- চট্টগ্রাম থেকে স্বাগত!
- টস
- হৃদয়ের অভিষেক
- জর্ডান ও ডাকেট আছেন
- তিন ওভারে তিন চার
- মোস্তাফিজের ওভারে ১৩
- এক ওভারে দুই সুযোগ হাতছাড়া
- ৬ উইকেটের দাপুটে জয় বাংলাদেশের
চট্টগ্রাম থেকে স্বাগত!
ওয়ানডের পর এবার টি-টয়েন্টির পালা। জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি স্বাগতিক বাংলাদেশ।
প্রিভিউ
সাদা বলের দুই বিশ্বকাপেরই চ্যাম্পিয়ন ওরা। তারপরও যদি প্রশ্ন হয়—ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দল আর টি-টোয়েন্টি দলের মধ্যে কোনটা বেশি ভালো?
বাংলাদেশের দুই দলের মধ্যে কোনটি ভালো, এটা কোনো প্রশ্নই নয়। প্রশ্ন নয় উত্তরটা সবারই জানা বলে। দুই সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে যে সামান্য এগিয়ে রাখা যাচ্ছিল, তার কারণও ওটাই। আরও নির্দিষ্ট করে বললে সেই কারণ, দেশের মাটিতে টানা সাতটি ওয়ানডে সিরিজ জয়। সেই জয়ের ধারায় যে ছেদ পড়েছে, এটা তিন দিনের বাসি খবর।
টস
টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
আমরা ঠিক জানি না কতো রান যথেষ্ট হবে। এ কারণে আগে তাদের ব্যাটিং করতে দিচ্ছি। নতুনেরা বিপিএলে ভালো করেছে। আশা করি এখানেও করবে।সাকিব আল হাসান
আমরা আগে ব্যাটিং-ই করতাম।জস বাটলার
হৃদয়ের অভিষেক
অভিষেক হচ্ছে তৌহিদ হৃদয়ের। আট বছর পর টি-টোয়েন্টি খেলছেন রনি তালুকদার, দলে ফিরেছেন শামীম হোসেনও।
একাদশ
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন, রনি তালুকদার, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, তৌহিদ হৃদয়, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও শামীম হোসেন।
জর্ডান ও ডাকেট আছেন
টি-টোয়েন্টি দলে যোগ দেওয়া বেন ডাকেট ও ক্রিস জর্ডান—দুজনই আছেন প্রথম ম্যাচের ইংল্যান্ড একাদশে। অভিষেকের অপেক্ষা বাড়ছে রেহান আহমেদের।
একাদশ
ফিল সল্ট, জস বাটলার (অধিনায়ক), ডেভিড ম্যালান, বেন ডাকেট, মঈন আলী, স্যাম কারেন, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদ, জফরা আর্চার ও মার্ক উড।
পারবে বাংলাদেশ?
তিন ওভারে তিন চার
প্রথম ওভারে স্পিন, পরের দুই ওভারে পেস—এভাবে শুরু করেছেন সাকিব। নাসুম আহমেদের পর আনা হয়েছে তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানকে। প্রতি ওভারেই এসেছে একটি করে চার। ফিল সল্ট মেরেছেন দুটি, জস বাটলার একটি। যদিও তৃতীয় ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ। ইংল্যান্ড ৩ ওভারে ২৩/০।
মোস্তাফিজের ওভারে ১৩
প্রথম বলে চার মেরেছিলেন ফিল সল্ট, তবে পরের চার বলে তিনটি সিঙ্গেল দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। আরেকটি ভালো ওভারের শেষটা অবশ্য ভালো হলো না। টেনে লং অন দিয়ে তাতে ছক্কা মেরেছেন জস বাটলার, ইনিংসের প্রথম ছক্কা সেটি। পাওয়ারপ্লের ১ ওভার বাকি থাকতে ইংল্যান্ড তুলেছে বিনা উইকেটে ৪৪ রান।
