বেন স্টোকস: কথা দিচ্ছি, আনন্দ পাবেন
বলা হচ্ছে, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও তাঁর অধীনে নতুন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে ১৬ জুন শুরু হতে যাওয়া অ্যাশেজ। এর আগে দ্য প্লেয়ারস ট্রিবিউনের এক কলামে নতুন ইংল্যান্ডের খেলার ধরন, উদ্দেশ্য, অ্যাশেজের তাৎপর্য তাঁদের কাছে কী—এসব নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন অধিনায়ক বেন স্টোকস। পুরো লেখাটির অনুবাদ এখানে—
ঠিক নেতিবাচক কোনো সুরে শুরু করতে চাই না, তবে ইংল্যান্ডের পুরুষ টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে একটা প্রশ্ন করতে চাই। প্রশ্নটা সব কোচ, ক্লাব অধিনায়ক, ধারাভাষ্যকার, সমর্থক, যাঁরা ক্রিকেট দেখেন—সবার জন্যই। বিশেষ করে আমরা যখন এ গ্রীষ্মে একটা অ্যাশেজ শুরু করতে যাচ্ছি।
‘বাজে একটা শট’—এই কথাটা বলা বন্ধ করা যায় না?
আমি জানি, কেন আমরা এটি ব্যবহার করি। কিছু কিছু দিক দিয়ে ক্রিকেট বেশ অদ্ভুত। জটিল একটা খেলা। সবকিছু আউট হওয়ার দিকেই নিবদ্ধ, তাই না? ফলাফল কী, সেটির ওপরই কাজটির মূল্য নির্ধারিত হয়। একজন ব্যাটার বড় শটের চেষ্টা করে যদি সফল না হয়, আউট হয়, তাহলে এটি বলাটাই সহজ—বাজে শট ছিল।
এ কথাটি আমাকে অনেক শুনতে হয়।
‘ওহ, বাজে শট। কেন করতে গেল এমন?’
‘বাজে একটা শট।’
এসব শুনে আমার মনে হয়—আসলেই?
একটা শট তখনই বাজে, যখন কেউ আউট হয়। হয়তো অন্য কোনো বলে ঠিক একই শট খেলতে গেলেন, তখন টাইমিং হলো, চার বা ছয় হলো। তখন কিন্তু কেউ বলবে না—বাজে শট।
এটা বাজে শট, কারণ এটি আউট। ভুল করা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা, আউট হওয়া নিয়ে ভয় করা, নেতিবাচক একটা মানসিকতা তৈরি করে। এটা একটা ভয় লালন করে। একটা কিছু চেষ্টা করলেন, যে কারণেই হোক, সেটি হলো না। আপনার মাথায় যদি থাকে, এর জন্য আপনার সমালোচনা করা হবে, খেলোয়াড় হিসেবে আপনি নিজের সহজাত সামর্থ্য নিয়ে তখন ধন্দে পড়ে যাবেন।
যাহোক, আমার ছোটখাটো রাগ-ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের এখানেই শেষ। তবে ব্যাপারটা হলো আমরা ইংল্যান্ড টেস্ট দলে যেগুলো নিয়ে কাজ করছি, সেসবের অন্যতম এটি। এমন একটা আবহ তৈরি করতে চাই, যেখানে সবারই নির্ভয়ে যেকোনো কিছু চেষ্টা করার স্বাধীনতা থাকবে। আমি জানি, সব সময় এমনটা ছিল না। যদিও সামর্থ্য আমাদের সব সময়ই ছিল।
আমরা চাই, দলের ছেলেরা আমাদের সেই স্বচ্ছতা ও আস্থার জায়গাটা অনুভব করুক—তুমি যা করো, তাতে তুমিই দেশের সেরা—এ কারণেই আমরা তোমাকে নিয়েছি। নিজের ভেতর কিছুই আটকে রাখার দরকার নেই। নিজেকে মেলে ধরো। আমাদের দেখাও, আসলে কী পারো তুমি।
ব্যাপারটা হলো, যদি ব্যর্থ হও তো হলে! তাতে কী? আমি তো অধিনায়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে বা সংবাদমাধ্যমে তোমাকে ছিঁড়ে ফেলব না বড় একটা শট খেলার চেষ্টার জন্য। পর্দার আড়ালেও আমি বা ব্রেন্ডন তোমাকে ভর্ৎসনা করব না। মোদ্দা কথা, সবাই কোনো না কোনো পর্যায়ে গিয়ে ব্যর্থ হয়। তুমি নাহয় যেভাবে চাও, সেভাবে ব্যাটিং করতে গিয়েই হলে। আর অ্যাশেজ বলেই এসব বদলে যাবে, তা–ও না।
