১ রানে হেরে বিদায়ের শঙ্কায় সিলেট, হৃদয়-মুশফিকের ফেরার দিনেও রাজশাহীর হার

তাওহিদ হৃদয়ের ৬৯ রানের ইনিংস রাজশাহীর কোনো কাজে আসেনিছবি: বিসিবি

মাহফুজুর রহমান রাব্বি নিজেকে কীভাবে সান্ত্বনা দিচ্ছেন, কে জানে!

ম্যাচের অন্তিম ওভার করতে আসা শহীদুল ইসলামের অপেক্ষাকৃত ভালো বলগুলোতেও ৩ ছক্কা মেরেছেন মাহফুজুর। অথচ শেষ বলটা লো ফুল টস পেয়েও বাউন্ডারি মারতে পারলেন না।

তাঁর বিস্ফোরক ইনিংসটা বৃথা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সিলেট বিভাগও জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টির প্রথম পর্ব থেকে বিদায়ের শঙ্কায় পড়ে গেল। স্বাগতিকদের ১ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ পর্ব নিশ্চিত করল ঢাকা মহানগর। টানা পাঁচ জয়ে সবার আগে প্লে-অফে উঠে গেছে রংপুর বিভাগ

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ দিনের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৫৬ রান করেছিল ঢাকা মহানগর। জবাবে মাহফুজুরের ৩ চার ও ৭ ছক্কায় ৩৯ বলে অপরাজিত ৮২ রানের পরও সিলেট ৭ উইকেট হারিয়ে থামল ১৫৫ রানে।

বৃথা গেছে মাহফুজুরের বীরত্বপূর্ণ ব্যাটিং
ছবি: বিসিবি

অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় অনেক আগেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ার অবস্থায় গিয়েছিল সিলেট। শেষ ২ ওভারে দলটির দরকার ছিল ৩৯ রান। সেই ম্যাচকেই জাগিয়ে তোলেন মাহফুজুর। দলের শেষ ৩৭ রান তিনি একাই করেন।

আরও পড়ুন

১৯তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন ঢাকা মহানগরের পেসার আবু হায়দার। তাঁর ওভার থেকে ২ চার, ১ ছক্কা ও এক সিঙ্গেলে ১৯ রান নেন সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া মাহফুজুর। শহীদুলের করা শেষ ওভারের সব কটি বল তিনিই খেলেন। স্ট্রাইকে থাকতে দ্বিতীয় বলে রান না নিলেও অন্য চার বলে ৩ ছক্কা ও এক ডাবলসে নেন ২০ রান। শেষ বলে দরকার ছিল ৪ রান; কিন্তু শহীদুলের লো ফুল টস বলটা লং অনের দিকে পাঠিয়ে নিতে পারেন ২।

এর আগে আনিসুল ইসলামের ৩৯, শামসুর রহমানের ২৮ ও শেষ দিকে আবু হায়দারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে (২৩ বলে অপরাজিত ৪৭) ঢাকা মহানগরের স্কোর দেড় শর ওপারে যায়। ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সিলেটের সেরা বোলার নাইম হোসেন।

মুশফিক-হৃদয়ও জেতাতে পারলেন না রাজশাহীকে

সিলেট আউটার স্টেডিয়ামে অন্য ম্যাচে রাজশাহী বিভাগকে ৪ রানে হারিয়ে প্লে-অফ পর্বে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে চট্টগ্রাম বিভাগ। তামিম ইকবালহীন চট্টগ্রাম আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান করেছিল। ওপেনিংয়ে নেমে ফিফটি করেছেন মুমিনুল হক, ফিফটির দেখা পেয়েছেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুরও। জবাবে তাওহিদ হৃদয়ের ৫০ বলে ৬৯ ও মুশফিকুর রহিমের ৩১ বলে ৪৬ রানের পরও রাজশাহী থামে ১৯৪ রানে।

হতাশ মুশফিকুর রহিম। প্রত্যাবর্তন ম্যাচে হেরেছে তাঁর দল রাজশাহী
ছবি: বিসিবি

চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যেতে না পারা মুশফিক ও হৃদয় এ ম্যাচ দিয়েই খেলায় ফিরেছেন। দুজনেই সর্বশেষ খেলেছিলেন আফগানিস্তানের বিপক্ষে নভেম্বরে শারজায় হওয়া ওয়ানডে সিরিজে।

কিন্তু জাতীয় দলের দুই ব্যাটসম্যানের প্রত্যাবর্তনের দিনে আসরের প্রথম পর্ব থেকে বিদায়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে রাজশাহী। প্রথম ম্যাচ জয়ের পর টানা চার হারে পয়েন্ট তালিকার সাতে নেমে গেছে উত্তরবঙ্গের দলটি। আর আজকের জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে উঠে আসা চট্টগ্রাম প্লে-অফে খেলার সম্ভাবনা ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রেখেছে।