এক ওভারে দুই সুযোগ হাতছাড়া
পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে দুই ইংলিশ ওপেনারের উইকেটই পেতে পারতেন নাসুম আহমেদ। পেলেন না একটিও।
প্রথম বলে ফিল সল্ট দিয়েছিলেন ফিরতি ক্যাচ, একটু নিচু হয়ে হাত লাগালেও সেটি রাখতে পারেননি নাসুম নিজেই। সল্ট তখন ব্যাটিং করছিলেন ২০ রানে। চতুর্থ বলে জায়গা বানিয়ে খেলতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আকাশে তুলেছিলেন বাটলার। মিড অনে অনেকটা সময় নিয়ে বলের নিচে নিজেকে নিয়ে গিয়েও সহজতম ক্যাচটি রাখতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব। জীবন পাওয়ার সময় বাটলারের রান ছিল ১৯।
পাওয়ারপ্লেতে ৫১ রান তুলেছে ইংল্যান্ড, কোনো উইকেট না হারিয়েই।
সল্টকে ফিরিয়ে ৮০ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙলেন নাসুম
পাওয়ারপ্লের পর ২.৫ ওভারে ইংল্যান্ড তুলতে পেরেছিল ১১ রান, সাকিব ও নাসুমের আঁটসাঁট বোলিংয়ে। নবম ওভারের শেষ বলে অবশ্য সাকিবকে লং অন দিয়ে ছক্কা মেরেছেন বাটলার। ইনিংসে ইংল্যান্ড অধিনায়কের এটি দ্বিতীয় ছক্কা। পরের ওভারে নাসুমের ওপর চড়াও হয়েছিলেন দুই ওপেনার। রিভার্স সুইপে বাটলারের চারের পর সোজা সাইটস্ক্রিন বরাবর সল্ট মেরেছেন ছক্কা।
তবে শেষ বলে গিয়ে প্রথম উইকেটের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। সল্টকে কট বিহাইন্ড দিয়েছিলেন আম্পায়ার মাসুদুর রহমান, তাতে অবশ্য ইংলিশ ওপেনার রিভিউ নেন সঙ্গে সঙ্গেই। তবে আল্ট্রা-এজ নিশ্চিত করেছে, ব্যাটের নিচের দিকে লেগেছে বল। সল্ট ফিরেছেন ৩৫ বলে ৩৮ রান করে। ইংল্যান্ড দশম ওভারের শেষ বলে প্রথম উইকেট হারিয়েছে দলীয় ৮০ রানে।
রনির অপেক্ষার অবসান
২০১৫ সালে প্রথম ম্যাচটি খেলেছিলেন, ২০২৩ সালে এসে আরেকটি টি-টোয়েন্টি খেলছেন রনি তালুকদার। বাংলাদেশের আর কোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারকে এত অপেক্ষা করতে হয়নি।
সাকিবের শিকার ম্যালান
সামনে এসে সাকিবকে টেনে মেরেছিলেন ডেভিড ম্যালান, তবে যতটা তুলতে চেয়েছিলেন ততটা পারেননি। লং অনে নাজমুল হোসেন ভুল করেননি, বাংলাদেশ অধিনায়ক পেয়েছেন দিনে প্রথম উইকেটের দেখা। ৮ রানের ব্যবধানে আরেকটি উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড, ৮৮/২।
বাটলারের ফিফটি, ইংল্যান্ডের ১০০
হাসান মাহমুদকে টানা দুই ছক্কার পথে ফিফটি হয়ে গেল বাটলারের। মাইলফলকে যেতে ইংল্যান্ড অধিনায়কের লেগেছে ৩২ বল। ১৩তম ওভারে ১০০ পেরিয়েছে ইংল্যান্ড।
১৫ ওভারে ইংল্যান্ড ১২৬/২
বাটলার অপরাজিত ৩৯ বলে ৬৪ রান নিয়ে, ডাকেট ব্যাটিং করছেন ৯ বলে ১৫ রান করে। কতদূর যাবে ইংল্যান্ড?
