রেকর্ড হয়েছে, জানতেনই না পারভেজ

পারভেজ ইমনফেসবুক

সব সংস্করণ মিলিয়েই বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি এখন পারভেজ হোসেনের। কাল বিকেএসপিতে শাইনপুকুরের বিপক্ষে আবাহনীর হয়ে খেলতে নেমে ১৫ বলে ফিফটি করেছেন তিনি। শুধু লিস্ট ‘এ’ নয়, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি–টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটি এখন পারভেজের।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে এর আগে দ্রুততম ফিফটি ছিল শুভাগত হোমের, ২০১৯ সালে শাইনপুকুরের হয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে যিনি ফিফটি করেছিলেন ১৬ বলে।
এমন একটি রেকর্ডের কথা ব্যাটিংয়ের সময় নাকি জানতেনই না পারভেজ। মুঠোফোনে প্রথম আলোকে পারভেজ আজ বলছিলেন, ‘আমি আসলে পরে শুনেছি। যখন ব্যাটিং করেছি, তখন জানতামই না।’

আরও পড়ুন

৪ চার ও ৬ ছক্কায় ২৩ বলে ৬১ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে ১০ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন পারভেজ। তবে সব ছাপিয়ে গেছে তাঁর রেকর্ড। এমন এক কীর্তি গড়তে পেরে অনুভূতি কেমন? পারভেজের উত্তর, ‘এ রকম কোনো কিছু হলে তো সবারই ভালো লাগে। আমারও একই। তবে আমার রেকর্ড খুব একটা দেখার অভ্যাস নেই।’

১৫ বলে ফিফটি করেছেন পারভেজ
সংগৃহীত

রেকর্ডের আভাসটা অবশ্য তাঁকে দেওয়া হয়েছিল সাজঘর থেকে। কিন্তু দুই চারের পর টানা দুই ছক্কায় পঞ্চাশে পৌঁছে যাওয়া পারভেজ তা ঠিকঠাক বুঝতে পারেননি, ‘আমার যখন ৪০ রান ছিল। তখন (নাজমুল হোসেন) শান্ত–মোসাদ্দেক (হোসেন) ভাই বলতেছিল যে আরেকটা ছক্কা হলে রেকর্ড হবে। তখন ব্যাপারটা ভালোভাবে বুঝতে পারিনি।’

আরও পড়ুন

অনূর্ধ্ব–১৯ দল থেকেই পারভেজকে নিয়ে বড় আশা বাংলাদেশের ক্রিকেটে। এই ওপেনারের মারকুটে ব্যাটসম্যান হিসেবে খ্যাতিও আছে। তবে সংস্করণ ভেদে খেলার ধরনেও বদল আনেন বলেই জানালেন পারভেজ, ‘আমার প্রক্রিয়া এমন থাকে না যে মারতেই হবে। ওয়ানডে ক্রিকেটটা ওভাবে হয় না। এটা টি–টোয়েন্টি হলে ঠিক আছে। কিন্তু ওয়ানডেতে পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। কালকে পরিস্থিতি এমন ছিল—রান কম, আমাদের ১০ উইকেট হাতে ছিল। আমি চেষ্টা করেছিলাম স্বাভাবিকভাবে খেলতে।’

আরও পড়ুন