- এবার কি সিরিজ জয়?
- রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টি
- বৃষ্টি থামেনি এখনো
- প্রথম দিন পরিত্যক্ত
- দ্বিতীয় দিন: টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ একাদশ
- পাকিস্তান একাদশ
- তাসকিনের প্রথম ওভারেই বোল্ড শফিক
- পাকিস্তানকে এগিয়ে নিচ্ছেন আইয়ুব–মাসুদ
- মধ্যাহ্ন বিরতির আগে কঠিন পরীক্ষা দিলেন বাংলাদেশের বোলাররা
- এবার আইয়ুবকে ফেরালেন মিরাজ
- তাসকিনের শিকার শাকিল
- কাঁধে চোট মুশফিকের, ছাড়লেন মাঠ
- বাবর এলবিডব্লু ব সাকিব!
- ক্যাচ মিস !
- সফল দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের
- প্রথম উইকেট পেলেন নাহিদ রানা
- মিরাজের তৃতীয় উইকেট, পাকিস্তান ২৩৬/৭
- আরও একটি ক্যাচ মিস
- মিরাজের চতুর্থ উইকেট, পাকিস্তানের অষ্টম
- রিভিউ নেই বলে ...
- সালমানকে ফেরালেন তাসকিন
- পাকিস্তান থামল ২৭৪ রানে, মিরাজের পাঁচ উইকেট
- প্রথম বলেই ‘জীবন’ পেলেন সাদমান
- বাংলাদেশের দিন
- ‘আবরারের লেন্সগুলো ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন’
- আবরারের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন জাকির
- খুররমের বলে বোল্ড সাদমান
- ফিরে গেলেন নাজমুল আর মুমিনুলও
- চোখ রাঙাচ্ছে ফলো অন
- বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ৪৩
- ৪৩ পেরিয়েছে বাংলাদেশ
- রাওয়ালপিন্ডিতে আবরার
- মিরাজ–লিটনের ৪৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি
- লাঞ্চের পর ২ ওভারে উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ
- ফলোঅন এড়াতে আর প্রয়োজন ২৩ রান
- ওয়ানডে মেজাজে লিটন–মিরাজ
- লিটন-মিরাজের শতরানের জুটি
- লিটনের ফিফটি
- এবার ফিফটি করলেন মিরাজ
- ফিফটি ও ৫ উইকেট
- ৮ নম্বর বা এর পরে নেমে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ফিফটি
- বাংলাদেশ ইনিংসে প্রথম ছক্কা
- ফিরলেন মিরাজ
- ৮১ রানে পিছিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
- ২০০ পার করল বাংলাদেশ
- কঠিন সুযোগ দিয়ে লিটনের রক্ষা
- লিটনের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি
- রেকর্ড!
- লিটন–হাসান জুটির ফিফটি
- ১৩৮ রানে ফিরলেন লিটন
- ২৬২ রানে অলআউট বাংলাদেশ
- শফিককে ফেরালেন হাসান
- আবারও হাসানের আঘাত
- ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দুর্দান্ত বাংলাদেশ, তৃতীয় দিন শেষে এগিয়ে নাজমুলরা
- চতুর্থ দিনের খেলায় স্বাগত
- সাইম আইয়ুবের সঙ্গে শান মাসুদ
- সাইমকে ফেরালেন তাসকিন
- তৃতীয় বলেই নাহিদ রানার উইকেট
- নাহিদে ফিরলেন বাবর আজমও
- রিজওয়ানের ক্যাচ ফেললেন সাদমান
- নাহিদ–তোপ চলছেই, তৃতীয় শিকার সৌদ শাকিল
- পাকিস্তানের ১০০ পার
- পেসারদের সৌজন্যে প্রথম সেশন বাংলাদেশের
- এক প্রান্তে নাহিদ, আরেক প্রান্তে সাকিব
- রিজওয়ান–কাঁটা সরালেন হাসান
- টানা দুই বলে উইকেট
- প্রথম পাঁচ হবে কি হাসানের
- ফিল্ডিংয়ে নেই মুশফিক
- প্রথম ৫ কার হবে
- হাসানের প্রথম ৫ উইকেট
- উইকেট ঢেকে রাখা হয়েছে
- রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টি, খেলা বন্ধ
- পঞ্চম দিনের খেলায় স্বাগতম
- দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং
- প্রথম দুই ওভারে উঠল ৭
- দারুণ শুরু বাংলাদেশের
- বেঁচে গেলেন জাকির
- ৪০ রান করে ফিরলেন জাকির
- জীবন পেলেন সাদমান
- ধবলধোলাই হওয়ার পথে পাকিস্তান
- বাংলাদেশের ১০০
- ধবলধোলাই!
- বাংলাদেশের প্রয়োজন ৬২ রান
- আউট নাজমুল
- দুই বলে দুটি রিভিউ পাকিস্তান
- দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ জয়ের কাছে বাংলাদেশ
- ফিরলেন মুমিনুল
- ২৩ রানে দূরে বাংলাদেশ
এবার কি সিরিজ জয়?
২৩ বছর অপেক্ষার পর অবশেষে পাকিস্তানকে টেস্টে হারাতে পেরেছে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে ১০ উইকেটের স্মরণীয় সে জয়ের পর এবার বাংলাদেশের সামনে সিরিজ জয়ের হাতছানি। সেটি করতে গেলে অবশ্য দ্বিতীয় টেস্টে হার এড়াতে হবে নাজমুল হোসেনের দলকে। প্রথম টেস্টের মতো এবারও ভেন্যু ওই রাওয়ালপিন্ডি। গতকাল বৃষ্টির কারণে দুদলের কেউই ঠিকঠাক অনুশীলন করতে পারেননি, আজও দুপুর পর্যন্ত বিচ্ছিন্নভাবে আছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী কিছুক্ষণের মধ্যেই হওয়ার কথা দ্বিতীয় টেস্টের টস। প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত!
রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টি
প্রথম টেস্টে প্রথম দিনের স্মৃতিই ফিরে এসেছে!
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শুরু হতে দেরি হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। আজ দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেও হানা দিয়েছে বৃষ্টি। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ ও আউটফিল্ডের বড় একটা অংশ কাভার দিয়ে ঢাকা। বৃষ্টি হচ্ছে।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে বজ্রঝড়ের শঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছিল সংবাদমাধ্যম।
বৃষ্টি থামার পর টস কখন হবে, এখন সেই অপেক্ষা।
বৃষ্টি থামেনি এখনো
রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টি থামেনি এখনো। দ্বিতীয় টেস্টের টসই হতে পারেনি। শুক্রবার বলে প্রথম সেশন বর্ধিত হওয়ার কথা ছিল, তবে প্রথম সেশনে আদতে খেলা হবে কি না শঙ্কা এখন তা নিয়েই।
প্রথম দিন পরিত্যক্ত
টানা বৃষ্টিতে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
দ্বিতীয় দিন: টস জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দ্বিতীয় দিন সকালে বৃষ্টি নেই। আকাশে দেখা মিলেছে সূর্যের। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। প্রথম দিনের খেলা বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় আজ দুটি সেশনের খেলা দীর্ঘায়িত হবে।
টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হাসান।
বাংলাদেশ একাদশ
পেসার শরীফুল ইসলামের জায়গায় দলে ঢুকেছেন আরেক পেসার তাসকিন আহমেদ। সর্বশেষ গত বছর জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে টেস্ট খেলেছেন তাসকিন।
শরীফুল হালকা চোট পেয়েছেন। তাঁর জায়গায় তাসকিনকে নিয়ে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (সহ–অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা।
পাকিস্তান একাদশ
শাহিন আফ্রিদি এই ম্যাচে থাকছেন না, তা আগেই জানা গিয়েছিল। একাদশে জায়গা হয়নি আরেক পেসার নাসিম শাহেরও। আফ্রিদি ও নাসিমের জায়গায় পাকিস্তান দলে ঢুকেছেন লেগ স্পিনার আবরার আহমেদ ও বাঁহাতি পেসার মির হামজা।
পাকিস্তান একাদশ: সাইম আইয়ুব, আবদুল্লাহ শফিক, শান মাসুদ (অধিনায়ক), বাবর আজম, সৌদ শাকিল, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), আগা সালমান, খুররম শেহজাদ, মির হামজা, আবরার আহমেদ ও মোহাম্মদ আলী।
তাসকিনের প্রথম ওভারেই বোল্ড শফিক
১৪ মাস পর টেস্টে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ। তবে ম্যাচের শুরুতে নতুন বলটা তাঁর হাতে তুলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। আস্থার প্রতিদান দিয়ে ম্যাচের প্রথম ওভারেই তাসকিন যা করলেন, সেটিকে নতুন বলে একজন পেসারের স্বপ্নের ডেলিভারি বলাই যায়।
ওভারের প্রথম পাঁচ বলে কোনো রান না দেওয়া তাসকিন শেষ বলটি করলেন অফ স্টাম্পের একটু বাইরে ভালো লেন্থে। ইনসুইং করে তা আবদুল্লাহ শফিক ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে আঘাত হানল স্টাম্পে। মেডেন উইকেট নিয়ে ফেরাটা রাঙিয়ে রাখলেন তাসকিন।
পাকিস্তানকে এগিয়ে নিচ্ছেন আইয়ুব–মাসুদ
তাসকিন আহমেদের ‘স্বপ্নের ডেলিভারি’তে প্রথম ওভারে আবদুল্লাহ শফিককে হারিয়েছিল পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক শান মাসুদের সঙ্গে আরেক ওপেনার সাইম আইয়ুব জুটি বেঁধে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টায় করছেন। ১০ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৮ রান।
আইয়ুব রয়েসয়ে খেললেও মাসুদ ওয়ানডে মেজাজে ব্যাট করছেন। আইয়ুব ৩৫ বলে ১৬ ও মাসুদ ১৯ বলে ২২ রানে অপরাজিত। দুই প্রান্ত থেকে প্রথম ৮ ওভার করেছেন তাসকিন ও হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন প্রথমবার বোলিংয়ে পরিবর্তন এনেছেন নবম ওভারে নাহিন রানাকে এনে।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে কঠিন পরীক্ষা দিলেন বাংলাদেশের বোলাররা
প্রথম ওভারেই আবদুল্লাহ শফিককে বোল্ড করে প্রত্যাবর্তন টেস্টে বড় কিছুর আভাস দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু সেটাই শেষ। দ্বিতীয় উইকেটে সাইম আইয়ুব–শান মাসুদের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান শুধু প্রাথমিক ধাক্বাই সামলে ওঠেনি, রাওয়ালপিন্ডির তপ্ত রোদে বাংলাদেশের বোলারদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ৪ ছুঁই ছুঁই রানরেটে ২৫ ওভারে ১ উইকেটে ৯৯ রান তুলেছে স্বাগতিকেরা।
টেস্ট ক্যারিয়ারে দশম ফিফটি পূরণ করে ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন অধিনায়ক মাসুদ। ওপেনার আইয়ুবও আছেন ফিফটির অপেক্ষায়। তিনি ব্যাট করছেন ৪৩ রান নিয়ে।
প্রথম ১০ ওভারে তিন পেসারকে ব্যবহার করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। সবুজ উইকেটে শুরুর দিকে ভালোই সুবিধা পেয়েছেন তাসকিন, হাসান মাহমুদ ও নাহিদ রানা। তবে ক্রিজে থিতু হওয়ার পর তাঁদের স্বচ্ছন্দ্যেই সামলেছেন আইয়ুব ও মাসুদ।
দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও সাকিব আল হাসান মিলে ৪ ওভারে ১৭ রান দিলেও বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে পারেননি।
১০০ পেরিয়ে গেল পাকিস্তান, শানকে তুলে নিলেন মিরাজ
দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ওভারেই দলীয় সংগ্রহ এক শ পার করেছে পাকিস্তান। আর বাংলাদেশ উইকেটের দেখা পেয়েছে দ্বিতীয় সেশনের তৃতীয় ওভারে। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরেছেন ৫৭ রান করা পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ। রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু কাজ হয়নি।
এর মধ্য দিয়ে শান ও সাইমের ১০৭ রানের জুটিও ভাঙল। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান বাবর আজম।
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ২৮ ওভারে ২ উইকেটে ১০৯।
এবার আইয়ুবকে ফেরালেন মিরাজ
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১২৪/৩
‘ওয়ান ব্রিংগস অ্যানাদার’ বলে একটা কথা আছে। মেহেদী হাসান মিরাজ সেই কথাটিই যেন মনে করিয়ে দিলেন। মধ্যাহ্ন বিরতির পরপরই পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদকে ফিরিয়েছেন মিরাজ। এবার তিনি আউট করলেন ওপেনার সাইম আইয়ুবকেও।
মাসুদের মতোই ফিফটি করেছেন আইয়ুব। খেলছিলেন রয়েসয়ে। কিন্তু মিরাজের ঝুলিয়ে দেওয়া বলে বড় শট খেলার ‘লোভ’ সামলাতে পারেননি। ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে স্লগ করতে গিয়ে ব্যাটে বলের নাগাল পাননি। বল গিয়ে জমা পড়ে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে। স্টাম্পিং করতে ভুল করেননি তিনি।
আইয়ুব আউট হওয়ার পর বাবর আজমের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন সৌদ শাকিল। ৩৪ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২৪ রান।
তাসকিনের শিকার শাকিল
২৮ বলে ১৬ রান করে এগোচ্ছিলেন সৌদ শাকিল। দ্বিতীয় সেশনের ১৮তম ওভারে তাসকিনের বলে প্লেড অন হয়ে আউট হলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তাসকিনের এই ওভারে প্রথম দুই বলে দুটি চার মেরেছিলেন শাকিল। ওভারের শেষ বলে তাঁকে তুলে নিলেন তাসকিন। এর আগে নাহিদ রানার করা ৩৫তম ওভারে শাকিলের ক্যাচ ছেড়েছেন মিরাজ।
ক্রিজে ১৭ রানে অপরাজিত বাবরের নতুন সঙ্গী মোহাম্মদ রিজওয়ান।
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ৪৩ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫১।
কাঁধে চোট মুশফিকের, ছাড়লেন মাঠ
৫৩তম ওভারে ফিল্ডিং করতে গিয়ে ডান কাঁধে ব্যথা পেয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ফিজিও গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাঁকে মাঠের বাইরে নিয়ে যান।
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ৫২.২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭৭।
বাবর এলবিডব্লু ব সাকিব!
দুর্দান্ত ডেলিভারি! বলে ফ্লাইট দিয়ে ঝুলিয়ে ছেড়েছিলেন সাকিব আল হাসান। বাবর পেছনে পায়ে খেলতে গিয়ে ফাঁদে ফেঁসেছেন। বলটা তাঁর প্রত্যাশামতো টার্ন করেনি। আর্ম বল! বাবরের ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বলটা আঘাত হেনেছে প্যাডে। আউটের আবেদন করতেই আঙুল তুলেছেন আম্পায়ার। বাবরও রিভিউ নেননি।
৭৭ বলে ৩১ রান করে আউট হলেন বাবর। ক্রিজে রিজওয়ানের নতুন সঙ্গী আগা সালমান।
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ৫৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৯।
ক্যাচ মিস !
বাবরকে আউট করার দুই বল পরই আরেকটি উইকেটের দেখা পেতে পারতেন সাকিব। আগা সালমান তাঁকে সামনের পায়ে খেলতে গিয়ে ব্যাটে ঠিকমতো বল পাননি। ব্যাটের ভেতরের কানায় বল লেগে শর্ট লেগে ওত পেতে থাকা জাকির হাসানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি ডাইভ দিয়েও ধরতে পারেননি। রিফ্লেক্স আরও ভালো হলে কি পারতেন? কঠিন প্রশ্ন!
