সিডনিতে ২০০ ও ১০০–এর এক দিন
দিনটা বোলারদের নয়—সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আজ বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচের পাওয়ার প্লেতেই সেটা বোঝা যাচ্ছিল। আগে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ছয় ওভারেই ৬৩ রান তুলে ফেলে। প্রোটিয়ারা দুই শ রানের ভিত পেয়ে যায় তখনই। বাংলাদেশ দল ডেথ ওভারে দারুণ বোলিং করে সে পথে বাধা দিলেও শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ২০৫ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দশম দুই শ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি ইনিংসটিও দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রোটিয়ারা ৪ উইকেটে ২২৪ রান করেছিল।
এ ছাড়া বাংলাদেশের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি দুই শ ছাড়ানো ইনিংস নিউজিল্যান্ডের। তিনবার বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই শ’র বেশি রান করেছে কিউইরা। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা দুবার করে দুই শ’র বেশি রান করেছে, জিম্বাবুয়ে একবার।
আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির তালিকায় যুক্ত হয়েছে নতুন আরেকটি নাম। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রাইলি রুশো। তাঁর ইনিংসের সৌজন্যে দক্ষিণ আফ্রিকা দুই শ রান স্পর্শ করে। এর আগে আরেক প্রোটিয়া বাঁহাতি ডেভিড মিলার বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন, সেটা ২০১৭ সালে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরিটি নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামের। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঘটনা সেটি। পাল্লেকেলেতে সেদিন ১২৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন তিনি, যা এখনো টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস।