আগুন ও বরফে জাকের আলী
গত রাতটা তখনো সেভাবে গাঢ় হয়নি। সাড়ে ১০টার আশপাশ। হালকা শীতও পড়েছিল। কিন্তু ওম ছড়াচ্ছিল স্ক্রিন কিংবা টিভির পর্দা। চোখের গলি-উপগলি বেয়ে সেই ওম ছড়িয়ে পড়েছে হৃদয়ের নহরধারায়। সেটাও কিছুক্ষণের জন্য নয়, বাংলাদেশ সময় পরশু রাতে। ক্যারিবিয়ান সাগরপাড়ে গাঁইতি দিয়ে স্বরূপ বানাচ্ছিলেন এ দেশেরই এক ছেলে। স্যাবাইনা পার্কের পাথরশক্ত ২২ গজে দাঁড়িয়ে ছেলেটির গাঁইতির (ব্যাট) প্রতিটি আঘাত এ দেশে ছড়াচ্ছিল ওম। নরম বিছানায় কাঁথামুড়ি দেওয়া শরীর বেরিয়ে এসেছে আপনাই। কিংবা চাদরটা একঝটকায় গা থেকে সরিয়ে চোখে বিস্ময়ের রেখাচিত্র টেনে মনটা আনমনেই হয়তো বলেছে, একি দেখছি! ওই শ্বেতশুভ্র সাদায় যাকে এত দিন বেমানান ভেবে এসেছি, সে-ই কি না ওই পোশাকে এমন ভয়ালসুন্দর!
সুন্দরের একটা গরম-গরম গরিমা থাকে; তা নরম হয়ে এল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৯.৫ ওভারে। আলজারি জোসেফের বাউন্সার ব্যাটে ঠিকমতো লাগেনি। তাই গাঁইতিতে (ব্যাট) জোরও পায়নি ছেলেটি। ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ। ওমের ছন্দভঙ্গের পর হা-হুতাশ করেছে গোটা বাংলাদেশই। এমন একটা ইনিংসের সেঞ্চুরি পাওনা ছিল! ক্যারিবীয় ধারাভাষ্যকারেরা তাকালেন আরও গভীরে। ছেলেটি ৬০ পেরোনোর পরই কেউ কেউ বলছিলেন, সেঞ্চুরির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। ৯১-এ আউট হওয়ার পর তবে কি দ্বিশতকের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ? সে প্রশ্নের উত্তরে আমরা পরে আসব। ছেলেটি মাথা নিচু করে ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় উঠে দাঁড়াল স্যাবাইনা পার্কের গ্যালারি। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট পডকাস্টের এক্স হ্যান্ডলে লেখা হলো, ‘...যেন বাংলাদেশের সেরা সময়ের ব্রায়ান লারা।’
লারা? ‘প্রিন্স অব ত্রিনিদাদ’ ব্যাটিংয়ের সৌন্দর্যে অনেকের কাছেই শেষ কথা। কিন্তু কাল যে ছেলেটির (নামটা আপনি জানেন, শূন্যস্থানে তাই সংগত কারণেই না বলা) সঙ্গে স্বয়ং ক্যারিবিয়ান সাগরপাড়ের লোকেরাই লারার তুলনা করলেন, সে তো বাধ্য হয়েই। নইলে প্রতিটি বল খেলার আগে যে ছেলেটি বড় বড় চোখে তাকায় বোলারের দিকে, ছটফটানিয়া মন্ত্রে শাফল করে সরে আসে, তারপর বলটা খেলেই শরীর কেমন এক ঝটকা মারে—তার সঙ্গে সৌন্দর্যে অন্তত লারার তুলনা স্রেফ বাড়াবাড়ি। কিন্তু কার্যকারিতায়? সময়ের প্রয়োজনে রুখে দাঁড়ানোয়?
