সঙ্গীর অভাবে ১৯ রানের আক্ষেপ হোল্ডারের
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ষষ্ঠ উইকেটের পতন হয়েছিল ৩০৯ রানে। পরের ১১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রোটিয়ারা অলআউট হয় ৩২০ রানে। আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান আউট হন দলীয় ১১৬ রানে। শেষ ৪ উইকেটে ১৩৪ রান যোগ করে ক্যারিবীয়রা অলআউট হওয়ার আগে তুলতে পেরেছে ২৫১।
শুরুটা বাজে হওয়ার পরও ওয়েস্ট ইন্ডিজ আড়াই শতে পৌঁছাতে পেরেছে মূলত জেসন হোল্ডারের কারণে। লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে ছোট ছোট জুটি গড়ে ৮১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার। কে জানে, সঙ্গী পেলে হয়তো তিন অঙ্কও স্পর্শ করতে পারতেন।
জোহানেসবার্গ টেস্টে হোল্ডারের দৃঢ়তার পরও দ্বিতীয় দিন শেষে পিছিয়ে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ৬৯ রানের লিড পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ৪ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে। লিড ৭৩ রানের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে প্রথম ধাক্কা লাগে তেজনারায়ণ চন্দরপলের রান আউটে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দ্রুত সিঙ্গেল তুলে নিতে গেলে টেম্বা বাভুমার সরাসরি থ্রোয়ে আউট হন তিনি। কিছুক্ষণ পর কাগিসো রাবাদার শিকার হয়ে ফেরেন অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাফেট। ২২ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডল অর্ডারও হাল ধরতে পারেনি।
ডানহাতি পেসার জেরাল্ড কোয়েটজের জোড়া ধাক্কায় দ্রুত আউট হয়ে যান জার্মেইন ব্ল্যাকউড আর রেমন রেইফার। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৩ রানের একটি জুটি গড়ে তোলেন রোস্টন চেজ ও কাইল মেয়ার্স। ১৩ রানের ব্যবধানে এ দুজন আউট হয়ে গেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরবোর্ড পরিণত হয় ৬ উইকেটে ১১৬ রানে।
সেখান থেকে জশুয়া ডি সিলভার সঙ্গে ৪১ খেমার রোচের সঙ্গে ৩১ আর গুদাকেশ মোতির সঙ্গে ৫৮ রানের জুটি গড়েন হোল্ডার। এগারো নাম্বার ব্যাটসম্যান মোতি ৪০ বল খেলে ১৭ রানে আউট হয়ে গেলে অপর প্রান্তে ৮১ রানে অপরাজিত থেকে যান হোল্ডার। ১১৭ বল খেলা ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ৪টি ছয়। দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান মেয়ার্সের।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪১ রানে ৩ উইকেট নেন দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা কোয়েটজে। ২টি করে উইকেট রাবাদা ও সাইমন হারমারের।