সফল দ্বিতীয় সেশন বাংলাদেশের
৩০ ওভারে ৮৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট। দ্বিতীয় সেশনের খেলার স্কোর এটি। বাংলাদেশের বোলাররা এই সেশনে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলে উইকেট আদায় করে নিয়েছেন। প্রথম সেশনে ২৫ ওভার বোলিং করে ৯৯ রানে ১ উইকেট নেওয়ার তুলনায় দ্বিতীয় সেশনকে সফল বলাই যায় বাংলাদেশের জন্য।
প্রথম সেশনের খেলা শেষে অপরাজিত ছিলেন সাইম আইয়ুব ও শান মাসুদ। কিন্তু দ্বিতীয় সেশন শুরুর পর তৃতীয় ওভারেই পাকিস্তান অধিনায়ক মাসুদকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। ৫৭ রানে আউট হন মাসুদ।
মাসুদ আউট হওয়ার পরের ওভারে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন সাইম। কিন্তু টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। মিরাজের নিরীহ স্পিন এগিয়ে খেলতে গিয়ে ৫৮ রানে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। পরের ওভারে নাহিদ রানার বলে সৌদ শাকিলের ক্যাচ ছাড়েন মিরাজ। শাকিলকে তাসকিন এসে তুলে নেন। ১৬ রানে প্লেডঅন হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
দ্বিতীয় সেশনে চা বিরতিতে যাওয়ার আগে শেষ উইকেটটি বাবরের। সাকিবের আর্ম বলে এলবিডব্লু হন ৩১ রান করা এ তারকা।
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ৫৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮৩।
১৮ রানে অপরাজিত রিজওয়ান। ০ রানে অন্য প্রান্ত ধরে রেখেছেন সালমান।
প্রথম উইকেট পেলেন নাহিদ রানা
তাঁর আগের ওভারে একটুর জন্য বেঁচে গেছেন আগা সালমান। কিন্তু এবার আর বাঁচতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রিজওয়ানকে নাজমুল হোসেনের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন নাহিদ। দ্বিতীয় টেস্টে এটাই তাঁর প্রথম উইকেট। এই ওভারের আগে তিনি ১১ ওভার বোলিং করে ৪৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
রিজওয়ানের আউটে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। ৬ উইকেটে তাদের রান ২১২। আগা সালামানের (১৭) সঙ্গে উইকেটে আছেন খুররম শেহজাদ।
ইনিংসের ৩টি রিভিউই হারাল বাংলাদেশ
৩২.৩ ওভারে প্রথম রিভিউ হারায় বাংলাদেশ। সেই ওভারে সাইম আইয়ুবের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদন করেছিলেন নাহিদ রানা। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেননি। বাংলাদেশ রিভিউ নিলে দেখা যায় বল আইয়ুবের ব্যাটে লাগেনি। এরপর ৫৯.৪ ওভারে সাকিবের বলে আগা সালমানের বিপক্ষে কট বিহাইন্ড চেয়ে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। এবারও রিভিউ হারান নাজমুলরা। ৬২.৪ ওভারে নাহিদ রানার বলে আগা সালমানের বিপক্ষে রিভিউ নিয়েও অসফল বাংলাদেশ।
মিরাজের তৃতীয় উইকেট, পাকিস্তান ২৩৬/৭
মেহেদী হাসান মিরাজের আগের ওভারেই এজড হয়েছিল খুররম শেহজাদের। বল নিচু হয়ে দ্রুতই চলে যায় স্লিপে। বলটি নাজমুলের আঙুলে লাগলেও আটকাতে পারেননি। তবে পরের ওভারে আর বাঁচতে পারেননি খুররম। মিরাজের বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন মিড–অফে দাঁড়িয়ে থাকা সাকিব আল হাসানকে। ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের রান এখন ২৩৬।
আরও একটি ক্যাচ মিস
সাকিবের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী। দুই দফায় চেষ্টা করেও হাতে নিতে পারেননি মুমিনুল হক। আলী বাঁচলেন ২ রানে। পাকিস্তানের রান ৭ উইকেটে ২৪৩।
এর আগে সাকিবের বলে আগা সালমান, মিরাজের বলে খুররম শেহজাদ এবং নাহিদ রানার বলে সৌদ শাকিলের ক্যাচ মিস করেছিলেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।
মিরাজের চতুর্থ উইকেট, পাকিস্তানের অষ্টম
আগের ওভারে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেলেও মোহাম্মদ আলী বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। মিরাজের বলে স্লিপে সাদমান ইসলামের ক্যাচ হয়েছেন (১৬ বলে ২)। মিরাজের এটি চতুর্থ উইকেট, আর পাকিস্তান হারাল অষ্টম ব্যাটসম্যান।
পাকিস্তানের রান ৮ উইকেটে ২৪৬। ৩৫ রান নিয়ে একপ্রান্তে টিকে আছেন সালমান।
রিভিউ নেই বলে ...
ক্যাচ দিয়েছিলেন, ফিল্ডার ধরেছেনও। তবু আউট হননি সালমান আলী। বাংলাদেশ দল আবেদন করলেও আম্পায়ারের মনে হয়েছে বল ব্যাটে লাগেনি। তবে রিপ্লেতে পরিষ্কার, তাসকিনের বল ফ্লিক করার চেষ্টায় সালমানের ব্যাটে লেগেছিল।
তবে বাংলাদেশ দলের কিছুই করার ছিল না। তিন রিভিউ আগেই শেষ হয়ে গেছে। সালমান বেঁচেছেন ৪৫ রানে।
সালমানকে ফেরালেন তাসকিন
অবশেষে ফিরলেন সালমান আলী। এক বার ফিল্ডারের মিস, আরেকবার বাংলাদেশের রিভিউ না থাকায় বেঁচে যাওয়া সালমান দ্রুত রান তোলার তাড়ায় আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। তবে তাসকিনের বল স্কয়ার লেগ দিয়ে পার করতে গিয়ে বাউন্ডারিতে সাকিবের দারুণ ক্যাচের শিকার হয়েছেন তিনি (৯৫ বলে ৫৪ রান)।
পাকিস্তানের রান ৯ উইকেটে ২৭৪।
পাকিস্তান থামল ২৭৪ রানে, মিরাজের পাঁচ উইকেট
টানা দুই বলে পাকিস্তানের শেষ দুই উইকেট নিল বাংলাদেশ। আগের ওভারের শেষ বলে তাসকিনের বলে সালমান আউট হওয়ার পর মিরাজ তাঁর নতুন ওভারের প্রথম বলে ফেরালেন আবরার আহমেদকে।
সামনে এগিয়ে খেলতে চাওয়া আবরার বল মিস করে লিটনের হাতে স্টাম্পড হয়েছেন। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে অলআউট ২৭৪ রানে।
পাকিস্তানের শেষ উইকেটটি মিরাজের পঞ্চম। ৬১ রানে ৫ উইকেট নিলেন বাংলাদেশের ডানহাতি অফ স্পিনার। মিরাজ এ নিয়ে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন দশবার।
প্রথম বলেই ‘জীবন’ পেলেন সাদমান
মীর হামজা প্রথম বলটি করেছিলেন দুর্দান্ত। সাদমান ইসলামের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে সেই বল চলে যায় গালিতে। কিন্তু ক্যাচ নিতে পারেননি সৌদ শাকিল।
বিনা উইকেটে ১০ রানে দিন শেষ বাংলাদেশের
পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করার পর দিনের শেষ বেলায় মাত্র দুই ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসানের জুটি তাতে অবিচ্ছিন্ন থেকেছে ১০ রান তুলে।
সাদমান ৯ বল খেলে ৬ আর জাকির ৩ বল খেলে ০ রানে অপরাজিত। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের চেয়ে পিছিয়ে আছে ২৬৪ রানে, হাতে আছে পুরো ১০ উইকেট।
বাংলাদেশের দিন
রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের জয় তুলে বাংলাদেশ একই মাঠে দ্বিতীয় টেস্ট খেলছে সিরিজ–জয়ের দারুণ সুযোগে চোখ রেখে। প্রথম দিনের পুরোটাই কেড়ে নিয়েছে বৃষ্টি। আজকের দ্বিতীয় দিনেই খেলা হয়েছে প্রথমবার। আর তাতে দিন শেষে হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল।
দিনের শুরুটা হয়েছিল প্রথম ওভারেই তাসকিন আহমেদের বলে আবদুল্লাহ শফিকের বোল্ড দিয়ে। এরপর সাইম আইয়ুব ও শান মাসুদ ফিফটি করলেও দুজনকেই ফিরিয়ে দিনটি নিজের করে নিতে শুরু করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের এই অফ স্পিনার পরে ফিরিয়েছেন টেল এন্ডারে খেলা খুররম শেহজাদ, মোহাম্মদ আলী আর আবরার আহমেদদেরও। পূর্ণ করেছেন টেস্ট ক্রিকেটে দশমবার ইনিংসে পাঁচ উইকেটের মাইলফলক।
মিরাজের পাঁচ উইকেট পাওয়ার দিনে পাকিস্তানের মাঝ ইনিংসে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৩১ রান করা বাবরকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেছেন সাকিব, রিজওয়ানকে দারুণ বলে স্লিপে ক্যাচ বানিয়েছেন নাহিদ রানা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে নেওয়া পাঁচ বোলারের চারজনই নামের পাশে উইকেট লেখাতে পেরেছেন। এর মধ্যে ৬১ রানে ৫ উইকেট মিরাজের, শরীফুল ইসলামের বদলি নামা তাসকিনের সাফল্য ৫৭ রানে ৩ উইকেট। সাকিব ও নাহিদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট, হাত শূন্য শুধু হাসান মাহমুদের। পাকিস্তানের রান ২৭৪–এর বেশ আগেই থামতে পারত, যদি চারটি ক্যাচ মিস না হতো।