এতটুকু কম সে নয়! অন্তত কালকের ইনিংস বিবেচনায়।
বলা হয়, ক্রিকেট সাম্যবাদী খেলা। এই খেলা কখনো কখনো সবাইকে এক কাতারে দাঁড় করায়। ক্যারিবীয়রা যে কাতারে লারাকে রাখেন, সেই তাঁরাই একই কাতারে যোগ করা নতুন নামটি মনে রাখতে আনমনে হয়তো বলেছেন, ছেলেটির নাম জাকের আলী। আমরা কেউ কেউ তা শুনে কিংবা পড়ে হয়তো চোখও মুছেছি। সেই অশ্রুও কেমন গরম, আসলে গর্বের ওম।
অথচ এই আমরাই একসময় তাঁর পুরোটা না জেনে সাদা পোশাকে তাঁকে নিয়ে সন্দেহে ভুগেছি। তাতে দোষের কিছু নেই। ক্রিকেটীয় বিশ্লেষণ কোনো অঙ্ক নয়। ভুল প্রমাণের দায়িত্বটা খেলোয়াড়ের। জাকের তা পেরেছেন কি না, সে প্রশ্নই এখন অবান্তর। জাকের না পারলে পরে বোলাররাও পারার সুযোগটা পেতেন না, তাতে আজকের সকালটাও এমন নাতিশীতোঞ্চ হয়ে উঠত না।
কাব্য ছেড়ে এবার একটু কঠিন বাস্তবতায় ফেরা যাক। জাকেরের জাতীয় দলে অভিষেক গত বছর অক্টোবরে এশিয়ান গেমসে। তা কেউ মনে রাখেনি। সম্ভবত জাকের নিজেও না। তাঁকে মনে রাখার শুরুটা এ বছর মার্চে সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে। বাংলাদেশ ম্যাচটা ৩ রানে হারলেও জাকেরের সেই ইনিংস ৬৭ বলে ১৩৯ রানের সমীকরণকে নামিয়ে এনেছিল ৩ বলে ১০ রানে। মাঝে এক মাস পর মেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ বলে ৪৪ ও ১১ বলে অপরাজিত ২৪–এর পর জাকেরের ব্যাটে এই সংস্করণে তেমন কিছু দেখা যায়নি।
তবু এ বছরের নভেম্বরে হলো ওয়ানডে অভিষেক। শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৭ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ইনিংসটি জাকেরের জাত চেনাল আবারও। মেরে খেলতে পারেন, বড় বড় ছক্কা মারতে পারেন! আমরা তাঁর জাতকে ঠিক এভাবেই নামকরণ করেছি। সবাই না হলেও বেশির ভাগই এমন বলেছি, লেখায়, কথায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অথচ ওয়ানডে অভিষেকের এক মাস আগেই মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে তৃতীয় দিনে ভঙ্গুর উইকেটে খেললেন ১১১ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। সৌন্দর্যপ্রিয় বাঙালি তখনো জাকেরে মজেনি। ছেলেটা কেমন ছটফট করে, অফ স্টাম্পের বাইরের বল কেমন করে যেন ঠেকায়, বল ঠেকিয়েই ব্যাটটা কেমন ঘুরিয়ে নেয়; নাহ, ঠিক প্রথাগত ব্যাটসম্যান সে নয়!
জাকের এরপর সুযোগ পেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টেও বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করলেন ৮৯ বলে ৫৩। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৮ বলে ৩১। সেই ইনিংসে বাংলাদেশ ১৩২ রানে হুড়মুড় করে অলআউট হওয়ায় জাকেরের টানা দুই টেস্টে ফিফটি নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি। ২০১ রানের ব্যবধানে টেস্ট হারের পর দেশের ক্রিকেট–দর্শকদের মনোযোগও এই সফর নিয়ে নেমে এসেছিল পারদের তলানিতে।
কিন্তু ওই যে, ক্রিকেট সাম্যবাদী খেলা—আসলে জাকেরের প্রাপ্য জমা হচ্ছিল গোপনে। আর কেউ না জানুক, আর কেউ না বুঝুক, এই খেলার ইতিহাস খুব জানে, ব্যাটিংয়ে সৌন্দর্যই শেষ কথা নয়। স্রেফ অলংকার। ব্যাটে বলটা ঠিকমতো লাগানোই শেষ কথা, ব্যাট দিয়ে বলটা নিয়ন্ত্রণে রাখাই দক্ষতা, বলটাকে ব্যাট দিয়ে নিজের ইচ্ছেমতো জায়গায় পাঠানোই সামর্থ্য। কীভাবে তা করলেন, তা মোটেও গুরুত্বপূর্ণ নয়। পাশাপাশি আরও একটি ব্যাপার খুব গুরুত্বপূর্ণ, টেম্পারামেন্ট। বাংলায় সেটাকে সহনশীলতাও বলতে পারেন। পরিস্থিতি বুঝে ব্যাট করা, চাপ শুষে নেওয়া।
কিংস্টন টেস্টের তৃতীয় দিনে জাকের যদি হন স্পঞ্জ, চতুর্থ দিনে তরবারি!
