সব আশা শেষে জয়ে শেষ সিলেটের বিপিএল
ছন্দে ফিরতে বেশ দেরিই হয়ে গেল সিলেট স্ট্রাইকার্সের। গত বিপিএলের রানার্সআপ দলটি এবার টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল প্রথম পাঁচ ম্যাচের সব কটিতে হেরে। সেই সিলেটই নিজেদের সর্বশেষ সাত ম্যাচের মধ্যে জিতেছে পাঁচটি। ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার ষষ্ঠ স্থানে থেকে বিপিএল শেষ করল সিলেট।
খুলনা টাইগার্সকে আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আফিফ হোসেনের ৩৫ বলে ৫২ রানের পরও ৮ উইকেটে ১২৮ রানের বেশি করতে দেয়নি দলটি। সে রান ১২ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় সিলেট।
রান তাড়ায় সিলেটের ব্যাটিংটা অবশ্য ভালো হয়নি। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৮তম ওভার পর্যন্ত। সিলেটের দুই ওপেনার জাকির হাসান ও কেনার লুইস দলীয় ৬ রানের মধ্যে আউট। সে ধাক্কাটা সামলে নেন নাজমুল হোসেন ও ইয়াসির আলী। দুজন মিলে ৬১ বলে ৭০ রানের জুটি গড়েন।
দুজনের কেউই অবশ্য ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি। নাজমুল আউট হয়েছেন ৩৭ বলে ৩৯ রান করে, ইয়াসির থেমেছেন ৪৩ বলে ৪৬ রানে। দুজন আউট হলেও মোহাম্মদ মিঠুন ও বেনি হাওয়েল বাকি কাজটা করেন। মিঠুন ১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন, হাওয়েল করেছেন অপরাজিত ১২ রান।
এর আগে খুলনার ইনিংসটাকে টেনেছেন আফিফ একাই। উদ্বোধনে নামা আফিফের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৫ বলে ৫২ রানের ঝলমলে ইনিংস। ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো ইনিংসের স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৮। কিন্তু খুলনার দুর্ভাগ্য, তাঁর সঙ্গে কেউ টিকতে পারেননি। এনামুল হক (১০) থেকে শুরু। হাবিবুর রহমান (৩) ও মাহমুদুল হাসানও (১১) জুটি গড়তে পারেননি। দ্রুত রান তোলার দায়িত্বটা আফিফ একাই সামলেছেন।
ইনিংসের ১৩তম ওভারে এসে সামিত প্যাটেলের বাঁহাতি স্পিনে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ তোলেন আফিফ। খুলনার রান তখন ৪ উইকেটে ৮১। সেখান থেকে খুলনার ইনিংস বেশি দূর যায়নি। একের পর এক উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১২৮ রান করেছেন খুলনা। ৩ উইকেট নিয়েছেন সিলেটের বেনি হাওয়েল, ২টি করে উইকেট শফিকুল ইসলাম ও তানজিম হাসানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইগার্স : ২০ ওভারে ১২৮/৮
(আফিফ ৫২, পারনেল ২১, নাহিদুল ১১; হাওয়েল ৩/১৫, শফিকুল ২/২০, তানজিম ২/৩৬)
সিলেট স্ট্রাইকার্স : ১৮ ওভারে ১৩০/৪
(ইয়াসির ৪৬, নাজমুল ৩৯, মিঠুন ১৯*, হাওয়েল ১২*; নাহিদুল ১/১১, হোল্ডার ১/১৯, আরিফ ১/১৯)
ফল : সিলেট স্ট্রাইকার্স ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : বেনি হাওয়েল (সিলেট স্ট্রাইকার্স)।