দিনের শেষ বেলায় ব্যাটিংয়ে নামার পর বাংলাদেশ ব্যাট করেছে ২ ওভার। মীর হামজার প্রথম বলে সাদমান ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়ার পর অবিচ্ছিন্ন থেকেই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে দিন শেষ করা বাংলাদেশ কাল মাঠে নামবে পাকিস্তানের চেয়ে ২৬৪ রানে পিছিয়ে থেকে।
‘আবরারের লেন্সগুলো ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন’
বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছে বাংলাদেশ। দিনের তৃতীয় আর মীর হামজার দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে শর্ট স্কয়ার লেগে ক্যাচ দেন জাকির হাসান। ক্যাচটি নিয়ে আবরার আহমেদ আবেদনও করেন। কিন্তু মাঠের আম্পায়ারের ক্যাচটি নিয়ে দ্বিধা ছিল বলে তিনি তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্তের ভার দেন। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, ক্যাচ আবরারের হাতে যাওয়ার আগে মাটিতে পড়েছে। ধারাভাষ্য কক্ষে উরুজ মুমতাজ বললেন, ‘তার (আবরার) লেন্সগুলো ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।’
আবরারের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন জাকির
দিনের তৃতীয় ওভারে একপ্রকার ‘জীবন’ই পেয়েছেন জাকির হাসান। কিন্তু পরের ওভারে আর ‘জীবন’ পেলেন না তিনি। দিনের চতুর্থ ওভারে খুররম শেহজাদের বলে স্কয়ার লেগে আবরার আহমেদের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি ব্যক্তিগত ১ রান করে। বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ১৫।
খুররমের বলে বোল্ড সাদমান
ইনিংসের প্রথম বলেই ‘জীবন’ পেয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। মীর হামজার বলে স্লিপে ক্যাচ ফেলেছিলেন সৌদ শাকিল। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না বাংলাদেশের ওপেনার। ২৩ বলে ১০ রান করে খুররম শেহজাদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তিনি। ২ উইকেটে ২০ রান করেছে বাংলাদেশ।
ফিরে গেলেন নাজমুল আর মুমিনুলও
এত দ্রুত বাংলাদেশের উইকেট পড়ছে যে ‘লাইভ’ করাই কঠিন হয়ে যাচ্ছে! ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে জাকিরকে দিয়ে শুরু। এরপর সাদমান ফেরেন অষ্টম ওভারে। একই ওভারে নাজমুলকে ফিরিয়েছেন খুররম শেহজাদ। খুররমের জোড়া আঘাতের পর নবম ওভারের প্রথম বলে মুমিনুলকে মোহাম্মদ আলীর ক্যাচ বানান মীর হামজা। সব মিলিয়ে ১৪ বলের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফলো অনের শঙ্কা জেগেছে বাংলাদেশের। এই মুহূর্তে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২ রান নাজমুলদের। উইকেটে আছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
গেলেন মুশফিকও
মুশফিকের বলটি না খেলে উপায় ছিল না। মির হামজার করা ব্যাক অব লেংথের বলটি উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দেন মুশফিক।
চোখ রাঙাচ্ছে ফলো অন
খুররম শেহজাদ ও মীর হামজার তােপে ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফলো অনের শঙ্কায় কাঁপছে বাংলাদেশ। ফলো অন এড়াতে এখনো বাংলাদেশের প্রয়োজন ৯৯ রান।
বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বশেষ আউট হয়েছেন সাকিব আল হাসান। ১০ বলে ২ রান করে সাকিব আউট হয়েছেন খুররমের বলে। খুররম নিয়েছেন ৪ উইকেট, মীর হামজা নিয়েছেন ২ উইকেট।
বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ৪৩
শুধু ফলো অনই নয়, বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানের ইনিংসও চোখ রাঙাচ্ছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ইনিংস ৪৩ রানের, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৮ সালে।
৪৩ পেরিয়েছে বাংলাদেশ
লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিংয়ে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কা কেটেছে। বাংলাদেশের সংগ্রহ এখন ৬ উইকেটে ৪৭ রান। ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বস্তির খবর মির হামজা ও খুররম শেহজাদকে প্রথম স্পেল শেষে আপাতত বিশ্রাম দিয়েছেন অধিনায়ক শান মাসুদ।
৬-০-১৪-৪
আজ সকালে খুররম শেহজাদের প্রথম স্পেল। জাকির থেকে শুরু, এরপর একে একে আউট করেছেন সাদমান, নাজমুল, সাকিবকে।
রাওয়ালপিন্ডিতে আবরার
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রাওয়ালপিন্ডিতে ৫ ম্যাচে আবরারের উইকেট ৪০টি। গড় ১৭.২৫। যদিও এই মাঠে এটি তাঁর প্রথম টেস্ট ম্যাচ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে একাদশে ছিলেন না এই লেগ স্পিনার।
বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৭ রান।
মিরাজ–লিটনের ৪৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি
পাকিস্তান পেসারদের তোপের মুখে প্রতিরোধ গড়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ প্রথম সেশন শেষ করেছে ৬ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। লিটন ও মিরাজ অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটি গড়ে গেছেন লাঞ্চ বিরতিতে। মিরাজ ৩৩ রানে ও লিটন ১৩ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৪ ওভার, ৬৫ রান তুলতে বাংলাদেশের উইকেট গেছে ৬টি। ফলো অন এড়াতে বাংলাদেশের এখনো দরকার ৫০ রান।
মূলত তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনের প্রথম ঘণ্টাতেই এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশ। বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশে পরের ১৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। ২০২২ সালের পর থেকে টেস্টে ১টি উইকেট নিতে পাকিস্তানের বোলারদের খরচ করতে হয়েছে ৩৮.৭৮ রান। যা টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। সেই পাকিস্তান আজ বাংলাদেশের ৬ উইকেট তুলে নিয়েছে ৩৪ বলের মধ্যে।
এর পুরো কৃতিত্ব দুই পেসার মির হামজা ও খুররম শেহজাদের। খুররম নিয়েছেন ৪ উইকেট, আউট করেছেন জাকির, সাদমান, নাজমুল, সাকিবকে। অন্যদিকে হামজা ফিরিয়েছেন মুমিনুল ও মুশফিককে।
লাঞ্চের পর ২ ওভারে উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ
লাঞ্চের পর মাঠে ফিরে ২ ওভার খেলেছে বাংলাদেশ, উইকেট হারায়নি। লিটন দাস ও মিরাজ মিলে তুলেছেন ৫ রান। ৬ উইকেটে বাংলাদেশের রান ৮০।
ফলোঅন এড়াতে আর প্রয়োজন ২৩ রান
২৬ রানে বাংলাদেশ ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর আলোচনা শুরু হয়—ফলো অন এড়াতে পারবেন নাজমুল হোসেনরা। কিন্তু লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটিতে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। ১০০ রানও পার করে ফেলেছে। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ফলোঅন এড়াতে আর ২৩ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। লিটন ৩৫ ও মিরাজ ৩৮ রান নিয়ে উইকেটে আছেন। বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১০২।
ওয়ানডে মেজাজে লিটন–মিরাজ
লিটন- মিরাজ যেন অন্য উইকেটে ব্যাটিং করছেন। লাঞ্চের পর থেকেই ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করছেন দুজন। শেষ দুই ওভারে বাউন্ডারি মেরেছেন ৬টি। দুজনেই আছেন ফিফটির কাছাকাছি। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১৫।
বিগ ব্যাশে দল পেলেন রিশাদ
অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশের দল হোবার্ট হারিকেনসে ডাক পেয়েছেন রিশাদ হোসেন। আজ অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বিগ ব্যাশ ড্রাফটের চতুর্থ রাউন্ড থেকে রিশাদকে দলে নিয়েছে হোবার্টের দলটি। এর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু সাকিব আল হাসানই বিগ ব্যাশে খেলেছেন।
লিটন-মিরাজের শতরানের জুটি
৩৪ বলে ৬ উইকেট হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে ফলোঅন এড়িয়েছে বাংলাদেশ। ফলোঅন এড়াতে প্রয়োজনীয় ১২৫ রান তুলে ফেলেছে তারা। যার মূল কৃতিত্ব লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের। সপ্তম উইকেটে দুজনে মিলে ১০০ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছিন্ন আছেন। লিটন ৪৮ ও মিরাজ ৪৭ রানে ব্যাট করছেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২৬।
লিটনের ফিফটি
প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফিফটি করেছিলেন। খেলেছিলেন ৫৬ রানের ইনিংস। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ফিফটি পেলেন। টেস্টে এটি লিটনের ১৮তম ফিফটি। ২৬ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর যেভাবে দলকে টেনেছেন, গুরত্বের বিচারে নিঃসন্দেহে এটি তাঁর অন্যতম সেরা।
এবার ফিফটি করলেন মিরাজ
মিরাজ ছন্দে আছেন। সেটা বোঝা গেছে তাঁর ইনিংসের প্রথম বল থেকেই। বাংলাদেশের ব্যাটিং ধসের পর উইকেটে এসে ব্যাটিং করেছেন ওয়ানডে মেজাজে। এরপর পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং কৌশল বদলেছেন। ফিফটি পেয়েছেন ৮১ বলে। টেস্টে এটি মিরাজের অষ্টম ফিফটি। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৩৫।
ফিফটি ও ৫ উইকেট
দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দেশের বাইরে এক টেস্টে ৫ উইকেট ও ফিফটি পেয়েছেন মিরাজ। প্রথম এই কীর্তি করেছেন সাকিব আল হাসান। দুটিই ওয়েস্ট ইন্ডিজর মাটিতে। একটি ২০০৯ সালে, অন্যটি ২০১৮ সালে। সব মিলিয়ে সাকিব এই কীর্তি গড়েছেন আটবার। মিরাজ দুবার।
৮ নম্বর বা এর পরে নেমে টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ফিফটি
৭—মেহেদী হাসান মিরাজ
৬—মাহমুদউল্লাহ
৫—মোহাম্মদ রফিক
৩—মাশরাফি বিন মুর্তজা
৩—মুশফিকুর রহিম
বাংলাদেশ ইনিংসে প্রথম ছক্কা
ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারের মতো বলের গতি। খুররম শেহজাদের বাউন্সার পিক করতে লিটনের কোনো সমস্যাই হলো না। পুল করে পাঠিয়ে দিলেন স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে। লিটন ও বাংলাদেশের ইনিংসে এটি প্রথম ছক্কা। বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৬৯।
সপ্তম উইকেট জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
রেকর্ডটি হয়েছে সিরিজের প্রথম টেস্টে। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম ইনিংসে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ১৯৬ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান।
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৬৫ রানের জুটি গড়েছেন মিরাজ ও লিটন। যা টেস্টে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। লিটন ও মিরাজ দুজনেই এগোচ্ছেন সেঞ্চুরির দিকে। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৯১ রান।
ফিরলেন মিরাজ
এদিনও সেঞ্চুরি পেলেন না মিরাজ। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৭৭ রান। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফিরলেন ৭৮ রান করে। গুড লেংথের বলে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে বোলার খুররাম শেহজাদের হাতে ক্যাচ তুলেছেন মিরাজ।
টেস্টে এটি খুররমের প্রথম ৫ উইকেট। ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্টে এসে এই কীর্তির দেখা পেলেন খুররম। বাংলাদেশের রান ৭ উইকেটে ১৯১।
৮১ রানে পিছিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
১৬৫ রানের রানের জুটি গড়েছিলেন লিটন–মিরাজ। দুজনেই ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। তখন লিড নেওয়ার কথাই ভাবছিল বাংলাদেশ। তবে চা বিরতির আগে শেষ ১০ বলের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে আপাতত সে আশায় ধাক্কা লেগেছে।
৭৮ রানে মিরাজ ফেরার পর ১ রানে আউট হয়েছেন তাসকিন। দুজনকেই ফিরিয়েছেন প্রথম সেশনের নায়ক খুররম শেহজাদ। এখন পর্যন্ত ৭৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। বাংলাদেশের রান এখন ৮ উইকেটে ১৯৩। ৮৩ রানে ব্যাটিং করছেন লিটন। বাংলাদেশ পিছিয়ে ৮১ রানে।
২০০ পার করল বাংলাদেশ
হাসান মাহমুদকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই শ পার করালেন লিটন দাস। ৫৯ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের রান ৮ উইকেটে ২০১। হাসান ১, লিটন ৮৯ রানে ব্যাট করছেন।
কঠিন সুযোগ দিয়ে লিটনের রক্ষা
আবরারকে সোজা উইকেটে জোরের ওপরের খেলেছিলেন লিটন। বল গেল আবরারের দিকেই, তবে হাত বলের সমান্তরালে রাখতে পারলেও জমাতে পারেননি, জোরে আসা বল শুধু বাউন্ডারি থেকেই বাঁচাতে পেরেছেন। পাকিস্তানের জন্য কঠিন সুযোগ ছিল, বেঁচেছেন লিটন।
বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ২০৩। লিটন ৯১ আর হাসান ১ রানে ব্যাট করছেন।
লিটনের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি
তিন অঙ্কে পৌঁছাতে দরকার ছিল ১ রান। লিটন দাস সেটা করলেন আবরার আহমেদকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করে।
লিটনের ৪৪ টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। এবারের আগে টেস্টে সর্বশেষ তিন অঙ্কের ইনিংস খেলেছিলেন ২০২২ সালের মে মাসে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরে।
লিটনের সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশের রান ৮ উইকেটে ২১৭। ২৭ বলে ২ রান করে তাঁকে সঙ্গ দিচ্ছেন হাসান মাহমুদ। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের রানে পৌঁছাতে বাংলাদেশের দরকার আরও ৫৭ রান।
রেকর্ড!
দলের স্কোর ৫০ রানও হয়নি, কিন্তু প্রথম পাঁচের পর ব্যাটিংয়ে নেমে তিনটি সেঞ্চুরি—প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে এমন কীর্তি গড়লেন লিটন দাস। আজ রাওয়ালপিন্ডির আগে ২০২১ সালে চট্টগ্রামে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১১৪ রান করেছিলেন বাংলাদেশ দল ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর। পরের বছর মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৪১ রান করেন বাংলাদেশ ২৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর।
লিটন–হাসান জুটির ফিফটি
লিটন–মিরাজের ১৬৫ রানের জুটির পর দ্রুতই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। অষ্টম উইকেট গিয়েছিল ১৯৩ রানে।
সেখান থেকে নবম উইকেট জুটিতে পঞ্চাশের বেশি রান তুলেছেন লিটন–হাসান মাহমুদরা।
৭৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৫১। লিটন ব্যাট করছেন ১৩০ রানে, হাসান ১০ রানে।
১৩৮ রানে ফিরলেন লিটন
প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার খুব কাছে যখন দল, তখনই লিটনের বিদায়। অনবদ্য সেঞ্চুরি করা লিটন ফিরলেন আগা সালমানের বলে লং অনে সাইম আইয়ুবের ক্যাচ হয়ে। ২২৮ বলে খেলা ১৩৮ রানের ইনিংস নিয়ে যখন মাঠ ছাড়ছিলেন, বাংলাদেশ ড্রেসিংরুম থেকে দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানানো হল লিটনকে।
বাংলাদেশের রান ৯ উইকেটে ২৬২। লিড নিতে হলে করতে হবে আর মাত্র ১৩ রান।
২৬২ রানে অলআউট বাংলাদেশ
লিটন আউটের পর বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস টিকল আর মাত্র দুই বল। আগা সালমানের বলে এলবিডব্লু হয়েছেন শেষ ব্যাটসম্যান নাহিদ রানা। অবশ্য আম্পায়ার আউট না দিলে বেঁচে যেতেন, এমনটাই বোঝা গেছে রিভিউ দেখে।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৭৮.৪ ওভারে ২৬২ রানে। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে ১২ রানের।
শফিককে ফেরালেন হাসান
প্রথম ইনিংসে ১২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে পাকিস্তান। নিজের প্রথম আর ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই হাসান মাহমুদের আঘাত। অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন আবদুল্লাহ শফিক (১০ বলে ৩ রান)।
হাসান প্রথম ইনিংসে উইকেট পাননি। তবে ব্যাট হাতে ৫১ বলে ১৩ রানের ধৈর্যশীল এক ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে নিয়েই উইকেট!