আমরা এসব ফেলে এগোব, রাতে ঘুমাব, পরদিন জাগব। আশা করি, সূর্য আগের মতোই উষ্ণতা ছড়াবে, আমরা আবার এই কাজটাই করব।
দেখুন, এসব বলার সময় আমার সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, আমি চাই না, এসবকে কেউ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করুক। ব্যর্থ হলে সমস্যা নেই, এমনটি বলছি, মানে এই নয় যে হার নিয়ে আমার সমস্যা নেই। আমি হারকে ঘৃণা করি। আমাদের দলের সবাই করে। হ্যাঁ, আমরা সবকিছুই জিততে চাই, তবে এর বাইরে বৃহৎ পরিসরে ভাবতে হবে। আপনার বুঝতে হবে, সত্যিকারের চেষ্টা করার মতো মুক্ত যখন হবেন, তখনই আপনি আসলে সফল হবেন।
আর হ্যাঁ, যখন ক্রিজে গিয়ে দাঁড়াব, তখন স্নায়ুচাপে ভোগাটাই স্বাভাবিক। যদি না ভোগেন, তাহলে হয়তো আপনি এ ব্যাপারটিকে ঠিক পাত্তা দেন না।
এর মানে ওই মুহূর্তে যা ঘটছে, তার থেকে পিছপা হবেন না। আপনার মানসিক কাঠিন্য দেখাবেন। এর মানে আপনার সেই মানসিকতা আছে, যাতে কিছুই ধরাছোঁয়ার বাইরে মনে হয় না। আমাদের সেই বিশ্বাসটা আছে, এমন কোনো লক্ষ্য নেই, যার পেছনে ছুটতে পারব না; এমন কোনো চ্যালেঞ্জ নেই, যেটি আমরা উতরাতে পারব না।
আমার অধিনায়কত্বে এই দর্শনটাই আমরা দলের মধ্যে গেঁথে দিতে চাই।
নেতা হিসেবে আমি লেখকদের মতো করে বলতে পারব না, সত্যি বলতে ড্রেসিংরুমে দীর্ঘ বক্তৃতাও দিই না। আমি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চাওয়া একজন। তবে আমরা কী করতে চাচ্ছি, এর মূল্য কী—সে ব্যাপারে স্বচ্ছ ধারণা আছে আমার। এটা আমার ও মাঠে আমার আকাঙ্ক্ষার চেয়েও বড়। পরের প্রজন্মের খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করার ব্যাপার এটা। এর মানে এই নয়, আমি ছোটবেলায় যেমন ছিলাম, তেমন বাচ্চাদেরই টানবে শুধু। বরং যারা উঠতি খেলোয়াড়, ক্যারিয়ার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, তাদেরও উৎসাহিত করব।
দৃশ্যপট বদলাচ্ছে। খেলা হিসেবেই ক্রিকেটের বড়সড় পরিবর্তন আসছে। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে দ্রুত ঘটছে এসব। টি-টোয়েন্টি, হানড্রেড, ওয়ানডের মতো সংস্করণেই টাকা। খেলোয়াড়দের এসব সংস্করণ এমন সব সুযোগ দিচ্ছে, ১৫ বছর আগেও যেসবের অস্তিত্বই ছিল না।
আমার বেড়ে ওঠার সময়ে টেস্ট ম্যাচে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার চেয়ে বড় সম্মানের ব্যাপার ছিল না। হ্যাঁ, আমি এখনো সেটিই বিশ্বাস করি। তবে আমি বোকা নই। ক্রিকেটারদের ক্যারিয়ার সংক্ষিপ্ত মেয়াদের। ফলে তারা নিজেদের ও নিজেদের পরিবারের আর্থিক নিরাপত্তার কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নেবে। এটিই স্বাভাবিক।
আমি সত্যিই চাই, বোর্ডগুলো এ বিষয়ে মাথা ঘামাক। যেটি তাদের জন্য কঠিনই মনে হচ্ছে। এর সঙ্গে লড়াই করার বদলে আলিঙ্গন করতে হবে। হয়তো আমরা কিছু মেধাবী ক্রিকেটার হারাব, তবে টেস্ট ক্রিকেটকে টিকিয়ে রাখা ও এই খেলার শীর্ষে রাখতে গেলে খেলোয়াড়দের এমন কিছু দেখাতে হবে, যাতে তারা রোমাঞ্চিত বোধ করে, অনুপ্রাণিত হয়। এটিই সেরা উপায়।