স্কুপ, বোল্ড
প্রথমে তাসকিন আহমেদকে স্কুপ করে চার মেরেছিলেন। এবার বেন ডাকেটের স্কুপের শিকার মোস্তাফিজুর রহমান। তবে এ ওভারে মোস্তাফিজের শিকারে পরিণত হলেন তিনি। ক্রস সিমের বলটি নিচু হয়েছিল বেশ, আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে নাগালই পাননি ডাকেট। ১৩ বলে ২০ রান করে থেমেছেন তিনি, ইংল্যান্ড তৃতীয় উইকেট হারিয়েছে ১৬তম ওভারের শেষ বলে। ১৩৫ রান এখন তাদের।
বাটলারকে থামালেন হাসান
আগের ওভারের শেষ বলে মোস্তাফিজের শিকার ডাকেট, পরের ওভারের প্রথম বলে হাসান মাহমুদের বলে ফিরলেন বাটলার। লং অন দিয়ে টেনে মারার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে ইংল্যান্ড অধিনায়কের, ৪২ বলে ৬৭ রানের ইনিংস খেলেছেন এর আগে। ২ বলের মধ্যে তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেট হারাল ইংল্যান্ড।
অলরাউন্ডার, অলরাউন্ডার
ইংল্যান্ড এ ম্যাচে খেলছে মাত্র চার জন স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নিয়ে, যাঁরা সবাই ফিরে গেছেন। ক্রিজে মঈন আলীর সঙ্গে স্যাম কারেন—দুই অলরাউন্ডার। আসতে বাকি ক্রিস ওকস। অবশ্য ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদ—দুজনই ব্যাটিং পারেন।
১৭ ওভারে ১৩৬/৪।
হাসানের দুর্দান্ত ফেরা
২০ বল বাউন্ডারি ছাড়া, এরপর উইকেট। হাসানের বলে লং অনে ধরা পড়েছেন স্যাম কারেন। এবার সাকিব ভুল করেননি, ইংল্যান্ড পঞ্চম উইকেট হারিয়েছে ১৪৬ রানে।
৪ ওভারে মাত্র ২৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে বোলিং শেষ করলেন হাসান, প্রথম ২ ওভারেই যিনি দিয়েছিলেন ২১ রান।
৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে বোলিং আগেই শেষ করেছেন সাকিবও।
১৫৬ রানেই থামল ইংল্যান্ড
মঈন আলীর ক্যাচটা আরেকটু হলেই জুটি বেঁধে দারুণভাবে নিয়েছিলেন নাজমুল ও রনি। সীমানা পেরোনোর আগে বলটা বাউন্ডারির ভেতরে রাখতে পেরেছিলেন নাজমুল, তবে দৌড়ে আসা রনির নাগালের একটু বাইরেই ছিল সেটি। ডাইভ দিয়েছিলেন, রাখতে পারেননি। ক্যাচটি হতে পারলে শেষটা হয়তো ‘পারফেক্ট’ হতো বাংলাদেশের। তবে যা হয়েছে, সেটিই বা কম কী!
১৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১২৬ রান! হাসান মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমানরা এরপর বেশ ভালোভাবে চেপে ধরেন ইংল্যান্ডকে। ফলে শেষ ৫ ওভারে সফরকারীরা তুলতে পেরেছে মাত্র ৩০ রান। এ সময়ে তারা হারিয়েছে ৪ উইকেট।
শেষ ওভারে এসে তাসকিন আহমেদের লো ফুলটসে পয়েন্ট দিয়ে চার মেরেছেন ক্রিস জর্ডান, তাতে কেটেছে ২৬ বলের বাউন্ডারি খরা। শেষ ওভারে তাসকিন দিয়েছেন ৯ রান, ইংল্যান্ড ২০ ওভারে থেমেছে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান তুলেই।
প্রথম ওভারে ১০
স্যাম কারেনের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে কাভার দিয়ে চার। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে রনি তালুকদারের এটিই প্রথম চার। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাতে নেমে ২২ বলে ২১ রান করেছিলেন রনি, মেরেছিলেন একটি ছক্কা। রনির আগেই কারেনকে ডাউন দা গ্রাউন্ডে এসে মিডউইকেট দিয়ে চার মেরেছেন লিটন। প্রথম ওভারে ১০ রান, ইতিবাচক শুরু বাংলদেশের।
ঝোড়ো শুরু রনি-লিটনের
আর্চারের ঘণ্টায় ১৩৯ কিলোমিটার গতির বাউন্সার, রনির পুল পরাস্ত করেছে মিডউইকেটের ফিল্ডারকে। ৮ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা রনি পেয়েছেন আরেকতি চার, প্রথম ৩ ওভারে বাংলাদেশ তুলে ফেলেছে ৩২ রান। উইকেটের খোঁজে চতুর্থ ওভারেই আদিল রশিদকে এনেছেন বাটলার। সাধারণত মাঝের ওভারগুলোতেই আসেন রশিদ, তবে আজকের পরিস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন!
রশিদে ব্রেকথ্রু
এবং সফল রশিদ!