পাকিস্তানের রান ২ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৭। সাইম আইয়ুবের সঙ্গে ক্রিজে আছেন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা খুররম শেহজাদ।
আবারও হাসানের আঘাত
আবদুল্লাহ শফিক আউট হওয়ার পর নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নেমেছিলেন খুররম শেহজাদ। তাঁকে বোল্ড করে দিয়েছেন হাসান মাহমুদ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারাল পাকিস্তান।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দুর্দান্ত বাংলাদেশ, তৃতীয় দিন শেষে এগিয়ে নাজমুলরা
খুররম শেহজাদের আউটের সঙ্গে শেষ হলো রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ৩.৪ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে ৯ রান তুলতেই হারিয়েছে ২ উইকেট। এক প্রান্তে সাইম আইয়ুব ৬ রান নিয়ে অপরাজিত।
দুই ইনিংস মিলিয়ে পাকিস্তান দল এগিয়ে ২১ রানে। আগামীকাল চতুর্থ দিনে বাকি ৮ উইকেটে ভর করে বাংলাদেশের সামনে কত রানের লক্ষ্য দিতে পারে, দেখার আপাতত সেটিই।
বাংলাদেশ দল দিন শুরু করেছিল বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে। শেহজাদ ও মীর হামজার বোলিং তোপে মাত্র ৩৪ বলের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সকালটা হয়ে ওঠে দুঃস্বপ্নের। সেখান থেকে বাংলাদেশকে টেনে তোলেন লিটন দাস–মেহেদী হাসান মিরাজের সপ্তম উইকেট জুটি। দুজনে বাংলাদেশকে সর্বনিম্ন অলআউট হওয়ার শঙ্কা থেকে উদ্ধারই করেননি, পরে ইনিংসও মেরামতও করেছেন।
লিটন–মিরাজের ১৬৫ রানের জুটি ভাঙে পরেরজন ৭৮ রান করে শেহজাদের পঞ্চম শিকার হলে। খানিকপর আউট হন তাসকিন আহমেদও। এরপর হাসান মাহমুদকে নিয়ে আরেকটি বড় জুটি গড়ে তোলেন লিটন, নিজেও তুলে নেন চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি।
একটা পর্যায়ে বাংলাদেশ স্বপ্ন দেখছিল লিডেরও। তবে লিটন ১৩৮ রানে আউট হলে শেষ পর্যন্ত ১২ রানেই পিছিয়ে থাকতে হয় বাংলাদেশকে।
দিনের শেষ বেলায় পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামলে হাসানের জোড়া শিকারে পরিণত হন আবদুল্লাহ শফিক ও শেহজাদ। স্বাগতিকদের অস্বস্তির সমাপ্তির বিপরীতে খোশমেজাজেই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল।
চতুর্থ দিনের খেলায় স্বাগত
কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ–পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা। আবহাওয়া বার্তায় বৃষ্টির পূর্ভাবাস থাকলেও সকালে আকাশ পরিষ্কারই দেখা যাচ্ছে। খেলা শুরু হবে যথাসময়েই, বাংলাদেশ সময় পৌনে এগারটায়।
পাকিস্তান ব্যাট করতে নামবে দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৯ রান নিয়ে। প্রথম ইনিংসে ১২ রানের লিড থাকায় শান মাসুদের দল এই মুহূর্তে এগিয়ে ২১ রানে।
সাইম আইয়ুবের সঙ্গে শান মাসুদ
গতকাল বিকেলে হাসান মাহমুদের বলে খুররম শেহজাদ আউট হলে তখনই দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। আজ চতুর্থ দিন সকালে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে এসেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদ, সঙ্গে ৬ রান নিয়ে অপরাজিত সাইম আইয়ুব। হাসান তাঁর অসমাপ্ত ওভারের শেষ দুটি বল করেছেন মাসুদের বিপক্ষে। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ২ উইকেটে ৯।
সাইমকে ফেরালেন তাসকিন
দিনের নবম ওভারে পাকিস্তানের প্রথম উইকেট তুলে নিল বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদকে ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে নাজমুল হোসেনের দারুণ ক্যাচে ফিরেছেন সাইম আইয়ুব (৩৫ বলে ২০ রান)।
নতুন ব্যাটসম্যান বাবর আজম। ১৩ ওভার শেষে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫০।
তৃতীয় বলেই নাহিদ রানার উইকেট
সকালে এক প্রান্ত থেকে টানা ছয় ওভার বল করেছেন তাসকিন আহমেদ। তাঁকে বিশ্রাম দিয়ে নাহিদ রানার হাতে বল তুলে দিতেই তৃতীয় ডেলিভারিতে উইকেট।
গুড লেন্থের বল বেরিয়ে যাওয়ার সময় ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন শান মাসুদ। বল তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে (৩৪ বলে ২৮ রান)। পাকিস্তান হারাল চতুর্থ উইকেট।
নতুন ব্যাটসম্যান সৌদ শাকিল, সঙ্গে ৯ রান নিয়ে অপরাজিত বাবর আজম। পাকিস্তানের স্কোর ৪ উইকেটে ৬২। দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ৭৪ রানে।
নাহিদে ফিরলেন বাবর আজমও
নাহিদ রানাকে সামলাতে পারলেন না বাবর আজমও। পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান রানার বাড়তি বাউন্সে প্রথম স্লিপে সাদমান ইসলামকে ক্যাচ দিয়েছেন (১৮ বলে ১১)। পাকিস্তান হারাল পঞ্চম উইকেট।
রিজওয়ানের ক্যাচ ফেললেন সাদমান
বাবর আউটের পর প্রথম বলেই ক্যাচ তুলেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে হাতে জমাতে পারেননি সাদমান। আগের বলে বাবরের ক্যাচ পেয়েছিলেন বুকের ওপর, নিয়েছিলেন সহজেই। এবার বাঁ দিকে সরতে হয়েছে, তাতেই শরীরের ভারসাম্য রাখতে পারেননি। প্রথম বলেই জীবন পেয়েছেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান।
১৯ ওভার শেষে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৭৫। দুই ইনিংস মিলিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে ৮৭ রানে।
নাহিদ–তোপ চলছেই, তৃতীয় শিকার সৌদ শাকিল
টানা তিন ওভারেই উইকেট নিলেন নাহিদ রানা। প্রথম ওভারে শান মাসুদ, দ্বিতীয় ওভারে বাবর আজমের পর তৃতীয় ওভারের শেষ বলে সৌদ শাকিলকে ফেরালেন তিনি। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে আসা রানার বল খোঁচা দেবেন কি দেবেন না করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটনকে ক্যাচ দিয়েছেন শাকিল (১০ বলে ২ রান)।
পাকিস্তানের স্কোর ৬ উইকেটে ৮৩। লিড ৯৫ রানের। উইকেটে আছেন রিজওয়ান ও আগা সালমান।
পাকিস্তানের ১০০ পার
দিনের প্রথম সেশনে চার উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তান রিজওয়ান–সালমানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। ৮১ রানে ছয় হারানো দলটি সপ্তম উইকেট জুটিতে চড়ে এক শ পেরিয়েছে।
দ্বিতীয় ইনিংসের ২৬ ওভার শেষে পাকিস্তানের রান ৬ উইকেটে ১০৪। লিড ১১৬ রানের।
পেসারদের সৌজন্যে প্রথম সেশন বাংলাদেশের
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনটা বাংলাদেশের। সোয়া দুই ঘণ্টার এই সেশনে ২৬.২ ওভারে পাকিস্তান করেছে ১০৮ রান, বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ৪ উইকেট। সব মিলিয়ে লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১১৭। প্রথম ইনিংসের লিড মিলিয়ে পাকিস্তান এগিয়ে ১২৯ রানে।
পাকিস্তান আগের দিনের ২ উইকেটে ৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে সতর্কই ছিল শুরুতে। শান মাসুদ ও সাইম আইয়ুব দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদকে খেলছিলেন দেখেশুনে। তবে দিনের নবম ওভারে সাইম তাসকিনকে ড্রাইভ করতে গিয়ে মিডঅফে ক্যাচ দিলে দুজনের ৩৮ রানের জুটি ভেঙে যায়।
টানা ছয় ওভার বোলিং করে তাসকিন বিশ্রামে গেলে তাঁর জায়গায় বল হাতে নেন নাহিদ রানা। ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট খেলতে নামা এই পেসার নিজের তৃতীয় বলেই ফেরান মাসুদকে। পরের ওভারেই তাঁর শিকার হন বাবর আজম। সেখানেই থামেননি। নিজের তৃতীয় ওভারে ফেরান সৌদ শাকিলকেও। তিনজনই ফেরেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। দুটি নেন উইকেটকিপার লিটন, একটি স্লিপে দাঁড়ানো সাদমান।
সাদমানও নিতে পারতেন দুটি ক্যাচ। মোহাম্মদ রিজওয়ান প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু সেটি ফসকে ফেলেন তিনি। শুরুতেই ‘জীবন’ পেয়ে যাওয়া রিজওয়ান অপরাজিত থেকেই বিরতিতে মাঠ ছেড়েছেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে এরই মধ্যে তুলেছেন ৫৩ বলে ৩৮ রান। তাঁর সঙ্গে ৭ রানে অপরাজিত আগা সালমান।
