পাকিস্তানের ৬ ব্যাটসম্যান মিলে করলেন ৩ রান
দারুণ খেলছিলেন বাবর আজম। ৮২ বলে ৭৮ রান নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। নিউজিল্যান্ডের ৩৪৪ রান তাড়া করতে জিততে পাকিস্তানের দরকার তখন ৬৯ বলে ৯৬ রান। হাতে ৭ উইকেট। অন্য প্রান্তে ছিলেন ৩৩ বলে ৪৪ রান করা সালমান আগা।
মানে রান তাড়ায় সঠিক পথেই ছিল পাকিস্তান। এমন সময়ে উইল ও'রুর্কের বলে পুল করে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ড্যারিল মিচেলের হাতে ক্যাচ দেন বাবর। এরপরই আশ্চর্য এক পতন শুরু পাকিস্তানের। ৩ উইকেটে ২৪৯ রান থেকে পাকিস্তান শেষ ২২ রান তুলতে হারিয়েছে ৭ উইকেট। ব্যাটিং অর্ডারের শেষ ৬ জন মিলে করেছেন মাত্র ৩ রান। পাকিস্তান গুটিয়ে গেছে ২৭১ রানে। তাতে নেপিয়ারে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছে ৭৩ রানের বড় ব্যবধানে।
রান তাড়ায় পাকিস্তানের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। ৩৩ বলে ৩৯ রান করে উসমান খান যখন আউট হন, পাকিস্তানের রান ১২.৪ ওভারে ৮৩। স্কোরবোর্ডে আর ৫ রান হতেই ফেরেন আরেক ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক। ৩৬ রান করেছেন তিনি।
এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর ৭৬ রানের জুটি গড়েন। রিজওয়ান ৩০ রান করে ফিরলে সালমানকে নিয়ে বাবর গড়েন ৫৯ বলে ৮৫ রানের জুটি। এই জুটিই মূলত পাকিস্তানকে জয়ের স্বপ্ন দেখায়। তবে বাবরের আউটের পর একে একে ফিরে যান ইরফান খান, নাসিম শাহরা। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সালমান আউট হন ৫৮ রান করে।
এর আগে বল হাতেও পাকিস্তান পেয়েছিল দারুণ শুরু। দলীয় ৫০ রানে ৩ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এরপর ড্যারিল মিচেলকে নিয়ে ১৯৯ রানের জুটি গড়েন মার্ক চ্যাপম্যান। ১১১ বলে ১৩২ রান করেন চ্যাপম্যান। আর শেষ দিকে ২৪ বলে ফিফটি করে দলের রান ৩৪৪–এ নিয়ে যান অভিষিক্ত মোহাম্মদ আব্বাস। পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত আব্বাসের ইনিংসটি ওয়ানডে অভিষেকে কোনো ব্যাটসম্যানের দ্রুততম ফিফটির ইনিংসও বটে।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ২ এপ্রিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড: ৩৪৪/৯ ( চ্যাপম্যান ১৩২, মিচেল ৭৬; হারিস ২/৩৮, ইরফান ৩/৫১)
পাকিস্তান: ২৭১ (বাবর ৭৮, সালমান ৫৮; স্মিথ ৪/৬০, ডাফি ২/৫৭)
ম্যাচসেরা: মার্ক চ্যাপম্যান