসানের নতুন সঙ্গী বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২ ওভারে ১ উইকেটে ৩ রান।
জাকিরের স্টাম্প ছত্রখান!
ক্রিকেটীয় ভাষায়, থ্রু দ্য গেট!
৯ম ওভারের প্রথম বলে রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে আকাশের অ্যাঙ্গেল ডেলিভারি ব্যাটে খেলতে পারেননি জাকির। ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বল মাঝের স্টাম্প ফেলে দিয়েছে। মধ্যাহৃভোজন বিরতির খানিক আগে এমন আঘাত পেতে চায়নি বাংলাদেশ!
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৮.১ ওভারে ২ উইকেটে ২২। ক্রিজে নাজমুলের সঙ্গী মুমিনুল।
মুমিনুলও বোল্ড!
দুর্দান্ত আকাশ! টানা দুই বলে নিলেন ২ উইকেট। সামনে হ্যাটট্রিকের হাতছানি।
জাকির আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন মুমিনুল হক। তাঁর আউটটি যেন জাকিরের আউট হওয়ারই অ্যাকশন–রিপ্লে। ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড!
নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম কি পারবেন আকাশের হ্যাটট্রিক ঠেকাতে?
পেরেছেন।
৬৩ রানে ৭ উইকেটের সেশন
আম্পায়ার মধ্যাহৃভোজন বিরতির ইঙ্গিত দেওয়ার সময় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে বলছিলেন, মধ্যাহৃভোজনের খাবারে স্বাদ পাবে না বাংলাদেশ।
অবশ্যই।
সকালের সেশনে আজ ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে অলআউট হওয়ার পর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ । মধ্যাহৃভোজন বিরতির আগে ৯ ওভারে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে নাজমুলের দল। যশপ্রীত বুমরার করা প্রথম ওভারে সাদমানকে (২) হারানোর পর আকাশ দীপের করা ৯ম ওভারের প্রথম ও দ্বিতীয় বলে যথাক্রমে জাকির ও মুমিনুলকে হারায় বাংলাদেশ।
ক্রিজে অপরাজিত রয়েছেন নাজমুল ও মুশফিক।
ভারতের প্রথম ইনিংস থেকে এখনো ৩৫০ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
৮০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৩৯ রান নিয়ে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। আজ ১১.২ ওভারে ৩৭ রান তুলতে তাঁরা হারিয়েছে বাকি ৪ উইকেট। এরপর বাংলাদেশ ৯ ওভার ব্যাট করে ২৬ রানে ৩ উইকেট হারানোয় গোটা সেশনের হিসাবটা এমন—২০.২ ওভারে ৬৩ রানে মোট ৭ উইকেট পড়েছে দুই দলের।
নাজমুলের আউটে বিপদে বাংলাদেশ
দ্বিতীয় সেশনের তৃতীয় ওভারেই আবার উইকেট! এবার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
মোহাম্মদ সিরাজের বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে দ্বিতীয় স্লিপে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩০ বলে ২০ রান করা নাজমুলের আউটে বাংলাদেশের স্কোর এখন ৪ উইকেটে ৩৬ রান।
নতুন ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান। সঙ্গে ৮ রানে অপরাজিত মুশফিকুর রহিম।
টিকলেন না মুশফিকও
বিপদে পড়া বাংলাদেশের জন্য ভরসা হতে পারলেন না মুশফিকুর রহিমনও। ৪০ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
বুমরার সুইং ও বাউন্স হওয়া বল মুশফিকের ব্যাটে লেগে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। সেখানে দুই হাতে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন লোকেশ রাহুল।
মুশফিক ফিরলেন ১৪ বলে ৮ রান করে। বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ৪০। নতুন ব্যাটসম্যান লিটন দাস। আরেক প্রান্তে সাকিব।
পারবেন কি লিটন–সাকিব
ভারতের প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রানে ৬ উইকেট পড়ার পর সপ্তম উইকেটে ২৯৯ রানের জুটিতে দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে এমন কিছু কি করতে পারবেন লিটন ও সাকিব?
৪০ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর ষষ্ঠ উইকেটে ব্যাট করছেন লিটন ও সাকিব। ৩৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ব্যাট করছেন দুজন। ভারতের সংগ্রহের কাছাকাছি যেতে এ দুজনকে দীর্ঘসময় ব্যাট করতেই হবে।
সাকিবের সঙ্গে টেস্টে সর্বোচ্চ ১০৩ রানের জুটি আছে লিটনের। ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ষষ্ঠ উইকেটে এই জুটি গড়েছিলেন দুজন। কিন্তু আজ আরও বেশি রানের জুটি গড়ার চ্যালেঞ্জ দুজনের সামনে।
পানি পানের বিরতির পর আবারও খেলায় ফিরেছে দুই দল। বোলিংয়ে নতুন স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২২ ওভারে ৫ উইকেটে ৭৬। ভারতের প্রথম ইনিংস থেকে ২৯৮ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ
লিটন, কেন ওই শট?