বাংলাদেশের পক্ষে এখন পর্যন্ত সেরা বোলিং নাহিদের ২২ রানে ৩ উইকেট।
এক প্রান্তে নাহিদ, আরেক প্রান্তে সাকিব
রাওয়ালপিন্ডিতে আজ বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও এখনো আবহাওয়া অনুকূলেই আছে। চতুর্থ দিনের লাঞ্চ বিরতির পর আবারও খেলা শুরু হয়েছে। সকালে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধস নামানো পেসার নাহিদ রানা এক প্রান্ত থেকে বোলিং আক্রমণে এসেছেন। আরেক প্রান্ত থেকে আঁটসাঁট বোলিং করছেন সাকিব আল হাসান। ৩৩ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১২৭ রান।
রিজওয়ান–কাঁটা সরালেন হাসান
লাঞ্চ বিরতির পর তৃতীয় ওভারেই আরেকটি সাফল্য। হাসান মাহমুদের বলে মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট। গুড লেন্থে পড়া বলটি অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। ড্রাইভ করতে গিয়ে লিটনের হাতে ক্যাচ দেন রিজওয়ান (৭৩ বলে ৪৩)।
পাকিস্তান ৭ উইকেটে ১৩৬ রান।
টানা দুই বলে উইকেট
রিজওয়ানের পরের বলে মোহাম্মদ আলীও আউট। স্লিপে তাঁর ক্যাচ নিয়েছেন নাজমুল হোসেন। ক্ষুব্ধ পাকিস্তান অধিনায়ক ব্যালকনি থেকে ড্রেসিংরুমের ভেতরেই চলে গেছেন।
হাসান দুই উইকেট নিয়েছেন ওভারের শেষ দুই বলে। পরের ওভারের প্রথম বলে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তাঁর সামনে।
পাকিস্তানের রান ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬। দুই ইনিংস মিলিয়ে লিড ১৪৮ রানের।
প্রথম পাঁচ হবে কি হাসানের
হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগালেও সেটা হয়নি। তবে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেরা বোলার হাসান মাহমুদই। গতকাল শেষ বিকেলে দুই উইকেট নেওয়া এই পেসার আজ টানা দুই বলে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও মোহাম্মদ আলীকে। চার উইকেট তুলে হাসান এখন প্রথমবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার অপেক্ষায়। টেস্টে এখন পর্যন্ত তাঁর সেরা বোলিং ৬৫ রানে ৪ উইকেট, চলতি বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে।
ফিল্ডিংয়ে নেই মুশফিক
আজ বাংলাদেশের হয়ে ফিল্ডিংয়ে নামেননি মুশফিকুর রহিম। তাঁর জায়গায় ফিল্ডিং করছেন নাঈম হাসান। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানাচ্ছে, দ্বিতীয় দিনে কাঁধে আঘাত পেয়েছিলেন মুশফিক। সেটির জেরে ফিল্ডিং থেকে বিরত রয়েছেন তিনি।
প্রথম ৫ কার হবে
পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে আর একটি উইকেটই বাকি। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন আবরার আহমেদ। নাহিদ রানার বলে প্রথম স্লিপে নাজমুলের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি (১২ বলে ২ রান)।
আবরারের উইকেটটি নাহিদের চতুর্থ। এটি তাঁর ক্যারিয়ার–সেরা। আগের সেরা ৮৭ রানে ৩ উইকেট।
নাহিদের মতো চার উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। দেখার বিষয়, কে পাঁচ উইকেট নিতে পারেন। উইকেট কিন্তু একটিই বাকি। দুজনের কেউই এর আগে ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাননি।
পাকিস্তানের রান ৯ উইকেটে ১৪৫। লিড ১৫৭ রানের।
হাসানের প্রথম ৫ উইকেট
নিশ্চিত হতে একটু সময় লাগল। আম্পায়ার আউট দিলেও রিভিউ চাইল পাকিস্তান। তাতে হাসানের প্রথমবার ইনিংসে ৫ উইকেট উদ্যাপনই যা বিলম্বিত হল। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় আম্পায়ারও নিশ্চিত করলেন, হাসানের বলে মিরাজের ক্যাচ হয়েছেন মীর হামজা (১০ বলে ৪)।
হাসানের পঞ্চম উইকেটেই থেমেছে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস। স্বাগতিকেরা ৪৬.৪ ওভার ব্যাট করে তুলেছে ১৭২ রান। প্রথম ইনিংসে ১২ রানে এগিয়ে থাকায় পাকিস্তানের লিড দাঁড়িয়েছে ১৮৪ রানের। অর্থ্যাৎ, ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের দরকার ১৮৫ রান।
২ উইকেটে ৯ রান দিন শুরু করা পাকিস্তান আজ বাকি আট উইকেটে যোগ করেছে ১৬৩ রান। অপরাজিত থাকা আগা সালমানের ৪৭ রানই সর্বোচ্চ, মোহাম্মদ রিজওয়ান করেছেন ৪৩। বাংলাদেশের পক্ষে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন হাসান, নাহিদ রানার শিকার ৪৪ রানে ৪ উইকেট। অন্য উইকেটটি তাসকিন আহমেদের।
আক্রমণাত্মক মেজাজে জাকির হাসান
জয়ের জন্য ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা আক্রমণাত্মক মেজাজেই খেলছে বাংলাদেশ, বিশেষ করে জাকির হাসান। প্রথম ৬ ওভারে ৩৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ১ ছয় ও ২ চারে জাকির নিয়েছেন ২১ বলে ২৭ রান। সাদমানের রান ১৫ বলে ৮।
বিনা উইকেটে ৩৭ রান নিয়ে চা বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ দল। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার আরও ১৪৮ রান।
আলোর স্বল্পতায় খেলা বন্ধ
চা বিরতির পর এক ওভার খেলা হয়েই বন্ধ হয়ে গেছে। রাওয়ালপিন্ডির আকাশে ঘনকালো মেঘ, জ্বালানো হয়েছে স্টেডিয়ামের সব কটি ফ্লাডলাইট। তবে ম্যাচ–উপযোগী আলো নেই বলে খেলা বন্ধ করেছেন আম্পায়াররা। এরই মধ্যে মাঠকর্মীরা পিচ ঢেকে দিয়েছেন। যে কোনো মুহূর্তে বৃষ্টি নামার সম্ভাবনা।
উইকেট ঢেকে রাখা হয়েছে
আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়েছে আগেই। এখন রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট ও আশপাশের জায়গাও কাভার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। একটি বাদে বাকিসব ফ্লাডলাইটও নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।
রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টি, খেলা বন্ধ
আলোকস্বল্পতায় খেলা বন্ধ হয়েছে আগেই। এখন বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আজ আবারও খেলা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। খেলা বন্ধ হাওয়ার আগে ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো উইকেট না হারিয়ে তুলেছে ৪২ রান। জাকির হাসান ৩১ ও সাদমান ইসলাম ৯ রানে অপরাজিত আছেন। ২৩ বলে ২টি করে চার–ছক্কায় ৩১ রান করেছেন জাকির।
বৃষ্টিতে দিনের খেলার অকাল সমাপ্তি, শেষ দিনে করতে হবে ১৪৩ রান
আজ আর খেলা হচ্ছে না রাওয়ালপিন্ডিতে। কিছুক্ষণ আগে দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেছেন ম্যাচ অফিশিয়ালরা। আলোকস্বলতায় চা বিরতির পর এক ওভার খেলা হয়েই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পড়ে শুরু হয় বৃষ্টি। সেই বৃষ্টিতে ভেসে গেল দিনের শেষ শেসনটা।
আবহাওয়া ঠিক থাকলে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় সকাল পৌণে ১১টায় শুরু হবে শেষ দিনের খেলা। অবশ্য বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা আছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা বাংলাদেশকে শেষ দিনে করতে হবে ১৪৩ রান। নাজমুলের দলের হাতে আছে ১০ উইকেট। দুই ওপেনার জাকির হাসান (৩১*) ও সাদমান ইসলাম (৯*) দলকে ৪২ রান এনে দিয়েছেন।
এর আগে পেসারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৭২ রানে অলআউট করে দেয় বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদ ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছে করেছেন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং। নাহিদ রানা ৪৪ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। অন্য উইকেটটি তাসকিন আহমেদ। টেস্টে এই প্রথম বাংলাদেশের পেসাররা ইনিংসে ১০ উইকেট নিলেন।
পঞ্চম দিনের খেলায় স্বাগতম
