তামিম বললেন, ‘স্ট্রেঞ্জ শট খেলে আউট হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা’
শুরুটা হয়েছে গতকালই। আর সেটা করেছেন হাসান মাহমুদ। শেষ বিকেলে তাঁকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়েছিল দিনের শেষ ভাগটায় উইকেট ‘পাহারা’ দেওয়ার জন্য। আর তিনি কি না রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ছয় মারতে গিয়ে ফিরলেন বোল্ড হয়ে।
তা হাসান এমন বোকামি করতেই পারেন! তিনি তো আর ব্যাটসম্যান নন। কিন্তু মুমিনুল হক-নাজমুল হোসেনরা যেটা করেছেন, সেটাকে কোন দৃষ্টিতে দেখবেন! তামিম ইকবালের ভাষায় মুমিনুল-নাজমুলরা আউট হয়েছেন ‘স্ট্রেঞ্জ’ শট খেলে।
দিনের প্রথম বলটাতেই সুইপ শট খেলেন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মুমিনুল। পরের বলেও তাই, রানও পেলেন একটি এবং যতক্ষণ উইকেটে ছিলেন, আরও কয়েকটি সুইপ খেললেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সুইপই তাঁর ‘মৃত্যু’ ডেকে এনেছে। অশ্বিনকে সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন লেগ স্লিপে।
মুমিনুলের আউটের ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে উঠছিলেন সাদমান ইসলাম ও নাজমুল। চতুর্থ উইকেটে দুজনে মিলে গড়েছেন ৫৫ রানের জুটি। যখন মনে হচ্ছিল, ম্যাচটি নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, তখনই এক স্ট্রেঞ্জ শট খেললেন নাজমুল।
রবীন্দ্র জাদেজার বলটি লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছিল। নাজমুল রিভার্স সুইপ খেলতে গেলেন। কিন্তু শরীর থেকে অনেকটাই দূরে থাকা বলটি তিনি ব্যাটে পেলেন না। বল মিস করে ফিরলেন বোল্ড হয়ে। এরপর সাদমান আউট হয়েছেন গালিতে ক্যাচ দিয়ে, লিটন দাস উইকেটের পেছনে। সাকিব রক্ষণ করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন জাদেজাকে।
সাকিবের আউটের সময়টায় ধারাভাষ্যকক্ষে ছিলেন তামিম। রবি শাস্ত্রী তখন কথা বলছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আউটের ধরন নিয়ে। তামিমকে তিনি নাজমুলের আউট নিয়ে প্রশ্ন করেন। তামিম বলেন, ‘স্ট্রেঞ্জ শট খেলে আউট হয়েছে, ভালো একটা জুটি হতে চলেছিল। এই সময়ে এই সব শটের কোনো প্রয়োজনই ছিল না। এটা গুরুত্বপূর্ণ যে তুমি ভালো সুইপ খেল কি না, ভালো রিভার্স সুইপ খেল কি না। এরপরও এমন সময়ে এই ধরনের শট নিশ্চয়ই তুমি খেলবে না। আর এক ম্যাচে সব ধরনের শটই বা কেন খেলতে হবে!’
এ সময় শাস্ত্রী বলেন, ‘খুব বাজে শট সিলেকশন।’