বিপিএলে বাংলাদেশ সিরিজের প্রস্তুতি সারলেন মঈন আলী
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপিএল শিরোপা জয়ের উদ্যাপন চলছিল তখন। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দুই ড্রেসিংরুমের সামনে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে ছিলেন ভিক্টোরিয়ানসের ক্রিকেটাররা। ছবি তুলছিলেন সবাই। সেলফিতে ব্যস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্মকর্তা ও তাদের আত্মীয়স্বজন।
এত হইচইয়ের মধ্যে ট্রাউজারের পকেটে হাত ঢুকিয়ে শান্তশিষ্ট বালকের মতো হাঁটছিলেন কুমিল্লার ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলী। কাল ফাইনালের রাতে ১৭ বলে অপরাজিত ২১ রান করে কুমিল্লার জয়ে অবদান রাখেন মঈন। কিন্তু ইংল্যান্ড দলের সহকারী অধিনায়ককে দেখে মনে হচ্ছিল না, এই মাত্র কোনো টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। মঈন যেন আড়াল হতে পারলেই বাঁচেন!
সংবাদকর্মীদের চোখ ঠিকই খুঁজে নেয় মঈনকে। আর প্রত্যাশিতভাবেই মঈনকে ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। স্বল্পভাষী মঈনও উত্তর দিলেন, ‘বাংলাদেশ সফর সব সময়ই কঠিন। ঘরের মাঠে ওরা খুবই ভালো দল। তবে আমরাও ভালো দল। আশা করি, সিরিজটা ভালো হবে।’
মঈনের এবারের বিপিএল খেলতে আসার সিদ্ধান্ত মূলত ইংল্যান্ডের এই সিরিজের কারণেই। অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিশ্বকাপও আরও একটি কারণ, ‘এবার আমার বিপিএলে আসার একটা কারণ এই সিরিজ। এখানে আমাদের সিরিজ আছে। সামনে আবার ভারতে বিশ্বকাপও আছে। আমি চাচ্ছিলাম, এ ধরনের কন্ডিশনে বেশি বেশি খেলে অভ্যস্ত হতে। এই খেলাগুলো অবশ্যই আমাদের সাহায্য করবে।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে ঘরের মাঠে সিরিজ হারতে যেন ভুলে গেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সাল থেকে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কোনো ওয়ানডে সিরিজ হারেনি। তবে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের সর্বশেষ সিরিজ হার এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই। বাটলার-মঈনদের সেই ইংল্যান্ড কদিন আগেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে। ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফিও ইংল্যান্ডের ঘরে। সাদা বলের ক্রিকেটে বিশ্বের সেরা দলও ইংল্যান্ডই।
মঈনও যেন বিষয়টি আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন, ‘আমাদের জন্য উইকেট অতটা গুরুত্বপূর্ণ না। আমাদেরও ভালো ক্রিকেটার আছে, যারা এ ধরনের কন্ডিশনে খেলেছে, ভালো করেছে। আমরা একসঙ্গে খেলছি অনেক দিন। ভিন্ন ভিন্ন কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার যথেষ্ট অভিজ্ঞতা আছে। বাংলাদেশ সিরিজে উইকেট যদি বিপিএলের মতো ভালো থাকলেও মানিয়ে নিতে হবে, খারাপ হলেও তা–ই করতে হবে। কারণ আমরাও যথেষ্ট ভালো দল।’
বিপিএলের উইকেট ও খেলার মান নিয়েও মঈনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। উত্তরে জানা কথাই বললেন, ‘আমি এবার মাত্র দুটি ম্যাচের জন্য এসেছি। উইকেট এবার ভালোই মনে হয়েছে। আসলে আপনি যদি ধারাবাহিকভাবে ভালো উইকেটে খেলেন, তাহলে খেলার মান বাড়ে, ভালো ক্রিকেটারও উঠে আসে। বিপিএলের খেলার মানের জন্য এমন উইকেট খুব জরুরি।’ তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড দল। ১ মার্চ থেকে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। ৯ মার্চ থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ।