অ্যাডিলেডে খাদের কিনারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
চাইলেই ইনিংস ব্যবধানে জয়ের পথে হাঁটতে পারতেন স্টিভেন স্মিথ। তবে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হাঁটলেন প্রথম টেস্টের অনুকরণে। পার্থে বড় লিডের পরও দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুত কিছু রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশাল লক্ষ্য দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আজ অ্যাডিলেড টেস্টের তৃতীয় দিনও একই পাণ্ডুলিপি মেনে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১৪ রানে গুটিয়ে দিয়ে প্রথম ইনিংসে ২৯৭ রানের বড় লিড পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৯৯ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে দেন স্মিথ।
ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ৪৯৭ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৮ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হার এড়াতে আরও ৪৫৯ রান করতে হবে, নয়তো ৬ উইকেট নিয়ে বাকি দুই দিন কাটিয়ে দিতে হবে।
অ্যাডিলেড টেস্টের তৃতীয় দিনে দুই দল মিলে মোট ১৬ উইকেটের পতন হয়েছে। এর মধ্যে দিনের প্রথম ভাগে প্রথম ইনিংসের শেষ ৬ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় দিন শেষে অপরাজিত থাকা তেজনারায়ন চন্দরপল ও অ্যান্ডারসন ফিলিপ দুজনই রানআউটের শিকার হন। তেজনারায়ন আগের দিনের ৪৭-এর সঙ্গে কোনো রানই যোগ করতে পারেননি।
তবে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা ফিলিপ ৭৮ বলে ৪৩ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ ইনিংস এ দুটিই। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন রোস্টন চেজ। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩ উইকেট নেন অফ স্পিনার নাথান লায়ন। ২টি করে উইকেট মিচেল স্টার্ক ও মিখায়েল নেসেরের।
প্রায় তিন শ রানের লিড পাওয়ার পরও চতুর্থ ইনিংসের ব্যাটিং এড়াতে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। উসমান খাজা ও ডেভিড ওয়ার্নারের উদ্বোধনী জুটিতেই ১৪ ওভারে চলে আসে ৭৭ রান। খাজা ৫০ বলে ৪৫ আর ওয়ার্নার ৩৬ বলে ২৮ রান করে ফেরার পর রানের গতি সচল রাখেন স্মিথ (৩৬ বলে ৩৫) মারনাস লাবুশেন (২৩ বলে ৩১) ও ট্রাভিস হেডরা (২৭ বলে ৩৮*)।
৩১ ওভার ব্যাটিং করে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৯৬ রানে এগিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। শেষবেলায় ব্যাটিং করতে নেমে স্কট বোল্যান্ডের তোপে পড়েন ক্রেগ ব্রাফেটরা।
ডানহাতি এ পেসারের এক ওভারেই ফেরেন অধিনায়ক ব্রাফেট, শামারাহ ব্রুকস ও জার্মেইন ব্ল্যাকউড। পরে মিচেল স্টার্ক ১৭ রান করা তেজনারায়নকে তুলে নিলে খাদের কিনারে চলে যায় সফরকারীরা। ১৬৪ রানে পার্থ টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।