আফ্রিদির ইয়র্কারে গুরবাজ হাসপাতালে
হাঁটুর চোটে এশিয়া কাপ ও দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাত ম্যাচের সিরিজ এবং নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলতে পারেননি শাহিন শাহ আফ্রিদি। চোট-পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য থাকতে হয়েছে লন্ডনে। চোটমুক্ত হয়েই বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। এত দিন মাঠের বাইরে থেকে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলা যেকোনো ক্রিকেটারের জন্যই কঠিন। অনেকেই প্রশ্ন করেছিলেন, বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত তো আফ্রিদি?
আফ্রিদি সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে, রহমানউল্লাহ গুরবাজকে করা এক ইয়র্কারে। যে ইয়র্কারে ফর্মের তুঙ্গে থাকা গুরবাজকে প্রথম বলেই এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন এই পেসার। আফ্রিদির করা ইনসুইং ইয়র্কার এই ওপেনারের বাঁ পায়ে সরাসরি আঘাত হানে, মাঠেই ব্যথায় কাতরাতে থাকেন গুরবাজ।
কিছু সময়ের জন্য খেলাও বন্ধ রাখা হয়। মাঠে আফগানিস্তানের ফিজিও এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। গুরবাজকে শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে হয় অন্য এক ক্রিকেটারের কাঁধে ভর করে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ম্যাচ চলার সময়ই গুরবাজের বাঁ পা স্ক্যান করাতে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গুরবাজের পর আফগানিস্তানের আরেক ওপেনার হজরতউল্লাহ জাজাইকেও আউট করেছেন আফ্রিদি। প্রস্তুতি ম্যাচে আগে ব্যাট করে দুই ওপেনার দ্রুত ফিরলেও মোহাম্মদ নবী ও উসমান গণির ব্যাটিংয়ে ১৫৪ রান তুলেছে আফগানিস্তান।
৩৭ বলে ৫১ রানে নবী ও উসমান গণি ২০ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। ৮২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর এই দুই ব্যাটসম্যানের ৭২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই লড়াই করার মতো সংগ্রহ পান রশিদ খানরা। পাকিস্তানের হয়ে ২৯ রানে ২ উইকেট নেন আফ্রিদি।
১৫৪ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ২ ওভার ২ বলে ১৯ রান করার পর বৃষ্টি বাধায় খেলা বন্ধ হয়ে যায়। বৃষ্টি না থামলে পরে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
নিজেদের খেলা প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে সহজেই জিতেছিল আফগানিস্তান। পাকিস্তান হেরেছিল ইংল্যান্ডের কাছে।