টেস্টে সেঞ্চুরির ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ দেখে ফেলল বাংলাদেশ
শুবমান গিল না ঋষভ পন্ত—কে আগে সেঞ্চুরি পাবেন, এ প্রশ্ন নিয়ে শুরু হয়েছিল চেন্নাই টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনের খেলা। গিলকে পেছনে ফেলে সেই দৌড়ে প্রথম হয়েছেন পন্ত, তবে তাতে একটি মাইলফলকে নিজের নাম লেখানোর সুযোগ হারিয়েছেন ভারতের এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। পন্ত আগে সেঞ্চুরি পেয়ে যাওয়াতেই যে টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০তম সেঞ্চুরিটির মালিক হয়ে গেছেন গিল।
টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন গাই হুইটাল। ২০০১ সালে বাংলাদেশের জিম্বাবুয়ে সফরের প্রথম টেস্টে বুলাওয়েতে সেই সেঞ্চুরি করেন জিম্বাবুইয়ান ওপেনার হুইটাল।
১১ বছর পর চট্টগ্রামে বাংলাদেশের বিপক্ষে শততম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ। ১৩ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরির ডাবল সেঞ্চুরি হলো গিলের ব্যাটে।
টেস্ট ক্রিকেটে নবম দল হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০ সেঞ্চুরি হলো। জিম্বাবুয়ে এবং টেস্ট ক্রিকেটের নবীনতম দুই সদস্য আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান ছাড়া সব দলের বিপক্ষেই তা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষেই সবচেয়ে কম টেস্টে ২০০ সেঞ্চুরি হলো।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০তম সেঞ্চুরিটি হলো ১৪৫তম টেস্টে। যেখানে এর আগে কোনো দলের ২০০ সেঞ্চুরির ভুক্তভোগী হতে সবচেয়ে কম টেস্ট খেলার রেকর্ড ছিল ২০৮, তা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। শুধু ম্যাচের হিসাবেই নয়, সময়ের হিসাবেও বাংলাদেশ অনাকাঙ্ক্ষিত এই রেকর্ডে দ্রুততম। টেস্ট অভিষেকের ২৪ বছর হওয়ার আগেই ‘২০০’ দেখে ফেলল বাংলাদেশ। আগের রেকর্ডটা ছিল শ্রীলঙ্কার। টেস্ট অভিষেকের ৩০ বছর পর ২০১২ সালে নিজেদের খেলা ২১৭তম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০তম টেস্ট সেঞ্চুরি হয়েছিল।
কত টেস্টে কোন দলের বিপক্ষে ২০০তম সেঞ্চুরি
টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সবার আগে ২০০ সেঞ্চুরি হয়েছে, সেটি ১৯৫১ সালে। টেস্টে সবচেয়ে বেশি, ৮৭২টি সেঞ্চুরিও হয়েছে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই। ইংল্যান্ড অবশ্য সবচেয়ে বেশি ১০৭৭টি টেস্টও খেলেছে। ৮৬৬ ম্যাচ খেলে অনেকটা পেছনে থেকেই যেখানে দুইয়ে অস্ট্রেলিয়া। টেস্টের মতো প্রতিপক্ষের সেঞ্চুরিতেও দুইয়ে অস্ট্রেলীয়রা—৬৪২।