মেয়েকে শাহিনের হাতে তুলে দিয়ে মন ভার শহীদ আফ্রিদির
মেহেদি অনুষ্ঠান হয়েছে গত পরশু। গতকাল ছিল ‘রুখসাতি’ (কনেকে তুলে দেওয়া) অনুষ্ঠান। সেখানে প্রাণপ্রিয় কন্যাকে জামাতার হাতে তুলে দিয়ে হৃদয়টা ভারী হয়ে এসেছে শহীদ আফ্রিদির। হাজার হোক বাবা তো! আফ্রিদি তাই লিখেছেন, ‘যে আলো আমাদের ঘর আলোকিত করে রেখেছিল, গতকাল তা আমাদের চোখের সামনে দিয়েই চলে গেল!’
করাচিতে শহীদ আফ্রিদির বাসায় গতকাল রাতে হয়ে গেছে তাঁর মেয়ে আনসা আফ্রিদির বিয়ের অনুষ্ঠান। পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম থেকে অধিনায়ক সাঈদ আনোয়ারসহ আরও অনেকেই উপস্থিত হয়েছিলেন এ অনুষ্ঠানে। বাবর তাঁর স্ট্রাইক বোলারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছা।’
পাকিস্তান জাতীয় দলের বাঁহাতি পেসার শাহিনের সঙ্গে আনসা আফ্রিদির এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে একবার বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু করাচিতে সেই বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল ‘আফ্রিদি উপজাতি’র প্রথা অনুযায়ী। তখন পরিবারের কাছের সদস্য ও বন্ধুদের নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান সেরেছিলেন শাহিন আফ্রিদি। বিয়ের ছবিগুলো তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলেও পাকিস্তানের বাঁহাতি এ পেসার ভক্তদের অনুরোধ করেছিলেন ছবিগুলো যেন না ছড়ানো হয়।
আনসা আফ্রিদি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদির বড় মেয়ে। বাবার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক তাঁর। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) শহীদ আফ্রিদির ম্যাচে আনসাকে বেশ কয়েকবারই দেখা গেছে। কন্যার প্রতি বাবার স্নেহ-ভালোবাসা এমনিতে অসীম।
সম্পর্কও খুব ভালো হওয়ায় কন্যাদানের পর আফ্রিদির হৃদয় ভারী হয়ে আসাই স্বাভাবিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাই শাহিন ও আনসাকে তুলে দেওয়ার একটি ছবি পোস্ট করে ৪৬ বছর বয়সী শহীদ আফ্রিদি লিখেছেন, ‘যে আলোটা আমাদের ঘর আলোকিত করে রেখেছিল, গতকাল তা আমাদের চোখের সামনে দিয়েই চলে গেল। বাবার হৃদয় ভারাক্রান্ত। কিন্তু নতুন উষার আলো তাকে ভালো রাখবে, এই আশা করি।’
আগামী বৃহস্পতিবার শাহিন ও আনসার বিবাহ-পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও জানিয়েছে, এশিয়া কাপের পরই এ বিয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। শাহিন আফ্রিদি এর আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, শহীদ আফ্রিদির মেয়ে আনসাকে বিয়ের কথা তিনিই প্রথম ভেবেছিলেন, ‘বিয়েটা যেহেতু আমার, তাই আনসাকে বিয়ের কথা আমাকেই প্রথম ভাবতে হয়েছিল। আফ্রিদি ও আমার ভাই অনেক দিনের বন্ধু। দুই পরিবারের বড়দেরও একে অপরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক। আমার আম্মাই বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাতে সবাই সম্মত হয়।’