ইয়াসির যে কারণে বিপিএলে আত্মবিশ্বাসী
এনসিএল টি–টোয়েন্টি থেকেই ভালো ফর্মে আছেন ইয়াসির আলী, যেটাকে তিনি টেনে এনেছেন বিপিএলেও। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে অপরাজিত ৯৪ রানের ইনিংস দিয়ে শুরু করে পাঁচ ম্যাচ খেলা দুর্বার রাজশাহীর এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান এখন টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ (২১০) স্কোরার। তাঁর ওপরে আছেন শুধু রংপুর রাইডার্সের দুই ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান (২২১) ও অ্যালেক্স হেলস (২১৮)।
তবে শুধু যে ব্যাট হাতে ফর্মটাই বিপিএলে তাঁর সঙ্গী হয়েছে, তা নয়। রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হকের কথা মানলে আরও একটি ব্যাপারও তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই। সেটি হলো ম্যাচ খেলার নিশ্চয়তা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ২৮ রানে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে ইয়াসিরের ধারাবাহিকতা প্রসঙ্গে বিজয় বলেছেন, ‘বিপিএলের শুরুতেই যখন আমরা আলাপ করছিলাম; যারা মোটামুটি আমরা জানি নিয়মিত ম্যাচ খেলব। তখনই একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। অনেকে দলে থাকলেও জানে না প্রতিটি ম্যাচে সে খেলবে কি না। তখন পরিকল্পনা করতে কঠিন হয়ে যায়। ইয়াসির জানে, তাসকিন জানে, আমি জানি বা জিসান বা যারা আসছে বা খেলছে নিয়মিত; তারা জানে যে তারা নিয়মিত খেলবে এবং সুযোগ পাবে। ওদের জন্য তাই পরিকল্পনা করা সহজ।’
বিজয়ের ধারণা, আগে থেকে ম্যাচ খেলার নিশ্চয়তা পাওয়াতেই ইয়াসির টুর্নামেন্টের জন্য তাঁর পরিকল্পনা ঠিক করে নিতে পেরেছেন, যেটার ফল দল পাচ্ছে। ‘যখন পারফর্ম করছে, ওর সঙ্গে কথা হচ্ছে। ওই পরিকল্পনাতেই সে আছে। আমার মনে হয় এই বিপিএলটাই ওর সবচেয়ে ভালো যাচ্ছে। আশা করি ওর কাছ থেকে আরও কিছু ভালো ইনিংস পাব’—বলেছেন বিজয়।
ইয়াসিরের মধ্যে ইতিবাচক মানসিকতা দেখেও খুশি রাজশাহীর অধিনায়ক বিজয়। সে জন্যই পারছেন তাঁর ওপর থাকা দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করতে। বিপিএলের এই পারফরম্যান্স ইয়াসিরের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়াবে বলে মনে করেন বিজয়, ‘বিপিএল একটা আলাদা মঞ্চ, যেখানে অনেক বেশি হাইলাইট হওয়ার সুযোগ থাকে। আশা করি ও এটা ধরে রাখবে।’
ইয়াসিরের ঠিক উল্টোটা ঘটছে রাজশাহীর ওপেনার জিশান আলমের ক্ষেত্রে। এনসিএল টি–টোয়েন্টির প্রথম ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছিলেন, ইনিংসের দ্বিতীয় ৫০ করেছিলেন মাত্র ১৩ বলে। পরে ফিফটি করেছেন আরও দুই ম্যাচে। কিন্তু বিপিএলে সে ধারাবাহিকতাটা টেনে আনতে পারেননি জিশান। প্রথম দুই ম্যাচেই আউট হয়েছেন কোনো রান না করে। তাঁর খেলা চার ম্যাচের পরের দুই ম্যাচে করেছেন ৩৮ ও ২৩।
বিজয় অবশ্য এখনো যথেষ্ট আস্থা রাখছেন ২০ বছর বয়সী এই তরুণের ওপর, ‘ও যদি ওর মতো করে খেলে, তাহলে অবশ্যই সে একটা সারপ্রাইজ প্যাকেজ। ওর সামর্থ্য আছে। আশা করি ও এই জিনিসগুলো বুঝবে, শিখবে।’ বিজয়ের বিশ্বাস, ‘আমার মনে হয় অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে ওর খেলায় উন্নতি হবে। প্রমাণ করতে পারবে তার কতটুকু সামর্থ্য।’