খেলাটা যখন ক্রিকেট, আর যেখানে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও জাপান, আকরাম খানের নামটা আসবেই। ব্যাটসম্যান আকরাম নয়, বোলার আকরামের কথা বলা হচ্ছে। সেই ১৯৯৬ সালে কুয়ালালামপুরে এসিসি ট্রফিতে ৬ ওভার বল করে ৫ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন আকরাম। নিজেরা ৪ উইকেটে ২৭০ রান করার পর জাপানকে ৫৬ রানে অলআউট করেছিল বাংলাদেশ।
২৭ বছর পর দুবাইয়ে আজ সেই জাপানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ম্যাচে অনুমিতভাবেই জিতেছে বাংলাদেশ। জাপানি যুবাদের ৯৯ রানে অলআউট করে সেই রান ২৩২ বল ও ৯ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়েছে বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপে টানা দুই ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯। দিনের অন্য ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাত শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়ে জমিয়ে তুলেছে গ্রুপের শেষ চারের সমীকরণ। ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচটি কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল হয়ে গেছে।
বাংলাদেশ-জাপান ম্যাচটির যুব ওয়ানডের মর্যাদা নেই। থাকলে এটি অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ের ওয়ানডেতে অব্যবহৃত বলের হিসাবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জয় হতো। তবে ‘স্বীকৃত’ ও ‘অস্বীকৃত’ মিলিয়ে যুব ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এর চেয়ে বেশ বল হাতে রেখে জিতেছে তিনটি ম্যাচ। ২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরের দেওয়া ৭১ রানের লক্ষ্য সর্বোচ্চ ২৭০ বল হাতে রেখে পেরিয়েছিল বাংলাদেশের যুবারা।
টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে ২৩ রানেই জাপানের প্রথম ২ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। এরপর নিহার পারমার কাজুমা কাতো-স্টাফোর্ড ৩১ রানের জুটি গড়েন। এরপর চার ওভারের মধ্যে ৪ রান দিয়ে জাপানের ৪ উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। মুহূর্তেই ৫৪/২ থেকে ৫৮/৬ হয়ে জাপানের রানটাকে এরপর ৭৯ পর্যন্ত নিয়ে যান হুগো কেলি ও কিফার লেকের সপ্তম উইকেট জুটি। সেখানে থেকে ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে জাপান যখন অলআউট হলো তখন জাপানের রান ৯৯।
বাংলাদেশের যুবা বোলাররা ‘দশে’ মিলেই থামিয়েছেন জাপানকে। সাতজন বল করেছেন, উইকেট পেয়েছেন সাতজনই। সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই স্পিনার মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও আরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনার মাহফুজুর ৮.১ ওভারে ৯ রান খরচায় পেয়েছেন উইকেট দুটি।
রান তাড়ায় আশিকুর রহমান ও জিশান আলমের উদ্বোধনী জুটি ৭.৫ ওভারেই দলকে ৭১ রান এনে দেন। জিশান ১৬ বলে ২৯ রান করে আউট হওয়ার পর মোহাম্মদ রিজওয়ানকে (৭ বলে ১০) নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আশিকুর। আগের ম্যাচে আমিরাতের বিপক্ষে ৭১ রান করা এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান আজ করেছেন ৪৫ বলে ৫৫ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জাপান অ–১৯: ৪৭.১ ওভারে ৯৯ (পারমার ১৮, লেক ১৭, কাতো–স্টাফোর্ড ১৩; মাহফুজুর ২/৯, আরিফুল ২/১৫, রোহনাত ১/৮, মারুফ ১/১০, রিজওয়ান ১/১৪, ইকবাল ১/১৮, পারভেজ ১/২৪)।
বাংলাদেশ অ–১৯: ১১.২ ওভারে ১০০/১ (আশিকুর ৫৫*, জিশান ২৯, রিজওয়ান ১০*; হাইঞ্জ ১/৩০)।
ফল: বাংলাদেশ অ–১৯ দল ৯ উইকেটে জয়ী।