সাকিব, আপনার এই জন্মদিনটা কেমন কাটছে

আজ সাকিব আল হাসানের ৩৮তম জন্মদিনশামসুল হক

শুভ জন্মদিন সাকিব আল হাসান!

যদি ভুল জেনে না থাকি, আপনি এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের সঙ্গে আছেন। নিঃসন্দেহে জন্মদিন আনন্দে কাটছে। মেসি, রোনালদো থেকে শুরু করে আপনার মতো তারকা ক্রিকেটার, আপনার সতীর্থরা, কিংবা আমাদের মতো আমজনতা—পরিবারের চেয়ে নিশ্চিন্ত ঠাঁই, পরম মমতা আর কোথাও কি পাই আমরা? নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে নতুন ঠিকানায় স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে জন্মদিনে আপনি আনন্দে ভরপুর সময় কাটাবেন, সেটাই স্বাভাবিক।

তারপরও কথা থেকে যায়। অনেক বছর ধরেই আপনি শুধু মাগুরার বা আপনার পরিবারের সাকিব নন, আপনি শুধু বিকেএসপির ছাত্র সাকিব নন, নন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার সাকিবও। নিজেকে বারবার বিতর্কের উত্তপ্ত কড়াইয়ে ফেলেও সেই সীমারেখা অনেক বছর আগেই পেরিয়ে আপনি বাংলাদেশের মহাতারকা সাকিব হয়ে গেছেন। আপনার অগোচরেই আপনার পরিবারের সীমা স্ত্রী-সন্তান, বাবা-মা’র বৃত্ত ছাড়িয়ে অনেক দূর ছড়িয়ে গেছে। সেই পরিবারে আপনার ভক্তকুল যেমন আছে, আছে আপনার কট্টর সমালোচকও। কিন্তু তবু তো পরিবার! জন্মদিনে সেই পরিবারকে কি আপনি মিস করছেন না?

এমন নয় যে আর কোনো জন্মদিন আপনার বিদেশে কাটেনি। সেটা খেলার ব্যস্ততায় কিংবা জন্মদিন উদ্‌যাপনের উপলক্ষেই হবে হয়তো। এবারের জন্মদিনটা এখানেই আলাদা। আপনি যদি চাইতেনও, আজ ২৪ মার্চ আপনার ৩৮তম জন্ম দিবসটি আপনি দেশে কাটাতে পারতেন না। সে জন্যই প্রশ্নটা মনে আসা—আপনার মতো মহাতারকা, যাঁরা পরিবারের বাইরেও একটু একটু করে গড়ে তোলা একটা বৃহৎ পরিবারের বাসিন্দা হয়ে যান, বাধ্যতামূলক পরবাসী জীবন জন্মদিনে তাঁদের কেমন লাগে?

এমন নয় যে আর কোনো জন্মদিন আপনার বিদেশে কাটেনি। সেটা খেলার ব্যস্ততায় কিংবা জন্মদিন উদ্‌যাপনের উপলক্ষেই হবে হয়তো। এবারের জন্মদিনটা এখানেই আলাদা। আপনি যদি চাইতেনও, আজ ২৪ মার্চ আপনার ৩৮তম জন্ম দিবসটি আপনি দেশে কাটাতে পারতেন না।
সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন কানপুর টেস্টে
এএফপি

আপনি যখন আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন, বিশ্ব তখন কোভিড আক্রান্ত হলো। তখনো অনেকটা সময় আপনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। মনে আছে ফোনে একদিন দুষ্টুমি করে আপনাকে বলেছিলাম, ‘ভালোই হলো, আপনার যখন খেলা নিষেধ, তখন দুনিয়ায় খেলাই বন্ধ। খুব বেশি ম্যাচ মিস করতে হবে না।’ রসিকতার জবাবে পাল্টা রসিকতায় আপনি দারুণ। কিন্তু সেদিন একটা বেদনাই টের পেয়েছিলাম আপনার কণ্ঠে। আপনি বলেছিলেন, ‘কী বলেন! যখন মনে হয়, এখন যদি খেলা হতোও তবু তো আমি খেলতে পারতাম না, তখনই তো খারাপ লাগে।’

কথাটা আজ আবার মনে পড়ল, কারণ এখনো তো আপনি সে রকমই এক পরিস্থিতিতে। পরিবারের সঙ্গে আছেন, আনন্দে আছেন, তবু চাইলেও তো দেশে আসতে পারবেন না। যে দেশের জার্সি গায়ে ক্রিকেট মাঠে একের পর এক সাফল্যের ফুল ফুটিয়েছেন, সেই দেশেই আজ আপনি ব্রাত্য।

গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েও পারেননি। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আরেকটি টেস্ট সিরিজ যখন সমাগত, মনের কোনো প্রশ্নের বুদ্‌বুদ—এখনো কি সাকিব স্বপ্ন দেখেন কোনো একদিন মিরপুরেই শেষ টেস্ট খেলার সুযোগ পাবেন? আমরা কিন্তু আপনাকে নিয়ে কখনো আশা ছাড়ি না সাকিব। আপনি চমক দেখান, হয়ত চমক দেখিয়েই ফিরবেন আবার।

তবে সবাই বোঝে বর্তমান বাস্তবতায় সেটা কঠিন। মাত্র সাত মাসের রাজনৈতিক পরিচয় আপনাকে দেশান্তরি করেছে। ক্রিকেটার পরিচয়ের চেয়ে আপনার আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য পরিচয়ই এখন বেশি আলোচিত, আপনি সমালোচিতও সে কারণেই। একই কারণে আপনার নামে মামলাও হয়েছে। আপনি নিশ্চয়ই মনে মনে ভাবেন, ‘দেড় যুগ দেশের হয়ে ক্রিকেট খেললাম। সেটার চেয়ে সাত মাসের এমপি পরিচয় বড় হয়ে গেল!’ কিন্তু এভাবেও কি ভাবেন না, ‘দেড় যুগ দেশের হয়ে ক্রিকেট খেললাম, সেটাই তো ভালো ছিল। কেন যে রাজনীতিতে নাম লেখালাম!’

২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে প্রচারণায় সাকিব আল হাসান
প্রথম আলো

আপনার উপলব্ধি আপনিই ভালো জানবেন। তবে এটা ঠিক, বাংলাদেশের মাঠের সাকিব আল হাসানকে কেউ কখনো ভুলবে না। ক্রিকেটের পরিসংখ্যানের খাতা থেকে যত দিন না আপনার কীর্তিগুলো মুছে ফেলা যাচ্ছে, ক্রিকেটার সাকিবের সমালোচকেরা দিন শেষে অতৃপ্ত আত্মা নিয়েই ঘুমাতে যাবে। জেগে থাকবে শুধু আপনার কীর্তি।

এখানেই লেখাটা শেষ হতে পারত। কিন্তু হচ্ছে না এবং তা আপনার কারণেই। আপনার একটা আত্মবিশ্বাসের কথা অনেকেই জানেন। আপনি বিশ্বাস করেন, মাঠ এবং মাঠের বাইরে যেকোনো পরিস্থিতি আপনি খুব ভালো সামলাতে পারেন। তার প্রমাণও অনেক আছে। চাপ খেলার মাঠে আপনাকে আরও শাণিত করে তোলে। বহু বিতর্ক আপনি চাপা দিয়েছেন ব্যাট আর বলে ছড়ানো সৌন্দর্যে। তাই বলে চাপ, বিতর্ক—এসবকে বারবার নিমন্ত্রণ জানিয়ে আনতে হবে কেন? দুঃখজনক হলেও সত্যি, এ কারণেই আপনার কীর্তির সমান্তরালে বেঁচে থাকবে আপনাকে নিয়ে বিতর্কের অধ্যায়গুলোও।

একটা অদ্ভুত ব্যাপার কি লক্ষ করেছেন সাকিব? রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে আপনাকে যাঁরা ত্যাগ করেছে, যারা ‘সাকিব আল হাসান এখন আর কিছুই নন’ বলে আপনার কীর্তিসমগ্রও ভুলে থাকতে চান, তাঁরাও আপনার বেটিং-প্রচারণাকে অগ্রাহ্য করতে পারেননি।

সর্বশেষ বিতর্ক, সম্প্রতি আপনি আপনার ফেসবুক পেজে একটি বেটিং প্রতিষ্ঠানের প্রচারণা করেছেন। এখন আপনার সঙ্গে বিসিবির চুক্তির সম্পর্ক নেই। আপনি দেশান্তরি এবং আপনি মুক্ত বিহঙ্গও। চাইলে যে কোনো কিছু আপনি করতেই পারেন। বেটিং প্রতিষ্ঠানের প্রচারণাতেও আপনাকে এখন আর বাধা দেওয়ার কেউ নেই। কিন্তু ওই যে একটা বৃহৎ পরিবারের কথা বললাম, যেটা ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে নিজের অজান্তেই আপনি তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন, আপনার নিজেকে এমন বিতর্কের আগুনে ফেলা তো সেই পরিবারের সদস্যদেরও পোড়ায়!

বিশেষ করে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাওয়ার পর যখন তারা আপনাকে নিয়ে আবার আশাবাদী হয়ে উঠছিল, তখনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওরকম একটি প্রচারণা তাদের কিছুটা হলেও দমিয়ে দিয়েছে।

উইকেট না পাওয়ার হতাশায় সাকিব আল হাসান
প্রথম আলো

একটা অদ্ভুত ব্যাপার কি লক্ষ করেছেন সাকিব? রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে আপনাকে যাঁরা ত্যাগ করেছে, যারা ‘সাকিব আল হাসান এখন আর কিছুই নন’ বলে আপনার কীর্তিসমগ্রও ভুলে থাকতে চান, তাঁরাও আপনার বেটিং-প্রচারণাকে অগ্রাহ্য করতে পারেননি। এই বলে প্রতিক্রিয়াহীন থাকতে পারেননি যে, ‘ধুর, সাকিব তো এ রকম করবেই।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের সমালোচনামুখর প্রতিক্রিয়া বরং একভাবে এটাও জানান দেয়, ‘মন্দ’ সাকিবের কাছেও তারা মন্দ কিছু আশা করে না।

আপনার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া এই ভক্তরা হয়তো প্রকাশ্যে আপনার ভালো কাজগুলোর প্রশংসা করবেন না, কিন্তু আপনি বিতর্ক থেকে দূরে থাকলে তাঁরাও মনে মনে খুশি হবেন। তাঁরাও মনে মনে আপনার মধ্যে বিশুদ্ধতা খোঁজেন।

হ্যাঁ, ‘যারে দেখতে নারী, তার চলন বাঁকা’ দেখা একটা অংশ তো আছেই, যারা আপনার সবকিছুতেই সমালোচনামুখর হবে। কখনো রাজনীতিতে না জড়ানো তারকাদের জীবনেও এমন বিদ্বেষীর অভাব নেই, আর আপনি তো ব্যতিক্রম! আপনার ভাগে সে রকম মানুষ একটু বেশিই থাকবে স্বাভাবিক। তবে আমি বলছি তাদের এবং আপনার অন্ধ ভক্তদের মাঝে থাকা সেই সব ভক্ত-সমর্থকদের কথা, যাঁরা ভালোকে ভালো এবং মন্দকে মন্দ বলতেই অভ্যস্ত।

আরও পড়ুন
আপনার মাত্র সাত মাসের রাজনৈতিক পরিচয়ে পুরো জাতি দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে। যে অংশটা মনে করে সাকিবের ক্রিকেটার পরিচয়ই আসল, তারা আপনার পক্ষে। যারা মনে করে ওই সাত মাস ক্রিকেটার সাকিবের সব অর্জন ধুয়েমুছে দিয়েছে, তারা আপনার বিপক্ষে।

সাকিব, আপনি হয়তো বলবেন, ‘এখন তো আর খেলছি না। ভক্ত-সমর্থক দিয়ে কী হবে? কে কী ভাবল, তাতে আমার কী আসে যায়!’ আসে-যায় সাকিব। আপনি নিজেকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, সেই উচ্চতার কারণেই আপনার কাছে দাবি—আপনি নিজেকে নতুন প্রজন্মের আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন। আপনি যখন সর্বশেষ জাতীয় দলে খেলেছেন, আপনি দেখে গেছেন দলের তরুণ প্রজন্ম আপনাকে কতটা ভালোবাসে, কতটা অনুসরণ করে।

আপনার দৃষ্টিসীমার বাইরে এ রকম অজস্র কিশোর-তরুণ রয়ে গেছে, যারা অন্ধভাবে আপনার অনুসারী। আপনার অনেক বিতর্ক এ আশাতেই মানুষ ভুলে থেকেছে যে, আপনি তা পারফরম্যান্স দিয়ে পুষিয়ে দেবেন। আপনি দিয়েছেনও। বারবার সবাই এই আশাতেই বুক বেঁধেছেন যে, হয়ত আর আপনি এরকম কিছু করবেন না। আপনার কাছে ভালো খেলাটাই মূখ্য দাবি হয়ে থেকেছে সবসময়। আপনি দূরে চলে গেলেও তাই তারা দূর থেকে আপনারই দিকে তাকিয়ে থাকে। তাদের প্রতি যদি কোনো দায়বদ্ধতাই না দেখান, নিজের নামের প্রতিই যে অবিচার করে ফেলবেন আপনি!

