‘শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতলেই হবে না, হারাতে হবে ভারতকেও’—বাবরদের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

আজকাল আইসিসি ও এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্ট ছাড়া ভারত ও পাকিস্তানের দেখাসাক্ষাৎ হয় নারয়টার্স

ক্রিকেট মাঠে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান, ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন তো এটাই। তবে আজকাল আইসিসি ও এসিসি আয়োজিত টুর্নামেন্ট ছাড়া দুই দলের দেখাসাক্ষাৎ হয় না। কারণ যে রাজনীতি, সেটি না বললেও চলে। ‘চিরশত্রু’ সেই দুই দল এবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হবে দুই দল। সেই ম্যাচ নিয়ে এবার উত্তেজনার পারদ আরও চড়েছে। খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও যোগ দিয়েছেন কথার লড়াইয়ে।

শুক্রবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি উপলক্ষে সংস্কার কাজ শেষে নতুন করে ‘উদ্বোধন’ হয়েছে লাহোর গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। সেই অনুষ্ঠানেই দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ পাকিস্তান দলকে জানিয়ে দিয়েছেন তাদের আসল কাজ কী।

আসল কাজটা শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ই নয়, আমাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে দুবাইয়ের ম্যাচে হারাতেও হবে। পুরো দেশ তোমাদের পাশে আছে।
শেহবাজ শরীফ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

কী কাজ সেটি শুনুন শেহবাজ শরীফের জবানিতেই, ‘আমাদের দলটা খুবই ভালো। সাম্প্রতিক সময়ে তারা ভালোও করেছে। তবে আসল কাজটা শুধু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ই নয়, আমাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে দুবাইয়ের ম্যাচে হারাতেও হবে। পুরো দেশ তোমাদের পাশে আছে।’

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ
ফাইল ছবি

এমনিতেই রাজনৈতিক কারণে ক্রিকেটীয় সম্পর্ক নাজুক। এবার তা আরও ভঙ্গুর হয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন নিয়ে জটিলতায়। যে জটিলতা বেড়েছে ভারতের কারণেই। পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্বাগতিক। ভারত সরকার সীমান্তের ওপারের দেশটিতে পাঠাতে চায়নি দল। তাতে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন ভেস্তে যেতে বসেছিল।

শেষ পর্যন্ত ‘হাইব্রিড মডেলে’ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড রাজি হওয়াতেই রক্ষা। ভারত সব ম্যাচই খেলবে পাকিস্তানের বাইরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। তাই স্বাগতিক হয়েও পাকিস্তান ভারতের বিপক্ষে খেলবে দুবাইয়ে। ভারত ফাইনালে উঠলে সেই ম্যাচও পাকিস্তানে না হয়ে হবে দুবাইয়ে। পাকিস্তান তো একটু তেতে থাকতেই পারে।

ওয়ানডেতে ভারত ও পাকিস্তান সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছে ২০২৩ বিশ্বকাপে
এএফপি

চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়েই ১৯৯৬ সালের পর প্রথমবার বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টের আয়োজক হয়েছে পাকিস্তান। শেহবাজ শরীফের আশা ভালো কিছুই করবে পাকিস্তান, ‘২৯ বছর পর বড় আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজন করাটা আমাদের জন্য বড় ঘটনাই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমাদের দল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জাতিকে গর্ব করার মতোই কিছু উপহার দেবে।’

আরও পড়ুন