রাহুল ও দীপকের ফিফটি বৃথা গেল স্যামসন-জুরেলের ফিফটিতে

দারুণ ছন্দে থাকা স্যামসন ৩৩ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৭১ রান করে অপরাজিত ছিলেনএএফপি

২০ ওভারে ১৯৬ রান-স্কোরবোর্ডে এটাই জমা করতে পেরেছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। আইপিএলে যেখানে প্রায় নিয়মিতই ২৫০ থেকে ২৬০ রান উঠছে ২০ ওভারে, সেখানে এটা যে কোনো বড় স্কোর নয়, তা লক্ষ্ণৌয়ের ইনিংস শেষেই বলাবলি করছিল অনেকেই।

শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটপ্রেমীদের সেই মুখের কথাই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রাজস্থান রয়্যালসকে বড় লক্ষ্য দিয়েও জিততে পারেনি লক্ষ্ণৌ। ১৯৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জিতেছে রাজস্থান রয়্যালস।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি লক্ষ্ণৌয়ের। ২ ওভারে কুইন্টন ডি কক ও মার্কাস স্টয়নিসের উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১ রান তোলে তারা। এরপরও যে লক্ষ্ণৌ ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান করতে পেরেছে, এতে অবদান অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও দীপক হুদার। দুজনেই করেছেন ফিফটি।

রাহুল ৮টি চার ও ২ ছয়ে ৪৮ বলে খেলেছেন ৭৬ রানের ইনিংস। আর দীপকের ৩১ বলে ৫০ রানের ইনিংসটি সাজানো ৭ চারে। লক্ষ্ণৌয়ের তৃতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি ১৮ রানের, ১ চারে ১৩ বলে যেটা খেলেছেন আয়ুশ বাদোনি। রাজস্থানের পক্ষে ৪ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন সন্দীপ শর্মা।

১৯৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৭ ওভারের মধ্যে ৬০ রানে ২ উইকেট হারায় রাজস্থান। আউট হয়ে ফেরেন দুই ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল ও জস বাটলার। স্কোরবোর্ডে আর ১৮ রান যোগ হতেই ফিরে যান ছন্দে থাকা আরেক ব্যাটসম্যান রিয়ান পরাগ।

লক্ষ্ণৌয়ের খেলোয়াড়দের উইকেট পাওয়ার উচ্ছ্বাস। এই উচ্ছ্বাস অবশ্য ম্যাচ শেষে আর থাকেনি। রাজস্থানের কাছে হেরে গেছে তারা
এএফপি

এর প্রভাব অবশ্য দলের ওপর পড়তে দেননি অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ও ধ্রুব জুরেল। আর কোনো উইকেট পড়তে না দিয়ে দুজনে চতুর্থ উইকেটে ৬২ বলে অবিচ্ছিন্ন ১২১ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন।

দারুণ ছন্দে থাকা স্যামসন ৩৩ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৭১ রান করে অপরাজিত ছিলেন। আর জুরেল ৫ চার ও ২ ছয়ে ৩৪ বলে করেছেন অপরাজিত ৫২ রান। সব মিলিয়ে রাহুল ও দীপকের ফিফটি বৃথা গেছে স্যামসন ও জুরেলের ফিফটির কাছে।