‘বিশ্বকাপ জিতলে ২০৪৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হবেন বাবর’
খাদের কিনারা থেকে উঠে এসে বিশ্বকাপ ফাইনাল—২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের পথচলাকে এভাবেই বর্ণনা করা যায়। পাকিস্তানের জন্য যদিও এই গল্পটা নতুন কিছু নয়। ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপের গল্পটা অনেকটা এমনই। সেবারও কোনোভাবে প্রথম পর্ব পেরিয়ে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে পেয়েছিল পাকিস্তান। এরপর নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে যায় তাঁরা।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৯৯২ বিশ্বকাপকে ফিরিয়ে আনতে আরও এক ধাপ পাড়ি দিতে হবে পাকিস্তানকে। ৩০ বছর আগের সে বিশ্বকাপের ফাইনালে মেলবোর্নে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল পাকিস্তান। এবারও প্রতিপক্ষ সেই ইংল্যান্ড, ফাইনালের ভেন্যু সেই মেলবোর্ন।
বাবর আজম কি পারবেন ইমরান খানের মতো মেলবোর্নে শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের ১৬৯ রানের লক্ষ্য ইংল্যান্ড পেরিয়ে গেছে ১০ উইকেট ও ২৪ বল বাকি থাকতেই! এমন একটা দলকে হারানো যেকোনো দলের জন্যই কঠিন। তবে দলটার নাম যেহেতু পাকিস্তান, তাই তাদের ওপর ভরসা রাখবেন অনেকেই।
বাবর আজমের দল যদি সে কাজটা করতে পারে, তাহলে ইমরান খানের মতো বাবরের হাতেই উঠবে পুরো পাকিস্তানের দায়িত্ব। স্টার স্পোর্টসে ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচের আগে মজার ছলে এমনটাই বলেছেন ভারতীয় কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান ২৬ বছর পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন। গাভাস্কার বলছেন, ইমরানের মতো বাবরও বিশ্বকাপ জয়ের ঠিক ২৬ বছর পরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন, ‘পাকিস্তান যদি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়, তাহলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবেন বাবর, ২০৪৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবে সে।’
এবারের বিশ্বকাপে বাবর আজম মুদ্রার দুই পিঠই দেখেছেন। সুপার টুয়েলভের প্রতি ম্যাচেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। তবে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফিফটি করে সব সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। ১৩ বছর পর পাকিস্তানকে নিয়ে গেছেন বিশ্বকাপ ফাইনালে। গাভাস্কার এই কথা বললেও আপাতত রাজনীতি নিয়ে ভাবার সুযোগ নেই বাবরের সামনে, বাবরের ভাবনার পুরোটাজুড়ে সম্ভবত আছে মেলবোর্নের ফাইনাল।