বিশ্বের অন্যতম সেরা সীমিত ওভারের স্পিনারের গুগলি পড়তেই পারেননি রনি। নিজের প্রথম ওভারেই ব্রেকথ্রু দিলেন রশিদ, প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ১৪ বলে ২১ রান করে ফিরতে হলো রনিকে। বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়েছে ৩৩ রানে।
রশিদ থামেননি সেখানেই। তাঁর গুগলিতে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে মিস করে এলবিডব্লু হয়েছিলেন নাজমুল। রিভিউ করেছিলেন, এবং সফলও হয়েছে সেটি। আল্ট্রা-এজ দেখিয়েছে—ব্যাটের পাশে থাকার সময় স্পাইক। নাজমুল অবশ্য রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে তেমন আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না। রশিদকে কাভার ড্রাইভে চার মেরে ওভার শেষ করেছেন নাজমুল।
বাংলাদেশ ৪ ওভারে ৩৭/১।
ফিরলেন লিটনও
ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার গতির স্লোয়ার ছিল আর্চারের। সেটিতে টেনে মারতে গিয়ে ওপরে তুলে দিয়েছেন লিটন। মিডঅনে ভুল করেননি ক্রিস ওকস। পাওয়ারপ্লের মধ্যে দুই ওপেনারকেই হারাল বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে ধুঁকতে থাকা লিটন ফিরলেন ১০ বলে ১২ রান করে।
পাওয়ারপ্লেতে ৫৪
ক্রিস ওকসকে ডাউন দা গ্রাউন্ডে প্রথম চারটি মেরেছেন তৌহিদ হৃদয়। পরের বল ছিল প্যাডের ওপরে, ফ্লিক করে সেটিতেও চার মেরেছেন তিনি। টানা দুই চারে পাওয়ারপ্লে শেষ করেছে বাংলাদেশ, উঠেছে ৫৪ রান। প্রথম ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫১ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড।
উডকে টানা চার চার নাজমুলের
প্রথম চারটা হয়েছিল মিড অনের নাগালের একটু বাইরে দিয়ে। তবে পরের তিনটি চারে নাজমুলের কর্তৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ ছিল দুর্দান্ত। মার্ক উডকে টানা চারটি চার মেরেছেন নাজমুল, চট্টগ্রামে উড়ছে বাংলাদেশ। ৭ ওভারে ৭১/২!
ডেথের নায়ক হাসান
ইনিংসের শেষ ১০ ওভারের ৪টিই করেছেন হাসান। তাঁর ৪ ওভার থেকে মাত্র ২৬ রান নিতে পেরেছে ইংলিশরা, নিজের শেষ দুই ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে হাসান আউট করেছেন বাটলার ও স্যাম কারেনকে। দলের অন্য দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানও শেষের ওভারে তাদের সেরাটা দিয়েছেন। বাংলাদেশও পেয়েছে তাড়া করে জেতার মতো স্কোর।
নাজমুলকে আটকাতে পারছে না ইংল্যান্ড
রশিদের পর কারেন—উইকেট নেওয়ার প্রধান দুই অস্ত্রকে পরপর দুই ওভারে এনেছিলেন বাটলার। দুজনকেই একটি করে চার মেরেছেন নাজমুল। মাত্র ১৯ বলে খেলে ৪০ রানে অপরাজিত তিনি, হৃদয়ের সঙ্গে তাঁড় তৃতীয় উইকেট জুটি অবিচ্ছিন্ন ২৫ বলে ৪৭ রানে।
বেশ এগিয়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ১০ ওভারে ৯৮/২। এ সময়ে ইংল্যান্ড তুলেছিল ১ উইকেটে ৮০ রান।
নাজমুলের ফিফটি, ফিরলেন হৃদয়
আদিল রশিদ—বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনারকে পাত্তাই দিলেন না হৃদয়! ফিল্ডার সামনে এনে ঝুঁকি নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখা হয়েছিল, হৃদয় নিয়েছেন সেটিই। স্লগ সুইপ করে মেরেছেন ছক্কা। তাতেই বাংলাদেশ পেরিয়ে গেছে ১০০, ১১তম ওভারেই। নাজমুলের সঙ্গে হৃদয়ের ফিফটি জুটি হয়ে গেছে আরও আগেই।
পরের ওভারে মঈন আলীর বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেছেন নাজমুল। মাত্র ২৭ বলেই। তবে এ ওভারেই সামনে এসে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন হৃদয়, ১৭ বলে ২৪ রান করে। নাজমুলের সঙ্গে হৃদয়ের জুটিতে ৩৯ বলে উঠেছে ৬৫ রান।