পরশু রাতটা স্মরণ করুন। জাকের যখন ক্রিজে এলেন, বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১৩২ রান। লিড ১৫০। প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হওয়ায় ভয় তখনো কাটেনি। হুড়মুড় করে সব ভেঙে পড়ার পুরোনো রোগটা ফিরে আসার শঙ্কাও ছিল প্রবল। তার ওপর পাঁচজন পেসার ওয়েস্ট ইন্ডিজের, যাঁদের একসঙ্গে আশির দশকের সেই ভয়ংকর ‘পেস চতুষ্টয়’–এর সঙ্গে কেউ কেউ ঠারেঠোরে তুলনাও করেন। তাঁদের সামলে তৃতীয় দিন শেষে জাকের যখন মাঠ ছাড়লেন তাঁর নামের পাশে ৪৯ বলে অপরাজিত ২৯। ততক্ষণে লিটন দাসের সঙ্গে ৫২ বলে ৪১ রানের জুটি গড়ে ক্যারিবীয়দের মনোবল ভেঙেছেন ও তারপর তাইজুলকে সঙ্গে নিয়ে দিন পার করে লিড নিয়ে গেছেন ২১১ রানে। তৃতীয় দিনে জাকের ব্যাটিংটা স্মরণ করতে পারেন। আপাতদৃষ্টে সব সময়ই নড়বড়ে মনে হলেও ওই আসল কাজটা, বলকে ব্যাটে ঠিকমতো খেলা এবং দেখেশুনে ছেড়ে দেওয়া—দুটি কাজেই ছিলেন এক শতে এক শ। অন্য ভাষায়, ক্যারিবীয় পেস স্রোতকে শুষেছেন স্পঞ্জের মতো। শামার জোসেফ-আলজারিদের ভেতরের লড়াইয়ের পানিকে শুষে মরুভূমি বানিয়ে ছেড়েছেন!
তারপর এল গতকাল, অর্থাৎ টেস্টের চতুর্থ দিন। নতুন উদ্যমে ফিরলেন ক্যারিবীয় পেসাররা। আর সময়ের প্রয়োজনে ঝলসে উঠল জাকেরের ব্যাটও। এদিন ২৬৮ রানে অলআউট হওয়ার পথে বাংলাদেশ তুলেছে ৭৫। জাকের একাই তুললেন ৫৭ বলে ৬২। ৮০ বলে ফিফটি তুলে নেওয়ার পর বাকি ৪১ তুলেছেন ২৬ বলে! অর্থাৎ, জাকের যখন বুঝেছেন, অন্য প্রান্তের ব্যাটসম্যানরা আর বেশিক্ষণ টিকতে পারবেন না, উইকেটও পড়ছিল দ্রুতই, তখন থেকে একাই বাংলাদেশের লিড বাড়ানোর দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিয়েছেন। লারার ব্যাটিং মনে থাকলে ম্যাচের ঠিক এ পর্যায়ে জাকের সঙ্গে কিংবদন্তির মানসিকতায় অমিল আপনি পাবেন না। শামার, আলজারি, রোচ, সিলসের খাটো লেংথের বল পুল-হুকে যেমন সীমানা পার করেছেন, তেমনি ১৪০-১৪৫ কিলোমিটার গতিতে অহরহ বল করা এসব পেসারকেই এগিয়ে এসে মেরেছেন ছক্কা।
অন্য ভাষায়, অন্য স্বরে, অন্য চোখে, এ স্রেফ কলিজা!
কাল জাকের যা দেখালেন, সেই ইনিংসকে আপনি কোথায় রাখবেন? একে তো দেশের বাইরে, তারও পর চাপ শুষে পরিস্থিতি বুঝে দারুণ বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। দেশের টেস্ট ইতিহাসেই কি অন্যতম সেরা ইনিংস?