কেউ কেউ শটটিকে আত্মহত্যাও বলতে পারেন।
বাঁহাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজাকে প্রথম সুইপ খেলার চেষ্টা করেছিলেন লিটন। এগেইনেস্ট দ্য স্পিনে এমন শট মোটেও সহজ না। ৪১ বল খেলা লিটন অন্তত জাদেজার বিপক্ষে পুরোপুরি সেটও ছিলেন না। কিন্তু কী ভেবে শটটি খেলতে গিয়েছেন সেটা তিনি–ই ভালো জানেন। তুলে খেলতে গিয়ে বল তুললেন আকাশে। লং লেগ থেকে দৌড়ে এসে ক্যাচটি নিয়েছেন বদলি ফিল্ডার ধ্রুব জুরেল।
শেষ হলো লিটনের ৪২ বলে ২২ রানের ইনিংস। এর মধ্য দিয়ে সাকিব ও লিটনের ৯৪ বলে ৫১ রানের জুটিও ভাঙল। ক্রিজে সাকিবের (৩২*) নতুন সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২৯ ওভারে ৬ উইকেটে ৯১। ভারতের প্রথম ইনিংস থেকে এখনো ২৮৫ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
লিটনকে দেখেও শিখলেন না সাকিব
মাঝে এক ওভার আগেই রবীন্দ্র জাদেজাকে সুইপ করে তুলে মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন লিটন দাস। সাকিব অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে তা দেখেছেন। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে কী করা উচিত এবং কী করা অনুচিত—তা বোধ হয় ভুলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলে অন্যতম অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। সেই জাদেজাকেই ৩১তম ওভারে সাকিব করলেন রিভার্স সুইপ!
ঠিকমতো ব্যাটে পাননি। বল সাকিবের ব্যাটে লেগে তাঁর বুট ছুঁয়ে উইকেটকিপারের হাতে জমা পড়েছে। টিভি আম্পায়ার তাঁকে আউট ঘোষণা করেন।
৬৪ বলে ৩২ রান করে ফিরলেন সাকিব।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩২ ওভারে ৭ উইকেটে ৯৪। ভারতের প্রথম ইনিংস থেকে ২৮০ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ।
ফিরেই উইকেট বুমরার
চা বিরতির আগে শেষ ওভার করতে বুমরাকে ফিরিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। ওই ওভারের পঞ্চম বলেই হাসান মাহমুদকে তুলে নিলেন বুমরা। অনেকটা সকালে হাসান তাঁকে যেভাবে আউট করেছিলেন সেভাবেই।
দ্বিতীয় স্লিপে হাসানের ক্যাচ নিয়েছেন কোহলি, থেমে গেল ২২ বলে ৯ রানের ইনিংস। বাংলাদেশ দল অষ্টম উইকেট হারাল ১১২ রানে। এখনো ভারতের প্রথম ইনিংসের চেয়ে পিছিয়ে ২৬৪ রানে। ফলো অন এড়াতে হলেও বাংলাদেশকে আরও ৬৫ রান করতে হবে। ক্রিজে আছেন ১২ রান করা মিরাজ।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: চা বিরতি পর্যন্ত ৩৬.৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১১২। ভারতের প্রথম ইনিংস থেকে ২৬৪ রানে পিছিয়ে।
দুই ঘণ্টায় গেল ৫ উইকেট
মধ্যাহ্ন বিরতির পর বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেশন শুরু করেছিল ৩ উইকেটে ২৬ রান নিয়ে। দুই ঘণ্টা পর দুই দলের খেলোয়াড়রা যখন চা বিরতির জন্য মাঠ ছাড়লেন, বাংলাদেশ তখন ৮ উইকেটে ১১২।
দিনের দ্বিতীয় সেশনে ২৭.৫ ওভারে ৮৬ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুটি উইকেটের পতন ঘটে সেশনের প্রথম চার ওভারের মধ্যেই। নাজমুল আউট হন সিরাজের বলে, মুশফিক বুমরার বলে। দুজনই ক্যাচ দেন স্লিপে। ৪০ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে এরপর কিছুটা টেনে তোলার চেষ্টা করেন সাকিব ও লিটন। দুজনের জুটিতে ওঠে ফিফটিও। কিন্তু জাদেজাকে সুইপ করতে গিয়ে লিটন নিজের ও দলের বিপদ ডেকে আনেন। পরের ওভারে একই বোলারকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ফেরেন সাকিবও। চা বিরতির দুই বল আগে বুমরার বলে দলের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন হাসান।
ফলো অন এড়াতে বাংলাদেশের এখনো ৬৫ রান দরকার।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: চা বিরতি পর্যন্ত ৩৬.৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১১২।
বুমরায় বোল্ড তাসকিন
গা তাক করা বল, বাউন্সার কোনোমতে সামলে টিকেছিলেন তাসকিন আহমেদ। তবে বেশি ক্ষণ পারলেন না। বুমরার ইয়র্কারে বোল্ড হয়েছেন তাসকিন (২২ বলে ১১ রান)। বুমরার এটি চতুর্থ উইকেট।
নতুন ব্যাটসম্যান নাহিদ রানা। মিরাজ ব্যাট করছেন ১৯ রানে।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৩ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩২।
১৪৯ রানে অলআউট বাংলাদেশ
শেষ ব্যাটসম্যান নাহিদ রানা বোল্ড হওয়ার পর ধারাভাষ্যকক্ষে হার্শা ভোগলে বলছিলেন, এত ভালো ব্যাটিং কন্ডিশনে মাত্র ১৪৯ রানে অলআউট হয়ে হতাশ করল বাংলাদেশ। আসলেই তাই। সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস।
সকালের সেশনে ভারত তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে অলআউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। মধ্যাহৃভোজন বিরতিতে যাওয়ার আগে হারিয়েছে ৩ উইকেট। সাদমান ইসলামকে বোল্ড করেন যশপ্রীত বুমরা। এরপর টানা দুই দলে জাকির হাসান ও মুমিনুল হককে তুলে নেন আকাশ দীপ। বাংলাদেশের স্কোর তখন ৯ ওভারে ৩ উইকেটে ২৬।
দ্বিতীয় সেশনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। নাজমুল ও মুশফিক দ্রুত আউট হওয়ার পর সাকিব ও লিটনের ব্যাটে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেটে ৯৪ বলে ৫১ রানের জুটি গড়ে ভালোই পাল্টা জবাব দিচ্ছিলেন দুজন। মাঝে এক ওভার বিরতিতে দুজনেই দুটি অপ্রয়োজনীয় সুইপ শট খেলে আউট হন। এতেই ভেঙে যায় বাংলাদেশের পাল্টা লড়াইয়ের স্বপ্ন। ৩২ রানে আউট হন সাকিব। ২২ রানে আউট হন লিটন।
২৭ রানে অপরাজিত থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ শেষ দিকে লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে পাল্টা লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন। হাসান মাহমুদের সঙ্গে ২০, তাসকিনের সঙ্গে ১৮ এবং নাহিদ রানার সঙ্গে ১৯ রানের জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু ফলোঅনের সীমানা পেরোনোর আগেই ১৪৯ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশকে ফলোঅন না করিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে ভারত।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৭.১ ওভারে ১৪৯ (সাকিব ৩২, মিরাজ ২৭*, লিটন ২২, নাজমুল ২০, রানা ১১, তাসকিন ১১, হাসান ৯, মুশফিক ৮, জাকির ৩, সাদমান ২, মুমিনুল ০; বুমরা ৪/৫০, জাদেজা ২/১৯, আকাশ ২/১৯, সিরাজ ২/৩০)।
তাসকিনের শিকার রোহিত
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় ওভারেই সাফল্যের দেখা পেলেন তাসকিন আহমেদ। ভারতীয় অধিনায়ক ও ওপেনারকে তৃতীয় স্লিপে জাকিরের ক্যাচে পরিণত করেন এই পেসার। ৭ বলে ৫ রান করে আউট হলেন রোহিত। দিনের খেলার ১৫তম উইকেট।
ক্রিজে যশস্বী জয়সোয়ালের নতুন সঙ্গী শুবমান গিল।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ৩ ওভারে ১ উইকেটে ১৬। দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৪৩ রানে এগিয়ে ভারত।
জয়সোয়ালকে ফিরিয়ে নাহিদ রানার প্রথম
ফুলার লেংথে করা বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে ছিল। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যশস্বী জয়সোয়ালের জন্য ছিল অ্যাঙ্গুলার ডেলিভারি। বলটি হালকা চালে ড্রাইভ করতে গিয়ে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটেকের পেছনে। দ্বিতীয় ইনিংসে এটি নাহিদ রানার প্রথম উইকেট।
দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল ভারত।
মিরাজের ঘূর্ণিতে এলবিডব্লুর ফাঁদে কোহলি
প্রথম ইনিংসে হাসান মাহমুদের শিকার হওয়ার আগে করতে পেরেছিলেন মাত্র ৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না বিরাট কোহলি। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে কোহলি আউট হলেন ১৭ রান করে।
ইনিংসের ২০তম ওভার করতে আসেন মিরাজ। তাঁর করা খাটো লেংথের প্রথম বলেই স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মারেন কোহলি। মিরাজের পরেই বলটা তাঁর প্যাডে লাগলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের আবেদনে তর্জনী তোলেন আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো।
রিভিউ নেবেন কি–নেবেন না—এ নিয়ে অন্য প্রান্তের সঙ্গী শুবমান গিলের সঙ্গে কিছুক্ষণ আলোচনার পর মাঠ ছাড়েন কোহলি। যদিও টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে, বল প্যাডে লাগার আগে কোহলির ব্যাট ছুঁয়েছিল। অর্থাৎ, রিভিউ নিলে বেঁচে যেতে কোহলি।
ভারত ২য় ইনিংস: ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৭ রান।
বাংলাদেশের চেয়ে ৩০৮ রানে এগিয়ে ভারত
প্রথম ইনিংসে ৩৭৬ রানে অলআউট হওয়ার বাংলাদেশকে ১৪৯ রানে গুটিয়ে দেয় ভারত। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ভারত দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ৩ উইকেটে ৮১ রান করে। আউট হয়ে গেছেন রোহিত শর্মা, যশস্বী জয়সোয়াল ও বিরাট কোহলি। ৩৩ রান নিয়ে উইকেটে আছেন শুবমান গিল। তাঁর সঙ্গী ঋষভ পন্তের রান ১২। বাংলাদেশের পক্ষে উইকেট তিনটি নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
দিন শেষে ভারত এগিয়ে আছে ৩০৮ রানে। এখন দেখা যাক কত রানের লিড নিয়ে তারা দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে।
রাত–ভোর বৃষ্টির পর তৃতীয় দিন
চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনে স্বাগতম।
প্রথম আলোর প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর চেন্নাই থেকে জানিয়েছেন, সেখানে রাতে বৃষ্টি হয়েছে, ভোরেও বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ এখনো মেঘলা। কিন্তু মাঠকর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে আজ দিনের খেলা নির্ধারিত সময়েই শুরু হবে।
৩০৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ভারত। ক্রিজে অপরাজিত শুবমান গিল (৩৩) ও ঋষভ পন্ত (১২)। গতকাল ভারতের অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা বলেছেন, তাঁরা আরও ১২০–১৫০ রান করতে চান।
গতকালও ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশের টপ অর্ডার। কারণটা কি? মোহাম্মদ জুবাইর ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন নিচের লিংকে।
টিকিটের লম্বা লাইন আজও
বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ভালো করতে না পারলেও ভারতীয় দর্শকদের আগ্রহ কমেনি। আর দিনটাও শনিবার। চেন্নাই থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, তৃতীয় দিনের খেলা দেখতে আজও স্টেডিয়ামে টিকিটের জন্য লম্বা লাইন দিয়েছেন দর্শকেরা।
গিলের ফিফটি
৩৩ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন শুবমান গিল। মাঝে দুটি ওভার শান্ত থাকলেও দিনের তৃতীয় ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে দুটি ছক্কা মেরে ফিফটি তুলে নেন গিল। পন্ত অন্য প্রান্তে ২৫ রানে অপরাজিত।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ৩০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১১৪। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৪১ রানের লিড নিয়েছে ভারত।
তামিম যেভাবে দেখছেন...
ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে আজ সকালের সেশনে বাংলাদেশ দলের খেলা দেখতে দেখতে তামিম ইকবালের মনে হয়েছে, নাজমুল হোসেনের দলের শরীরী ভাষা একটু পড়ে গেছে। সেটি সম্ভবত রানের চাপে। তামিমের ভাষায়, ‘কিছু একটা ঘটার অপেক্ষায় আছে তারা।’ অর্থাৎ নিজেদের চেষ্টার জায়গায় কিছুটা হলেও হাল ছেড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ দল। ভারত কখন দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করবে সেই অপেক্ষাতেই কি আছে নাজমুলের দল?
ক্রিজে ৫৭ রানে অপরাজিত গিল। ৩৬ রানে অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছেন পন্ত।
ভারত প্রথম ইনিংস: ৩৮ ওভারে ৩ উইকেটে ১২৯। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৫৬ রানের লিড নিয়েছে ভারত।
পন্তের ‘কামব্যাক’ ফিফটি
ভয়াবহ সেই গাড়ি দূর্ঘটনার পর ভারতের টেস্ট দলে ফিরে প্রথম ফিফটি তুলে নিলেন ঋষভ পন্ত। ৪৪তম ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে সিঙ্গেল নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের ১২ততম ফিফটি তুলে নেন পন্ত। ঘরের মাঠে খেলা ৯ টেস্টের ৮টিতেই ন্যূূনতম ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন পন্ত।
৬৯ রানে অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছেন গিল।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ৪৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫৫। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৩৮২ রানের লিড নিয়েছে ভারত।
চার মেরে ‘১০০’ পন্ত–গিলের
চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১০০ রান পার করলেন পন্ত–গিল। হার্শা ভোগলে ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে বললেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যত এই দুই তরুণের মাধ্যমে বিশস্ত হাতেই পড়েছে।’
সাকিবকে রিভার্স সুইপে (পুরো সুইপ না প্যাডেল?) চার মেরে জুটিতে ‘সেঞ্চুরি’ রান এনে দেন পন্ত।
অবিচ্ছিন্ন ১০৪ রানের জুটি গড়ে ব্যাট করছেন দুজন। ভারতের লিড ৩৯৮।
ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যত এই দুই তরুণের মাধ্যমে বিশস্ত হাতেই পড়েছে।পন্ত ও গিলকে নিয়ে ধারাভাষ্যকক্ষে হার্শা ভোগলে
চার শ পেরিয়ে ভারতের লিড
নব্বই দশকে ভারতের দুরদর্শন টিভি চ্যানেলে ব্রিটানিয়া ‘ফিফটি–ফিফটি’ বিস্কিটের বিজ্ঞাপন নিশ্চয়ই মনে আছে? সেই বিস্কিটের নামের মতোই পন্ত–গিল এখন ‘ফিফটি–ফিফটি’। দুজনেই ফিফটি তুলে নিয়েছেন। ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে সেঞ্চুরির সুবাসও পাচ্ছেন গিল। ৭২ রানে অপরাজিত পন্ত।
বাংলাদেশের ফিল্ডারদের শরীরী ভাষা হতাশাজনক।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ৪৮ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮৪। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪১১ রানের লিড নিয়েছে ভারত।
এভাবেও ক্যাচ মিস করা যায়!
ক্যাচ তো কতভাবেই মিস হয়। কিন্তু ম্যাচের এমন পরিস্থিতিতে আকাশে ওঠা বল ধরতে ‘দুনিয়ার সব সময়’’ (হার্শা ভোগলের ভাষায়) পেয়েও এবং বলের (নেমে আসার লাইনে) নিচে দাঁড়িয়েও বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল কীভাবে পন্তের ক্যাচটি মিস করলেন! নাজমুল নিজেও কি এর উত্তর জানেন?
৪৯তম ওভারে সাকিবের বলে মিডউইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ফেলেন পন্ত। কিন্তু নাজমুল নিজেই জানতেন না পন্তের এই ভুলের ‘ক্ষমা’’ তাঁর কাছে ছিল! আগের ওভারেই পন্তের রিটার্ন ক্যাচ মিস করেন হাসান মাহমুদ। কিন্তু সেই ক্যাচের চেয়ে নাজমুলের ক্যাচটি অনেক সহজ ছিল।
নাজমুল ক্যাচটি মিস করার পর ভারতীয় ড্রেসিংরুমে রবীন্দ্র জাদেজা ক্যাচটি কীভাবে নেওয়া যেত তা নিজেই একবার ‘ট্রায়াল’ দিয়ে দেখলেন। রোহিত পাশ থেকে কিছু একটা বলেছেন। সম্ভবত এটাও বলতে পারেন, বাদ দে, ওদের সময়টা ভালো যাচ্ছে না!
পন্ত ৭৩ রানে অপরাজিত। গিল ৮৫ রানে ব্যাট করছেন।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ৫০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৯৫। দুই ইনিংস মিলিয়ে ভারতের লিড ৪২২।
ক্যাচ মিস, নেতিবাচক শরীরী ভাষার সেশন
দ্বিতীয় দিন শেষে ৩০৮ রানের লিড নিয়েছিল ভারত। এরপর ভারতের অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা বলেছিলেন, তাঁরা আরও ১২০–১৫০ রান করতে চান।
আজ তৃতীয় দিন সকালের সেশনে ২৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ১২৪ রান তুলেছে ভারত। জাদেজার কথা মনে রেখে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা মনে মনে একটু ভালো বোধও করতে পারেন এই ভেবে, ভারত সম্ভবত আর বেশিক্ষণ ব্যাটিং করবে না!
এই ভাবনা ছাড়া আর পথ কী! ধারাভাষ্যকক্ষে তামিম ইকবালই বলেছেন, পন্ত–গিলের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা পড়ে গেছে! পন্ত ৭২ রানে ব্যাটিং করার সময় তাঁর সহজ ক্যাচ নাজমুলের মিস করা সম্ভবত সেই নেতিবাচক শরীরী ভাষারই কুফল। আগের ওভারে হাসান মাহমুদও পন্তের ক্যাচ মিস করেন। খেলোয়াড়দের মানসিকতা ইতিবাচক থাকলে এই ক্যাচগুলো কি মিস হয়?
সকালের সেশনে শেষ আধা ঘণ্টায় বাংলাদেশের বোলারদের ওপর চড়াও হন গিল ও পন্ত। বিশেষ করে সাকিবের ওপর চড়াও হয়েছেন দুজনেই। ধারাভাষ্যকক্ষে তামিম বলেছেন, আরেক ধারাভাষ্যকার মুরালি কার্তিক তাঁকে বলেছেন, সাকিবের আঙুলে চোট থাকায় বল ভালোভাবে গ্রিপ করতে পারছেন না। এ কারণে বোলিংটা ভালো হচ্ছে না। ঠিক জায়গায় বল ফেলতে পারছেন না।
৮৬ রানে অপরাজিত গিল। পন্ত অপরাজিত ৮২ রানে। ১৯০ বলে ১৩৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুজন।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ৫১ ওভারে ৩ উইকেটে ২০৫। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৩২ রানের লিড নিয়েছে ভারত।
২১ মাস পর টেস্টে ফিরেই সেঞ্চুরি পন্তের, ১০৯ রানে আউট
২০২২ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফর শেষ করে ভারতের ফেরার পর সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন ঋষভ পন্ত। ভারতীয় উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান এরপর টেস্টে ফিরলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্ট দিয়েই। আর প্রত্যাবর্তনটাকে সেঞ্চুরি করেই রাঙালেন পন্ত।
৮২ রান নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া পন্ত দ্বিতীয় সেশনের চতুর্থ ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে ২ রান নিয়ে পূর্ণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। লাঞ্চের পর দ্বিতীয় ওভারে সাকিবের বলে ১১ রান তুলে গিলকে পেছনে ফেলে সেঞ্চুরির দৌড়ে এগিয়ে যাওয়া পন্ত ফিরে গেছেন সেঞ্চুরি পুরো করার পরের ওভারেই। মিরাজকে ফিরতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১২৭ বলে ১০৯ রান করেছেন তিনি। পন্তের আউটের সময় ভারতের রান ছিল ২৩৪/৪।
সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন গিলও, ভারত ২৫২/৪
ঋষভ পন্তের চেয়ে ৪ রান বেশি নিয়েই লাঞ্চে গিয়েছিলেন শুবমান গিল। তবে লাঞ্চের পর আবার খেলা শুরু হলে চার–ছক্কার ঝড় তুলে গিলের আগেই সেঞ্চুরি তুলে নেন পন্ত। গিলও খুব বেশি সময় অপেক্ষা করেননি টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নিতে। পন্ত ফেরার পরের ওভারে সাকিবকে টানা দুই চার মেরে ৯৬ রানে পৌঁছানো গিল মিরাজের বলে ১ রান নিয়ে সেঞ্চুরি পুরো করেন ১৬১তম বলে।
প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া গিল টানা দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি পেলেন। এর আগে মার্চে ধর্মশালায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র ইনিংসে ১১০ রান করা গিল ২০২৪ সালেই পেয়েছেন তিনটি সেঞ্চুরি।
৫১৫ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ২৮৭ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত। ৫১৪ রানে লিড নেওয়া দলটি বাংলাদেশকে ৫১৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে। রোহিত শর্মা ইনিংস ঘোষণার সময় শুবমান গিল ১১৯ রানে ও লোকেশ রাহুল ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
টেস্টে বাংলাদেশ এর চেয়ে বড় রানের লক্ষ্য পেয়েছে তিনবার। সব মিলিয়ে চতুর্থ ইনিংসে নবমবার ৫০০ রানের বেশি লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ। সবগুলো ম্যাচই হেরেছে বাংলাদেশ।
টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করে জিতেছে ২০০৯ সালে গ্রেনাডার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
বিনা উইকেটে ৫৬ রান নিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
ম্যাচ জিততে চতুর্থ ইনিংসে বিশ্ব রেকর্ড করতে হবে বাংলাদেশকে। ৫১৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই হয়েছে। সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসান উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ রান তুলে ফেলেছেন। জাকির ৩২ ও সাদমান ২১ রানে ব্যাট করেছিলেন। টেস্টে দ্বিতীয়বার উদ্বোধনী জুটিতে ফিফটি পেলেন সাদমান–জাকির। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৮ রান করেছিলেন দুজন। বাংলাদেশ চা বিরতিতে গেছে বিনা উইকেটে ৫৬ রান তুলে।
ফিরলেন জাকির
ভাঙল উদ্ধোধনী জুটিতে ৬২ রানের জুটি।
৩৩ রান করা জাকিরকে স্লিপে যশস্বী জয়সোয়ালের ক্যাচ বানান যশপ্রীত বুমরা। নিচু হয়ে আসা ক্যাচটি দারুণভাবে লুফে নিয়েছেন জয়সোয়াল।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৮ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৬৮। জয়ের জন্য এখনো ৪৪৭ রান দরকার বাংলাদেশের।
বিদায় নিলেন সাদমানও, বাংলাদেশ ৮৬/২
চেন্নাই টেস্টে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে প্রথম উইকেট উপহার দিলেন সাদমান ইসলাম। জাকির হাসানকে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রান তোলা সাদমান শর্ট মিডউইকেটে শুবমান গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। ৬৮ বলে ৩৫ রান করেছেন সাদমান। বাংলাদেশ ৮৬/২।
অশ্বিনের আরেকটি উইকেট, এবার শিকার মুমিনুল, বাংলাদেশ ১২৪/৩
আরেকটি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এবার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বোল্ড হয়েছেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ২৪ বলে করেছেন ১৩ রান। উইকেটে এসেছেন মুশফিকুর রহিম। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন ব্যাট করছিলেন ৩৫ রানে।
থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আউট মুশফিক
আগের বলেই দারুণ একটি ৬ মেরেছিলেন মুশফিকুর রহিম। পরের বলেও মারতে গিয়েছিলেন তিনি। এটাই কাল হয়েছে মুশফিকের জন্য। উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলা মুশফিকের শটটি সোজা চলে যায় মিড–অফে দাঁড়ানো লোকেশ রাহুলের কাছে। সামনে ডাইভ দিয়ে ক্যাচটি নেন রাহুল।
মাঠের দুই আম্পায়ার অবশ্য ক্যাচ নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। পরে তৃতীয় আম্পায়ার রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন। মুশফিকের আউটে চতুর্থ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে বাংলাদেশের রান ১৪৬।
আবার সাকিবের রিভার্স সুইপ!
মুশফিকের আউটের পর সাকিব উইকেটে এসেই যেন ছটফট করতে শুরু করেছেন। মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারতে চেয়েছেন। ব্যাট–বলে সেভাবে সংযোগ হয়নি। পরের ওভারে জাদেজার প্রথম বলেই রিভার্স সুইপ করেছেন। ক্যাচও উঠেছিল। কিন্তু ভাগ্য ভালো, ফিল্ডার দৌড়ে এসে ক্যাচটি নিতে পারেননি।
এর আগে প্রথম ইনিংসে তিনি জাদেজাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরেছেন সাকিব।
নাজমুলের চতুর্থ টেস্ট ফিফটি
দলের ব্যাটিং ছোটখাটো একটা ধসের মুখে। ১ উইকেটে ৮৬ রান থেকে ৪ উইকেটে ১৪৬ রান হয়ে গেছে বাংলাদেশের স্কোর। এর মধ্যেই নাজমুল ফিফটি পূরণ করার জন্য বেছে নিলেন আক্রমণের পথ। অশ্বিনকে আক্রমণ করতে গিয়ে আউট হয়ে ফিরেছেন মুশফিক। সেটা মাথায় না রেখেই অশ্বিনকে ৬ মেরে ৪৪ থেকে ৫০ রানে পৌঁছালেন নাজমুল। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটা বাংলাদেশ অধিনায়কের চতুর্থ ফিফটি। সেঞ্চুরি আছে পাঁচটি।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ ওভার খেলে ৪ উইকেটে বাংলাদেশের রান ১৫৫।
টেস্টে ১০ ইনিংস পর ফিফটি নাজমুলের
টেস্ট ক্রিকেটে নাজমুলের সর্বশেষ ৫০ বা এর চেয়ে বেশি রানের ইনিংস ছিল ২০২৩ সালের নভেম্বরে, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এরপর ১০ ইনিংসে তাঁর সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৮, বাংলাদেশের সর্বশেষ টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে। তাঁর রানখরা নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। এই সমালোচনার মধ্যেই আজ পেলেন ফিফটি।
আলোক স্বল্পতার কারণে খেলা বন্ধ
চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের আকাশে শেষ বেলায় দেখা দিয়েছে কালো মেঘ। এর কারণে হয়েছে আলোর স্বল্পতা। ফ্লাড লাইট জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অল্প আলোতে আম্পায়ার খেলা চালিয়ে নেওয়ার পক্ষে নন। দুই দলের খেলোয়াড়েরাই মাঠ ছেড়েছে। খেলা আপাতত বন্ধ। এ সময় দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭.২ ওভারে ৪ উইকেটে বাংলাদেশ তুলেছে ১৫৮ রান।
বড় হার এড়াতে পারবে বাংলাদেশ?
আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধের কিছুক্ষণ পর দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেছেন আম্পায়াররা। তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৫৮। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন অপরাজিত ৫১ রানে, অন্য প্রান্তে ৫ রানে সাকিব আল হাসান।
৫১৪ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করা বাংলাদেশ জাকির হাসান–সাদমান ইসলামের উদ্বোধনী জুটি থেকে পেয়েছিল ভালো শুরু। দুজনের ৬২ রানের জুটি ভাঙে যশপ্রীত বুমরার বলে জাকির গালি অঞ্চলে জয়সোয়ালের দারুণ ক্যাচে পরিণত হলে। ৪৭ বলের ইনিংসে ৫ চার ১ ছক্কায় ৩৩ রান করে যান জাকির। আরেক ওপেনার সাদমানের আউট অবশ্য হেলাফেলায়। অশ্বিনের ‘নিরীহ দর্শন ’ এক বলে শর্ট মিডউইকেটে শুবমান গিলকে ক্যাচ দেন তিনি (৬৮ বলে ৩৫)।
এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিকুর রহিম আর মুমিনুল হকও। এ দুজনও ফেরেন অশ্বিনের বলে। মুশফিক আউট হয়েছেন মিডঅফে লোকেশ রাহুলের দারুণ ক্যাচে, মুমিনুল বলের লাইন মিস করে বোল্ডে।
আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধের সময় বাংলাদেশ দল ভারতের চেয়ে পিছিয়ে ৩৫৬ রান। ম্যাচে এখনো খেলা বাকি দুই দিন। বাংলাদেশের হাতে আছে ৬ উইকেট।
আকাশে মেঘ আছে
চেন্নাই টেস্টের চতুর্থ দিনে স্বাগতম।
গতকাল আলোক স্বল্পতার কারণে দিনের খেলা একটু আগেভাগেই শেষ হয়েছিল। রাতে বৃষ্টিও হয়েছে। তবে চেন্নাইয়ে এখন বৃষ্টি নেই। ঠিক সময়ে শুরু হবে চতুর্থ দিনের খেলা। চেন্নাইয়ের আকাশে অবশ্য মেঘ আছে। মেঘাচ্ছন্ন আকাশের নিচে ভারতের পেসারদের বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কীভাবে সামলাবেন, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।
বাংলাদেশ চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নামবে আগের দিনের ৪ উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে। ৫১ রান নিয়ে উইকেটে আছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। তাঁর সঙ্গী সাকিব আল হাসানের রান ৫।
গতকালের ওভার শেষ করলেন সিরাজ
আলোক স্বল্পতার কারণে গতকাল তৃতীয় দিনে নিজের ওভারটি শেষ করতে পারেননি মোহাম্মদ সিরাজ। দুই বল করার পরই খেলা বন্ধ ঘোষণা করেন আম্পায়ারা। পরে দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন। গতকালের অসমাপ্ত ওভারটি আজ করেছেন সিরাজ।
তাঁর শেষ ৪ বল থেকে কােনাে রান হয়নি। বাংলাদেশের স্কোর সেই আগের মতোই আছে, ৪ উইকেটে ১৫৮।
আবার আঙুলে চোট সাকিবের
চতুর্থ দিনের শুরুটা ভালোই করেছে বাংলাদেশ। দিনের প্রথম আধা ঘন্টায় ১৫ রান তুলেছেন সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন। সকালে দুটি চার পেয়েছে বাংলাদেশ। দুটি চারই মেরেছেন সাকিব। একটি যশপ্রীত বুমরা ও অন্যটি মোহাম্মদ সিরাজের বলে। তবে বুমরার একটি বল আঙুলে লাগে সাকিবের, এর জন্য ফিজিওকেও মাঠে আসতে হয়। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি ব্যাটিং করে যাচ্ছেন।
‘জীবন’ পেলেন সাকিব
রবীন্দ্র জাদেজার বলে ক্রিজের বাইরে এসে মারতে গিয়ে মিস করেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু ভারতের উইকেটকিপার ঋষভ পন্ত বল গ্লাভসে নিতে পারেননি। অনেক বাইরে চলে আসা সাকিব সময় পেয়ে পৌঁছে যান ক্রিজে। পরের বলেই চার মারেন তিনি। ধারাভাষ্যে থাকা তামিম বলে ওঠেন, ‘সম্ভবত ক্রিকেট দেবতা আজ সকাল থেকে সাকিবের সঙ্গে আছেন।’
৪৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১৮৭। সাকিব ২১ ও নাজমুল ৬১ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।
প্রথম ঘণ্টায় উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ
খুব বেশি রান প্রথম ঘণ্টায় বাংলাদেশ তুলতে পারেনি। তবে সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন প্রথম ঘণ্টাটি বাংলাদেশের করে দিয়েছেন। এই সময়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
৪ উইকেটে বাংলাদেশের রান ১৯৪।
পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ
চতুর্থ দিনে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসে উইকেট পেলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। প্রথম ঘণ্টার পানি পানের বিরতির পর চতুর্থ বলে সাকিব আল হাসানকে ফিরিয়েছেন তিনি। অশ্বিনের বলটি সোজা ব্যাটে ঠেকিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু ব্যাটের ওপরের অংশে লেগে প্যাড ছুঁয়ে চলে যায় জয়সোয়ালের হাতে।
সাকিবের আউটের পর বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৯৪। আউট হওয়ার আগে ৫৬ বলে ৩ চারে ২৫ রান করেছেন সাকিব। উইকেটে এসেছেন লিটন দাস। ৬৪ রানে ব্যাট করতে থাকা নাজমুলের সঙ্গী হয়েছেন তিনি।
সাকিবের রান–খরা চলছেই
টেস্টে সাকিব আল হাসানের ব্যাটে রান–খরা যেন দূরই হচ্ছে না। এই নিয়ে ৭ ইনিংসে কোনো ফিফটি নেই বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের। টেস্টে সাকিব সর্বশেষ ফিফটি পেয়েছিলেন গত বছরের এপ্রিলে, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৭ রানের সেই ইনিংসের পর সাকিবের সর্বোচ্চ স্কোর ৩৬। যেটা তিনি করেছিলেন এ বছরের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রামে।
এবার আঘাত জাদেজার
রবিচন্দ্রন অশ্বিন আক্রমণে এসে সাকিব আল হাসানকে ফেরানোর পর এবার বাংলাদেশের ইনিংসে আঘাত হানলেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি ফিরিয়েছেন লিটন দাসকে। লিটনের আউট বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ২০৫।
ফুলার লেংথের ডেলিভারিতে লিটনকে সামনে টেনে আনছিলেন জাদেজা। ওভারের চতুর্থ বলটাও তেমনই করেছিলেন। লিটন একটু সামনে এসে খেলতে গিয়ে বল ঠিকভাবে ব্যাটে পাননি। বল ব্যাটে হালকা ছোঁয়া দিয়ে চলে যায় স্লিপে রোহিত শর্মার হাতে। ১০ বল খেলে ১ রানই করতে পেরেছেন লিটন। নাজমুলের সঙ্গে জুটি বাঁধতে উইকেটে এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
আবার অশ্বিন
প্রথম ঘণ্টাটা বাংলাদেশ ভালোই কাটিয়েছিল। কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছে ৩৬ রান। কিন্তু পানি পানের বিরতি থেকে ফিরে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অশ্বিন চতুর্থ দিনে তাঁর প্রথম ওভার করতে এসে চতুর্থ বলে ফেরান সাকিব আল হাসানকে। এরপর দ্রুতই জাদেজার বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান লিটন দাসও। এবার গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাঁকে ফিরিয়েছেন অশ্বিন।
মিরাজের আউটে বাংলাদেশের স্কোর ৭ উইকেটে ২২২।
নাজমুল ফিরলেন ৮২ রান করে
এক প্রান্ত দিয়ে একের পর এক উইকেট পড়তে থাকলেও অন্য প্রান্ত আগলে রাখছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল। শেষ পর্যন্ত তিনিও ফিরে গেলেন। ৮২ রান করে জাদেজার বলে বুমরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।
নাজমুলের আউটে ২২৮ রানে অষ্টম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
ভারতের আর ১ উইকেটের অপেক্ষা
সাকিব আল হাসান, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজের পর আউট হয়ে ফিরেছেন নাজমুল হোসেনও। এরপর চলে গেলেন তাসকিন আহমেদও। দেখতে দেখতে ৪ উইকেটে ১৯৪ থেকে ৯ উইকেটে ২২৮ হয়ে গেল বাংলাদেশের স্কোর। ভারতের এখন জয়ের জন্য অপেক্ষা আর ১ উইকেটের।
অশ্বিনের ঘূর্ণিতে শেষ বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস
গতকাল তৃতীয় দিনের খেলা শেষে আলোচনা ছিল একটাই—হারের ব্যবধান কতটা কমাতে পারবে বাংলাদেশ। চতুর্থ দিন সকালের প্রথম ঘণ্টায় সাকিব আল হাসান আর নাজমুল হোসেনের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, কিছুটা হলেও লড়াই করবে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ২৮০ রানের বড় ব্যবধানেই হারতে হয়েছে নাজমুল হোসেনদের।
প্রথম ঘণ্টায় উইকেট না হারানো বাংলাদেশ পানি পানের বিরতির পর এসে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজার ঘূর্ণির সামনে আর টিকে থাকতে পারেনি। দেখতে দেখতে ৪ উইকেটে ১৯৪ থেকে ২৩৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮২ রান করেছেন নাজমুল। এই রান তিনি করেছেন ১২৭ বলে। মেরেছেন ৮টি চার ও ৩টি ছয়।
ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। জাদেজা নিয়েছেন ৩ উইকেট, বুমরা একটি।