স্টার্ক, বুমরা, কামিন্স, পন্ত...কেউ ৮ বছর, কেউ ১ বছর পর ফিরছেন আইপিএলে
সবার গল্প আলাদা। কেউ নিজের ইচ্ছাতেই খেলেননি, কেউ চোটের কারণে খেলতে পারেননি। কেউ আবার ফিরবেন দীর্ঘদিন পর। গল্প যেটাই হোক, এবার আইপিএলে ফিরছেন ৭ তারকা। তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮ বছর পর আইপিএলে ফিরছেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক। আর ভারতের ঋষভ পন্ত তো ফিরছেন জীবনের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে। কে কীভাবে ফিরছেন দেখে নেওয়া যাক—
মিচেল স্টার্ক
স্টার্ক হাঁটছিলেন স্রোতের বিপরীতে। সবাই যখন আইপিএল খেলার জন্য অতি আগ্রহে অপেক্ষা করেন, অস্ট্রেলিয়ার এই ফাস্ট বোলার আইপিএলকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন বছরের পর বছর। খেললে কত টাকা আয় করতে পারতেন, সেটা এবার তাঁর মূল্য দেখলেই বোঝা যায়।
স্টার্ক যে কখনো আইপিএল খেলেননি, এমন নয়। ২০১৪ ও ২০১৫ মৌসুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে আইপিএল খেলেছেন স্টার্ক। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে ২৭ ম্যাচে নিয়েছেন ৩৪ উইকেট। এরপর ২০১৮ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে কিনলেও ডান পায়ের পেশিতে ব্যথার কথা জানিয়ে ভারতে যাননি। পরে আর আইপিএলের প্রতি আগ্রহ দেখাননি স্টার্ক। ৮ বছর পর এবার আইপিএলে তিনি ফিরছেন টুর্নামেন্টটির ইতিহাসে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হয়ে। ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলারকে কিনেছে কলকাতা। তাঁর ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি।
প্যাট কামিন্স
স্টার্কের মতো নয়, অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স আইপিএলে অনেকটা নিয়মিত। ২০১৪ সালে প্রথমবার আইপিএল খেলা কামিন্স সব মিলিয়ে আইপিএলে খেলেছেন ৬ মৌসুম। তবে আন্তর্জাতিক ব্যস্ত সূচির কারণে গত বছর আইপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন কামিন্স। এর আগের তিন মৌসুম তিনি খেলেছেন কলকাতার হয়ে। এবার খেলবেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। তাঁকে দলে পেতে ২০ কোটি ৫০ লাখ রূপি খরচ করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তাঁর হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব।
ঋষভ পন্ত
আইপিএল দিয়ে ১৪ মাস পর ক্রিকেটে ফিরছেন পন্ত। ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর তিনি দিল্লি-দেরাদুন মহাসড়কে দুর্ঘটনার শিকার হন। খেলতে পারেননি ২০২৩ আইপিএল, আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। পন্ত বিশ্বকাপের আগে ফিট হওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন, পারেননি।
এরপর গত ভারত–ইংল্যান্ড সিরিজকে ফেরার লক্ষ্য বানিয়েছিলেন, তখনো পারেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি ফিরছেন আইপিএল দিয়ে। ১২ মার্চ তাঁকে পুরো ফিট ঘোষণা করেছে বিসিসিআই।
কেইন উইলিয়ামসন
গত মৌসুমের প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ছক্কা বাঁচাতে গিয়ে চোটে পড়েন উইলিয়ামসন। সেই টুর্নামেন্টে এরপর আর খেলতে পারেননি তিনি। শুধু আইপিএলে নয়, এই চোট উইলিয়ামসনকে ভুগিয়েছে অনেক দিন। হাঁটুর চোট সারাতে তাঁকে যেতে হয়েছে শল্য চিকিৎসকের ছুরির নিচে। এরপর বিশ্বকাপেও খেলেছেন চোট নিয়ে। এবারও তিনি খেলবেন গুজরাট টাইটানসের হয়ে।
শ্রেয়াস আইয়ার
আইয়ারও চোটের কারণে আইপিএলের গত মৌসুমে খেলতে পারেননি। পিঠের চোটে আইপিএলে খেলা হয়নি তাঁর। এমনকি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও খেলতে পারেননি। এবারও পুরো ফিট আইয়ারকে কলকাতা পাবে কি না, নিশ্চিত নয়। সর্বশেষ রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে ব্যাটিংয়ের সময় অস্বস্তি বোধ করেছেন আইয়ার। শোনা গেছে, আইপিএলে প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলবেন কলকাতা অধিনায়ক।
যশপ্রীত বুমরা
পিঠের চোটে গত বছর বুমরাকে মিস করেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। এই চোটে গত বছর বুমরা অনেক দিন মাঠের বাইরে ছিলেন। মাঠে ফেরেন ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগের সিরিজে। তবে এবার সেরা ফর্মের বুমরাকে পাচ্ছে মুম্বাই। ভারত–ইংল্যান্ড সিরিজে এই ফাস্ট বোলার ৪ টেস্ট খেলে নিয়েছেন ১৯ উইকেট। যদিও ২০২৩ সালের আগস্টের পর তিনি আর টি–টোয়েন্টি খেলেননি।
জনি বেয়ারস্টো
গত সেপ্টেম্বরে গলফ খেলতে গিয়ে পা ভেঙে গিয়েছিল জনি বেয়ারস্টোর। এ কারণে খেলতে পারেননি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে। আসতে পারেননি বাংলাদেশেও। মিস করেন সর্বশেষ আইপিএলের মৌসুম। তবে আইপিএল শেষের পর অ্যাশেজ দিয়ে মাঠে ফেরেন তিনি। এই মৌসুমেও তিনি খেলবেন পাঞ্জাব কিংসের হয়ে।