ক্যারিবিয়ানদের কাছে এই ব্যাপারটা খুব পছন্দ। ভয়ংকর সব বোলারের বিপক্ষে কেউ কলিজা দেখিয়ে লড়লেই তাঁরা মুগ্ধ। ওদিকে আমরা হয়তো তখন জাকেরের প্রথম শ্রেণির রেকর্ড দেখে তাঁকে নতুন করে আবিষ্কারের নেশায় মত্ত। কারণ, তাঁর পরিচিতি তো জাকেরের পরিচিতিও টি-টোয়েন্টির মারদাঙ্গা ব্যাটিং দিয়ে। বিপিএলের সর্বশেষ আসরে ১৪ ম্যাচের ১০ ইনিংসে ব্যাট করে ১৪১ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ১৯৯ রান। সেই জাকেরকে সাদা পোশাকে ‘নাইট’দের ভূমিকায় নতুন করে আবিষ্কার করে কেউ কেউ তৎক্ষণাৎ হয়তো তাঁর টেস্ট অভিষেক–পূর্ব প্রথম শ্রেণির রেকর্ডও খুঁজেছেন।
তাহলে শুনুন—২০২০ সালের শুরু থেকে টেস্ট অভিষেকের আগে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০ ইনিংসে তাঁর রান ছিল ২০০৬, গড় ৪০.১২। টেস্ট অভিষেকের আগে সর্বশেষ প্রথম শ্রেণির ম্যাচটি ছিল গত আগস্টে পাকিস্তানে—পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে সে ম্যাচে ২৮৬ বলে ১৭২ রানের ইনিংস খেলেন জাকের, ১৭টি চার ও ৫টি ছক্কায়। টেস্ট অভিষেকের আগে সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণিতে ৪৯ ম্যাচে ৮১ ইনিংসে ৪ সেঞ্চুরিতে ৪১.৪৭ গড়ে জাকের রান করেছিলেন ২৮৬২। অর্থাৎ, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে বাংলাদেশের টেস্ট দলে উঠে আসা অন্য সব ক্রিকেটারের চেয়ে জাকেরের যোগ্যতা নেহাত কম ছিল না।
কিন্তু কাল জাকের যা দেখালেন, সেই ইনিংসকে আপনি কোথায় রাখবেন? একে তো দেশের বাইরে, তারও পর চাপ শুষে পরিস্থিতি বুঝে দারুণ বোলিং অ্যাটাকের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। দেশের টেস্ট ইতিহাসেই কি অন্যতম সেরা ইনিংস?
গত আগস্ট-সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ পাকিস্তান সফরেই দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে আছে লিটনের ১৩৮। ২৬ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর নেমে অমন একটা ইনিংস। ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মিরপুরের ভয়ংকর স্পিন উইকেটে তামিম ইকবালের দুই ইনিংসে ৭১ ও ৭৮। ভুললে চলবে না সেই তামিমেরই ২০১০ সালে লর্ডস ও ওল্ড ট্রাফোর্ডের সেঞ্চুরি। ২০১৭ সালে ওয়েলিংটনে সাকিবের ২১৭ কিংবা ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ৯৭ বলে তাঁর ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৯৬। এমন আরও কিছু ইনিংস যোগ হবে সে তালিকায়। জাকেরের ইনিংসটি সেখানে অবশ্যই নবতম সংযোজন।
এমন কিছু যে হবে, সেটা কিন্তু একজন টের পেয়েছিলেন সবার আগে। কেউ কেউ তাঁকে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শেষ কথাও মানেন। মুশফিকুর রহিম! জাকেরের কালকের ইনিংসটির পর ইনস্টাগ্রামে তাঁকে নিয়ে মুশফিকুরের উচ্ছ্বাস, ‘টেস্টের টুপিটি তোমাকে দেওয়ার সময় বলেছিলাম, দেশের প্রতিনিধিত্ব করার এই মূল্যবান টুপিটি তোমাকে দিয়ে আনন্দের সঙ্গে সম্মানবোধও করছি। কারণ, আমি জানি তুমি মহাকাব্যিক কিছু করবে...।’
জাকের সেই টেস্ট অভিষেকের মাত্র ৪৪ দিনের মাথায় এমন এক কাব্যই লিখলেন, দিন যত গড়াবে, মাস ফুরিয়ে বছর যত আসবে সামনে, সেই কাব্যের ‘ওম’-ও তত বাড়বে! নইলে ১৪ বছর পেরিয়েও লর্ডস কিংবা ওল্ড ট্রাফোর্ডে তামিমের সেই সেঞ্চুরি মনে করে লোকে তখনকার চেয়ে এখন বেশি আবেগাপ্লুত হতো না। আর একটা পার্থক্যও আছে, যেটা আরও গভীর। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সেরা ইনিংসগুলো এর আগে যাঁরা খেলেছেন, তাঁদের সবাই হয় স্বীকৃত ব্যাটসম্যান, নয়তো সাকিবের মতো বিশ্বমানের অলরাউন্ডার। জাকের কী? ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুই টেস্টের এই সিরিজে শুধুই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক?
জাকের দলের প্রয়োজনে হয় স্পঞ্জ, নয় তো তরবারি কিংবা এ দুইয়ের মিশেলে বিপর্যয়-ভীতির শীতে ওম!