ভারতে পাকিস্তানের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন আকরাম
১৯৮৭, ১৯৯৬, ২০১১—উপমহাদেশে অনুষ্ঠিত তিনটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজন করলেও এ বছর এককভাবে স্বাগতিক হতে যাচ্ছে ভারত।
ঘরের মাঠে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে নিশ্চয়ই এক দশকের শিরোপা-খরা কাটাতে চাইবে রোহিত শর্মার দল। ৫০ ওভারের বিশ্ব আসরের সাম্প্রতিক ইতিহাসও রোহিত-কোহলিদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কখনো স্বাগতিক দেশ চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও ওয়ানডে বিশ্বকাপের ক্ষেত্রে বিপরীত। ২০১১, ২০১৫, ২০১৯—সর্বশেষ তিনটি টুর্নামেন্ট জিতেছে আয়োজক দেশ। সব মিলিয়ে নিজেদের মাঠে ভারতকে এক বাক্যে ফেবারিট মানছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা। তবে ওয়াসিম আকরাম মনে করেন, শিরোপার দৌড়ে ভারতকে এগিয়ে রাখা হলেও পাকিস্তানকেও গণনার বাইরে রাখা যাবে না।
২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়েই ফাইনালে উঠেছিল ভারত। এরপর শ্রীলঙ্কাকেও হারিয়ে ২৮ বছর পর ‘আসল বিশ্বকাপের’ স্বাদ পায় ভারতীয়রা। ১০ দলের বিশ্বকাপে সবার সঙ্গে সবার অন্তত একটি করে ম্যাচ থাকায় এ বছরও ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে। যদিও সেপ্টেম্বরে ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না গেলে তারাও ওয়ানডে বিশ্বকাপ বর্জনের হুমকি দিয়ে রেখেছে। তবে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান যদি বিশ্বকাপে অংশ নেয়, তাহলে উত্তরসূরিদের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন আকরাম।
ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তানও ফেবারিট কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে একটি ইউটিউব চ্যানেলকে আকরাম বলেছেন, ‘অবশ্যই পাকিস্তানের কথা বলব। আমরা চোখে দুই দলই অসাধারণ। তবে আমাদের অধিনায়ক (বাবর আজম) একজন অসাধারণ খেলোয়াড়, আমাদের ফাস্ট বোলিং লাইনআপও বিশ্বের অন্যতম সেরা।’
পাকিস্তানের প্রধান ফাস্ট বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি দারুণ ছন্দে থাকায় আকরাম আরও আশাবাদী। বিশেষ করে বোলার আফ্রিদি ধীরে ধীরে অলরাউন্ডার হয়ে ওঠায় দলের ওপর আস্থা বেড়ে গেছে ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী তারকার। সদ্য সমাপ্ত পিএসএল ফাইনালে ১৫ বলে ৪৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংস উপহার দেওয়ার পর বল হাতে ৪ উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি। তাঁর নেতৃত্বে লাহোর কালান্দার্স চ্যাম্পিয়নও হয়েছে।
সেই প্রসঙ্গ টেনেই আকরাম বলেছেন, ‘শাহিন আফ্রিদি এ মুহূর্তে ফর্মের তুঙ্গে রয়েছে। পিএসএলে ওর নেতৃত্বে লাহোর টানা দুবার শিরোপা জিতেছে। হারিস রউফ, নাসিম শাহরাও ভালো করেছে। মোহাম্মদ হাসনাইনের কথাও বলতে হয়। বিশ্বকাপে ভারতের পিচগুলো ব্যাটিং–সহায়ক হবে। তাই যে দলের বোলিং আক্রমণ শক্তিশালী, সে দলই জিতবে।’