আমাদের এমন একটা ড্রেসিংরুম তৈরি করতে হবে, যেটির অংশ হতে পারাটা আনন্দের। যে পরিবেশে মাঠে আমরা কাউকেই আটকে রাখব না। আমরা আমাদের খেলোয়াড়দের, বিশেষ করে ব্যাটারদের এমনভাবে মুক্ত করে দিতে চাই, যেভাবে এর আগে তারা খেলেনি। এটা খেলোয়াড়দের জন্য বেশ আকর্ষণীয়। আমি এর প্রমাণ এরই মধ্যে পেয়েছি। ইংল্যান্ড দলের কাছাকাছি আছে কাউন্টির এমন সব খেলোয়াড় যখন ফোন করে আমাকে বলে, ‘আমাকে বলো, এই দলে সুযোগ পেতে গেলে আমার কী করতে হবে?’—অধিনায়ক হিসেবে আমাকে সবচেয়ে স্বস্তি দেয় এ বিষয়টিও।
এরপর দলে যারা নতুন এসেছে, তাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা আমাকে বলে, ডাক পেতে কতটা মরিয়া ছিল। মরিয়া ছিল দলে এসে এর অংশ হতে পারার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে। কারণ, বাইরে থেকে এতটাই ভালো লাগছিল তাদের।
ব্রেন্ডনকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। কারণ, প্রধান কোচ হিসেবে তাঁর দর্শনই হলো এমন একটা আবহ তৈরি করা, যাতে সবাই একত্র হতে মুখিয়ে থাকে দল হিসেবে। তিনি সব সময়ই বলেন, ‘আমরা স্মৃতি সঙ্গে করে নিয়ে যেতে চাই, যতটা পারি। কারণ, এ অবস্থানে খুব বেশি দিন তুমি থাকবে না।’ দিনের শেষে এটিই সব।
আর আমরা চাই, সবাই যাতে উপভোগ করে—খেলোয়াড়েরা, সমর্থকেরা। আমাদের সংস্কৃতির শীর্ষে এটি। ক্রিকেট একটা খেলা, বেশ সিরিয়াস খেলা। অনেক কঠোর পরিশ্রম আর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ব্যাপার আছে। তবে দিন শেষে এটি বিনোদনও।
হাজার হাজার দর্শক আমাদের টেস্ট ম্যাচ দেখতে আসে, বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ দেখে। কারণ, তারা বিনোদন চায়। আমরা অবশ্যই জিততে চাই। তবে যারা টাকা দিয়ে ইংল্যান্ডের খেলা দেখতে আসে, তারা যাতে ফেরার সময় বলে, ‘কী দারুণ একটি দিন ছিল!’ আমরা এটিকেও সমান গুরুত্ব দিই।
আমি জানি, দর্শককে উজ্জীবিত করার ওই মুহূর্তগুলোতে যখন সবকিছু ক্রিকেটের ঊর্ধ্বে উঠে যায়, সেগুলো কেমন। ২০০৫ সালের ফ্লিনটফ, ১৯৮১ সালের বোথাম—জনগণের আগ্রহ ফেরা এসব জাদুকরি মুহূর্ত। দেখায়, ক্রিকেট আসলে কী হতে পারে। এসব মুহূর্তে যাঁরা সাধারণত ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত নন, তাঁরাও টেলিভিশনের সামনে থেকে ওঠেন না। এমনই রোমাঞ্চকর, যা দেখলে মনে হয়, এরপর আর কখনো এমন কিছুর দেখা মিলবে না। এটিই খেলা। এটিই অ্যাশেজ।
আমার নিজের ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রেও আমি জানি, ২০১৯ সালে হেডিংলির তৃতীয় টেস্টের ওই ইনিংসটি নিয়েই লোকে সবচেয়ে বেশি কথা বলবে আমার অবসরের পরও। যদি না জেনে থাকেন, তাহলে বলি, আমরা সিরিজে ২-০-তে পিছিয়ে ছিলাম, তৃতীয় টেস্ট জিতে ইংল্যান্ডকে টিকিয়ে রাখতে ৩৫৯ রান তাড়া করছিলাম। রেকর্ড রান তাড়া ছিল সেটি।
এমনই রোমাঞ্চকর, যা দেখলে মনে হয়, এরপর আর কখনো এমন কিছুর দেখা মিলবে না। এটিই খেলা। এটিই অ্যাশেজ।