রাওয়ালপিন্ডিতে আজ সকাল থেকেই আছে বজ্রঝড় ও বৃষ্টির পূর্বাভাস। তবে এই মুহূর্তে রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টি হচ্ছে না। রাওয়ালপিন্ডির আকাশে অবশ্য মেঘ আছে। দেখা যাক, বৃষ্টির শঙ্কা দূর করে সময়মতো খেলা শুরু হয় কি না।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং
প্রথম দুই ওভারে উঠল ৭
শুরুটা করেছেন সাদমান। মোহাম্মদ আলীর করা দিনের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরেছেন। প্রথম ওভারে ওঠে ৫ রান। এরপর দ্বিতীয় ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ২ রান। সবচেয়ে বড় বিষয় পাকিস্তানি পেসারদের বল খেলতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বাংলাদেশের দুই ওপেনারের।
দারুণ শুরু বাংলাদেশের
লক্ষ্য ১৮৫ রান। সেই রান তাড়া করার পথে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছেন জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। এখন পর্যন্ত দুই ওপেনার মিলে ১০.২ ওভারে রান তুলেছেন ৫৪। ৩৬ রান নিয়ে ব্যাটিং করছেন জাকির, সাদমান অপরাজিত ১৬ রানে।
বেঁচে গেলেন জাকির
ঘটনাটি ইনিংসে ১০ম ওভারের। মোহাম্মদ আলীর বলে জাকিরের ব্যাটের নিচের অংশ ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটকিপার সরফরাজ আহমেদের হাতে। আম্পায়ার আউট দেননি। পাকিস্তানও কোনো আবেদন করেনি।
৪০ রান করে ফিরলেন জাকির
শেষ দিনের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। তবে মির হামজার বলে ব্যক্তিগত ৪০ রানে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন জাকির। গুড লেংথে পড়ে হালকা মুভমেন্টে বেরিয়ে যাওয়া বলটিতে লাইন মিস করেন জাকির। তাতে ভেঙেছে বাংলাদেশের ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি। ক্রিজে এসেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
জীবন পেলেন সাদমান
এবারও সুযোগ তৈরি করেছিলেন মির হামজা। তাঁর ব্যাক অব লেংথে করা বলটিতে ব্যাক ফুট পাঞ্চ করার চেষ্টা করেন সাদমান। তবে ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে দাঁড়ানো সালমান আগার কাছে। কঠিন সুযোগটি নিতে পারেননি সালমান। বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৬৮।
আবারও দৃশ্যপটে খুররম শেহজাদ
কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন সাদমান। আগের ওভারেই ফিল্ডার সালমানের কল্যাণে জীবন পেয়েছিলেন। এরপরও উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। খুররম শেহজাদের করা ফোর্থ স্টাম্পের হাফভলিতে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ তুলেছেন এই ওপেনার। করেছেন ২৪ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭১ রান।
সাদমান ফেরার পর নাজমুল–মুমিনুল জুটি
রাওয়ালপিন্ডিতে আজ দিনের শুরু থেকেই ছিল বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের পূর্বাভাস। সকালে কালো মেঘও ছিল আকাশে। কিন্তু পঞ্চম ও শেষ দিনের খেলা শুরু হয়েছে যথাসময়ে। এখন তো রাওয়ালপিন্ডির আকাশ থেকে মেঘও কেটে গেছে। বাংলাদেশও এগোচ্ছে ধীরেসুস্থে। ২ উইকেটে ৮০ রান বাংলাদেশের।
ধবলধোলাই হওয়ার পথে পাকিস্তান
বাংলাদেশের ১০০
দলের ৭০ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফেরার পর দলের হাল ধরেছেন মুমিনুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল। দুজনেই ব্যাটিং করেছেন স্বচ্ছন্দে। ৩০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুজন।
ধবলধোলাই!
১২২ রান নিয়ে লাঞ্চে বাংলাদেশ
প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জেতার পর দ্বিতীয় টেস্টেও জয়ের পথেই আছে বাংলাদেশ। সিরিজ জিততে বাংলাদেশ প্রয়োজন এখন ৬৩ রান, হাতে আছে ৮ উইকেট। দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনের প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে ২৭ ওভার, রান উঠেছে ৮০। ৩৩ রান নিয়ে উইকেটে আছেন নাজমুল, মুমিনুল অপরাজিত ২০ রানে।
আউট হয়েছেন দুই ওপেনার জাকির হোসেন ও সাদমান ইসলাম। দুজনে অবশ্য বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন। গড়েছেন ৫৮ রানের জুটি। ৪০ রান করেছেন জাকির, ২৪ রান করেছেন সাদমান।
পাকিস্তান পেসাররা উইকেট থেকে সুবিধা নিতে পারেননি। আবরার নয়, টার্ন দেখা গেছে পার্ট টাইম স্পিনার সালমান আগার বলে।
বাংলাদেশের প্রয়োজন ৬২ রান
লাঞ্চের পর ২ ওভার খেলা হয়েছে। বাংলাদেশ তুলেছে ১ রান। বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১২৩। জয়ের জন্য আর ৬২ রান প্রয়োজন। নাজমুল ৩৪ ও মুমিনুল ২০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
আউট নাজমুল
বলটি একটু আগেই খেলেছেন নাজমুল। পার্ট টাইম স্পিনার সালমান আগার লেগ স্টাম্পে করা বলটিতে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। করেছেন ৩৮ রান। দ্বিতীয় টেস্ট জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন এখন ৫৮ রান।
দুই বলে দুটি রিভিউ পাকিস্তান
আবরারের বলে স্লগ সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন মুশফিক। বলের লাইন মিস করলে বল লাগে মুশফিকের প্যাডে। আম্পায়ার পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দেননি। পাকিস্তান অধিনায়ক রিভিউ নিলেও দেখা যায় বল আগে মুশফিকের ব্যাট ছুঁয়েছে। পরের বলেও একই ফল। মুশফিক খেলতে চাইলেন সুইপ, ব্যাট ছুঁয়ে বল লাগে প্যাডে। আবারও রিভিউ নেন উইকেট পেতে মরিয়া শান মাসুদ। বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১৪৫।
দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ জয়ের কাছে বাংলাদেশ
ফিরলেন মুমিনুল
মিড অনে থাকা ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন মুমিনুল। টাইমিংটা ঠিকঠাক হয়নি। আবরারের বলে মিড অনে থাকা সাইম আইয়ুবের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। মুমিনুল করেছেন ৩৪ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৩/৪।
২৩ রানে দূরে বাংলাদেশ
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন আর ২৩ রান। মুমিনুল ফেরার পর উইকেটে এসেছেন সাকিব আল হাসান (৪)। সঙ্গে আছেন মুশফিক (১৬)। বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১৬২।
বাংলাদেশের ইতিহাস
দেশের ক্রিকেটে নতুন অধ্যায়। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারাল বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জেতার পর দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের জয় ৬ উইকেটে। দেশের বাইরে দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এর আগে দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জিতেছে ২০০৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই দলটি পূর্ণশক্তির ছিল না। যেকোনো দিক বিচারেই এই সিরিজ জয়ের মাহাত্ম্য বেশি। সঙ্গে সিরিজের প্রথম টেস্টে আছে ১০ উইকেটের জয়।
অন্যদিকে নিজেদের ইতিহাস দ্বিতীয়বার ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে পাকিস্তান। ২০২২ সালে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হারে পাকিস্তান।
১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ সহজেই জিতেছে। দুই ওপেনার জাকির হোসেন ও সাদমান ইসলাম নিজেদের কাজটা করেছেন। গড়েছেন ৫৮ রানের জুটি। ৪০ রান করেছেন জাকির, ২৪ রান করেছেন সাদমান। এরপর নাজমুল হোসেন ও মুমিনুল হকও দলের চাহিদা মিটিয়েছেন। নাজমুল করেছেন ৩৮ রান, মুমিনুল ৩৪ রান। দলীয় ১৫৩ রানে মুমিনুল আউট হলে বাকি কাজটা শেষ করেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
ম্যাচশেষে প্রতিক্রিয়া
এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় অর্জন
সিরিজসেরা হওয়ার পর
দেশের বাইরে প্রথমবার সিরিজসেরা হয়েছি। এই মুহূর্ত কখনো ভুলব না