‘আমার দলে সম্মানটা আপনার জন্য নিশ্চিত’—অধিনায়ক হিসেবে তামিম ইকবালের মূলমন্ত্র এটাই। গতকালও তিনি কথাটা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন ফাইনালপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে। সম্মানটা যে থাকতেই হবে, তা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তামিম নিজে তো আছেনই, জাতীয় দলের সাবেক দুই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের ঠিকানাও ফরচুন বরিশাল।
সঙ্গে যোগ করুন বাংলাদেশ দলের বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। স্থানীয় এত তারকাকে একই দলে রাখতে সম্মানবোধটা তাই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এক সুতায় গেঁথে রাখার এই শক্তির কারণে গতবার শিরোপা জিতেছে ফরচুন বরিশাল। এবারও চ্যাম্পিয়ন হওয়া থেকে এক ধাপ দূরে দাঁড়িয়ে তারা।
আজ সন্ধ্যায় বিপিএল ফাইনালে চিটাগং কিংসকে হারাতে পারলে বরিশাল টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরবে। অধিনায়ক হিসেবে তামিম ইকবালও বসবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও ইমরুল কায়েসের পাশে। বিপিএলের আগের দশ আসরে শুধু মাশরাফি–ইমরুলই যে কেবল টানা দুবার শিরোপা জিততে পেরেছেন। এবার ওই হাতছানি আছে তামিমের জন্যও।
মাশরাফি অবশ্য তামিম ও ইমরুলের থেকে এগিয়ে থাকবেন—বিপিএলের প্রথম তিন আসরের শিরোপাই গেছে তাঁর ঘরে। প্রথম দুটি ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস আর পরেরটি মাশরাফি জিতেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে। ওখানেই মাশরাফির শিরোপা সাফল্য থেমে যায়নি—২০১৭ সালে রংপুর রাইডার্সের হয়ে আরও একবার বিপিএল ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরেছিলেন।
ইমরুলের তিন শিরোপার সবগুলোই আবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে। প্রথমটি জেতেন ২০১৯ সালে, ওই আসরের ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তামিম। এরপর ২০২২ ও ২০২৩ সালেও কুমিল্লাকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন অধিনায়ক ইমরুল।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ তামিম ২০১৯ সালে পেয়েছিলেন কুমিল্লার হয়ে। তবে অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার শিরোপা উঁচিয়ে ধরেন গতবার ফরচুন বরিশালের হয়ে। এবার জিতলে টানা দ্বিতীয় শিরোপা হবে তামিমের, বসবেন ইমরুল ও মাশরাফির পাশে।
এই তিনজনের বাইরেও বিপিএল শিরোপা জেতা অধিনায়ক আছেন দুজন—২০১৬ সালে ঢাকা ডায়নামাইটসকে নিয়ে সাকিব আর ২০২০ সালে রাজশাহী রয়্যালসকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন আন্দ্রে রাসেল।
ট্রফির মতো অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডেও মাশরাফিকে ছাড়িয়ে যাওয়া বেশ মুশকিলই হওয়ার কথা। ২০১২ সালের প্রথম থেকে শুরু করে গত আসর অবধি ১০৫টি ম্যাচ অধিনায়ক হিসেবে খেলেছেন মাশরাফি, এর মধ্যে ৬৪টিতেই জিতেছেন।
এই তালিকায় দ্বিতীয় সাকিব আল হাসান এবারের বিপিএল খেলতে পারেননি। ৮৬ ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়ে দলকে ৫৪টিতে জিতিয়েছেন, ৮৫ ম্যাচে ৪২ জয় নিয়ে তিনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সমান ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে সমান জয় মুশফিকেরও। ৬২ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা তামিম ৩৪ জয় নিয়ে পাঁচে।