কীভাবে পর্দার সামনে জনসমাগম হচ্ছিল—সে ভিডিও দেখেছি। অসম্ভব এ প্রত্যাবর্তন দেখতে এবং এরপর উদ্যাপন করতে। টটেনহামের নতুন স্টেডিয়ামের একটা ভিডিও দেখার কথা মনে পড়ে—খোলামেলা একটা পানশালাই হবে। শয়ে শয়ে কী, হাজারখানেক মানুষ মাঠে গিয়ে ফুটবল দেখার কথা ভুলে স্ক্রিনের সামনে নিজেদের আটকে রেখেছে। চলতি পথে থেমে যাওয়ার মতো একটি মুহূর্ত। পুরো দেশ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া দেখাটা অসাধারণ ছিল। এর অংশ হতে পারাটা আমার জন্য দারুণ গর্বের।
ওই মুহূর্তে আমার ইনিংস গড়ার একটিই রাস্তা খোলা ছিল। একবারও ভাবিনি নিজের ব্যাটিংয়ের ধরন বদলানোর কথা, নিরাপদে হাঁটার কথা। কারণ, একটা নির্দিষ্ট উপায়ে খেলেই আমরা ম্যাচে ফিরেছিলাম। আমার মনে পড়ে, লিচ ক্রিজে আসার পর থেকে আমি রান গুনছিলাম—কত লাগে, এক অঙ্কে আসতে কত বাকি। অস্ট্রেলিয়া যখন নাথান লায়নের মতো অফ স্পিনারকে আনল, আমি তখনো জানি, আক্রমণই করতে হবে। সিঙ্গেলস-ডাবলস আমাদের জেতাবে না।
যে ছক্কায় রান দুইয়ে নেমে এল, ভাই, আমি তো ওই শটটা বাউন্ডারি পার করতে যেন বলকে ফুঁ দিচ্ছিলাম। সত্যিই ফিল্ডারের আঙুল ছুঁয়ে গেল! ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্ত ছিল, পরস্থিতি যেকোনো দিকে যেতে পারত। তবে আমার মনে তখন বিকল্প কোনো রাস্তা নেই। যদি সেখানে পৌঁছাতে চাই, তাহলে আমার ওই এক উপায়েই খেলতে হবে—ভয়ডরহীন।
ম্যাচ জেতার পর আমরা পাগল হয়ে গেলাম, বাচ্চাদের মতো করতে লাগলাম। এদিক–সেদিক দৌড়ে উদ্যাপন করছিলাম সমর্থকদের মতো। ড্রেসিংরুমে দারুণ সময় কেটেছিল। এরপর বড় একটা ট্যাক্সিতে করে ম্যাকডোনাল্ডসে যাওয়া, প্রায় ২০০ পাউন্ডের বার্গার আর চিপস অর্ডার করা। রুট বিল দিয়েছিল। আমার মনে হয় ইয়র্কশায়ারের মানুষের হাত একটু আঁটসাঁট, এ ব্যাপারটি ভুল প্রমাণ করতে চেয়েছিল সে।
তবে পুরো গল্পটা তোলা থাক। হয়তো যখন বুড়ো হব, অবসর নেব, দুটি নতুন হাঁটু থাকবে…তবে এখন বর্তমানে, এই গ্রীষ্মে মনোযোগ আমার।
আমরা জানি, অ্যাশেজ বিশাল কিছু, অ্যাশেজ অভিজাত। স্বাভাবিক ক্রিকেট সমর্থকদের বাইরেও এর সীমানা। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ এর ইতিহাস জানে, জানে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার জন্য কতটা অর্থবহ এটি।
এ সিরিজের সঙ্গে আর কিছুর তুলনা নেই। চাপ, উন্মাদনা, এত এত আওয়াজ! তবে আমরা প্রস্তুত। গত বছর আমাদের ফল ভালো ছিল, এই দলের মানসিকতাও দৃঢ়। যা করছি, তার প্রতি সবাই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা জানি, আমরা কতটা ভালো। আমরা জানি, নিজেদের ভালো দিনে যে কাউকেই আমরা তাদের ভালো দিনেও হারাতে পারি।
আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি—
আমরা ভয়ডর ছাড়াই খেলব।
নিজেদের উজাড় করে দিয়ে খেলব।
আমরা কিছু স্মৃতি রেখে যাব।
আশা করি, ভস্মাধারটা যাতে ফিরে পাই, ফল তেমনই হবে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যা–ই ঘটুক না কেন—আপনারা আনন্দ পাবেন।