উডের গোলায় ফিরলেন নাজমুল
লেগ সাইডে চার জন ফিল্ডার সীমানায়। ইঙ্গিত দিচ্ছিল শর্ট বলের। ঘণ্টায় ১৪৬ কিলোমিটার গতি। নাজমুল যতটা প্রত্যাশা করেছিলেন, মার্ক উডের বলটা ততটা ওঠেনি। ব্যাকফুটে গিয়ে শেষ মুহূর্তে ব্যাট নামালেও নাগাল পাননি নাজমুল, তাঁর ৩০ বলে ৫১ রানের ইনিংস থেমেছে বোল্ড হয়ে। দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে পরপর ২ ওভারে হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। অবশ্য ৪৬ বলে ৪৫ রান প্রয়োজন, চটগ্রামে নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের কাছেই আছে। তবে দরকার আরেকটি জুটি।
৫ রানে বাঁচলেন আফিফ
মঈন আলীকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ তুলেছিলেন আফিফ। অবশ্য বেশ কঠিন সুযোগ ছিল, তবে ডেভিড ম্যালান লাফিয়ে হাত লাগিয়েছিলেন বলে। উলটো ঘুরে দ্বিতীয় দফা চেষ্টা করেছিলেন আবার, তবে শেষ পর্যন্ত রাখতে পারেননি ক্যাচটি। ৩৬ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৩৪ রান।
মঈনকে টানা দুই চার সাকিবের
নিজের শেষ ওভার করতে এসেছিলেন মঈন, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে টানা দুটি চার মেরেছেন সাকিব। শেষ ৪ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন মাত্র ১৯ রান। ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন মঈন।
১৮ বলে ১০
অফ স্টাম্পের বাইরে ফুললেংথের বল ছিল জফরা আর্চারের। আফিফ হোসেন তাতে খেললেন বাঁধিয়ে রাখার মতো এক কাভার ড্রাইভ। হয়তো ইংল্যান্ডের শেষ আশা ছিল আর্চারের এই ওভার, আফিফের ওই শটে বাংলাদেশ দলের বার্তাটাও পরিষ্কার হয়ে গেল যেন। ৩ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১০ রান।
৬ উইকেটের দাপুটে জয় বাংলাদেশের
ক্রিস জর্ডানের বলে আউটসাইড-এজড হয়েছিলেন সাকিব। থার্ডম্যানে থাকা স্যাম কারেন ডাইভ দিয়েও নাগাল পাননি সেটির। বাংলাদেশ অধিনায়কের মারা ওই চারেই নিশ্চিত হয়েছে দাপুটে এক জয়। সেটির ব্যবধান ৬ উইকেট। ১৫৭ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ পেরিয়ে গেছে ২ ওভার বাকি রেখেই!
রান তাড়ায় রনি তালুকদার ও লিটন দাসের ইতিবাচক শুরুই পথ দেখায় বাংলাদেশকে। এরপর নাজমুল হোসেনের ঝোড়ো ফিফটি, তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তাঁর ঝোড়ো জুটি ইংল্যান্ডকে প্রায় লড়াই থেকে ছিটকে দেয়। বোলিংয়ে জস বাটলারের হাতে অপশন ছিল অনেক, তবে কাজে আসেনি তা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড ইনিংসের ১৬তম ওভারের শেষ বলে ফিরেছিলেন বেন ডাকেট। ইংল্যান্ডের পথ হারানো ও বাংলাদেশের ম্যাচে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়া সেখানেই। সে নিয়ন্ত্রণ আর হারায়নি বাংলাদেশ।
হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত ডেথ বোলিংয়ের পর টপ অর্ডারে আগ্রাসী ব্যাটিং চাপে ফেলে দেয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। সে চাপ আলগা হয়নি। প্রায় ভরা জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম দেখেছে বাংলাদেশের দারুণ এক জয়।
এ সংস্করণে দুই দলের এটি মাত্র দ্বিতীয় দেখা। ২০২১ বিশ্বকাপে প্রথম দেখায় হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার বদলে গেল ফলটা।
ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচের পর এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ম্যাচেই জয় পেল বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ আগামী ১২ মার্চ, মিরপুরে।