সেই ছবি। ২০১৯ বিশ্বকাপে সাকিবের অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের রূপক হিসেবেই যেটিকে দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব
ফাইল ছবি

আপনার মাত্র সাত মাসের রাজনৈতিক পরিচয়ে পুরো জাতি দ্বিধাবিভক্ত হয়েছে। যে অংশটা মনে করে সাকিবের ক্রিকেটার পরিচয়ই আসল, তারা আপনার পক্ষে। যারা মনে করে ওই সাত মাস ক্রিকেটার সাকিবের সব অর্জন ধুয়েমুছে দিয়েছে, তারা আপনার বিপক্ষে। আপনার জনপ্রিয়তা, আপনার ভাবমূর্তি ধরে রাখা বা পুনরুদ্ধারের এই লড়াইয়ে আপনিই পারেন সাকিবপন্থীদের হাতকে শক্তিশালী করতে। ক্রিকেটার সাকিবের পরিচয়টাই যে আসল, আপনাকে নিয়ে চলমান ঘোলাটে পরিস্থিতিতে আপনার পক্ষেই সবচেয়ে ভালোভাবে সম্ভব সেটা প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু আপনি কি তা করছেন?

আপনাকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম, ক্রিকেট খেলতে খেলতে কী করে ইংরেজি বলাটাও এত ভালো শিখে গেলেন? স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছেন নাকি? আপনি হেসে দিয়ে আপনার ইংরেজি শেখার আসল রহস্যটা বলেছিলেন আমাকে, ‘বিকেএসপির এক স্যার আমাকে বলেছিলেন ইংরেজি শেখার জন্য বেশি করে ইংরেজি পত্রিকা পড়তে। ইংরেজি পত্রিকা পড়া শুরুও করেছিলাম। কিন্তু নানান কারণে ঠিকমতো পড়ার সময় পেতাম না। পরে আমি ইংরেজি সিনেমা দেখা শুরু করি। এটা আমার জন্য সহজ। বলতে পারেন ইংরেজি সিনেমা দেখতে দেখতেই ইংরেজি বলা শিখেছি।’

আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৪টি সেঞ্চুরি সাকিব আল হাসানের
প্রথম আলো

আপনার এই শেখার গুণটা অসাধারণ। কিন্তু ইতিহাস বলে, আপনি অনেকভাবে অনেক কিছু শিখলেও ভুল থেকে কখনো কিছু শিখতে চান না। আগুনে ঝাঁপ দিয়ে উঠে আবার আগুনেই ঝাঁপ দিয়ে যেন দেখতে চান, আগুনের তাপটা আগের চেয়েও বেশি সহ্য করা গেল কি না। অথবা হতে পারে আপনি আগুনকে আগুনই মনে করেন না।

আবারও বলি, সে আপনার উপলব্ধি এবং আপনিই তা ভালো জানেন। আমরা শুধু জানি, আমাদের একজন সাকিব আল হাসান আছেন, যাঁর ক্রিকেটীয় ঐশ্বর্য দিয়ে গোটা দেশের ক্রিকেটেরই মুকুট বানানো হয়ে যাবে। তাঁকে নিয়ে বিতর্কের অংশ আমরা ভুলে থাকতে চাই, যদি আপনি তা আমাদের ভুলে থাকতে দেন।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি কাভার করতে গিয়ে লাহোরের একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সের বাইরের দেয়ালে ঝোলানো ইমরান খানের একটা ছবি দেখছিলাম একদিন। ’৯২–এর বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে ইমরান। আমাকে ছবিটা দেখতে দেখে এক ভলান্টিয়ার তরুণী এসে বললেন, ‘আমি কখনো ইমরান খানের খেলা দেখিনি। কিন্তু আমার কাছে সেই হিরো, থাকুক সে এখন জেলে…তোমাদের যেমন সাকিব আল হাসান।’

ইমরানের সঙ্গে ভলান্টিয়ার তরুণী আপনাকে কীভাবে মেলালেন জানি না। তবে বিশ্বাস করুন, এক মুহূর্তের জন্য গর্বে বুকটা ফুলে গিয়েছিল। ভুলে গিয়েছিলাম ইমরান খান জেলে, ভুলে গিয়েছিলাম রাজনীতির পাকে জড়িয়ে আপনি দেশান্তরি। শুধু মনে হচ্ছিল, ইমরান খান আমাদেরও আছে।

আসলেই কি আপনি আছেন সাকিব? আপনার ভক্ত, আপনার সমালোচকদের অদৃশ্য সুতায় গাঁথা সেই বৃহৎ পরিবারের অংশ হয়ে, যেখানে আপনি নন্দিত এবং নিন্দিত? সময়ের গহ্বরে পড়ে বেড়ে যাওয়া ভৌগোলিক দূরত্ব সেই পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়নি তো আপনাকে!

অতটা দূরে থেকে কেমন কাটছে আপনার এবারের জন্মদিন?

আরও পড়ুন