নাঈম হাসানকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে টেনে মিড অনের ওপর দিয়ে মারলেন জশুয়া দা সিলভা। সেটি চার হলো না ছক্কা, আম্পায়ার গাজী সোহেল নিশ্চিত ছিলেন না। তাতে অবশ্য দা সিলভার কিছু আসে যায়নি। গ্লাভস খুলে ফেললেন তিনি। চার হোক বা ছয়, ম্যাচ তো শেষ ওখানেই। সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুই নম্বর মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের কাছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ৩ উইকেটের হারও নিশ্চিত হয়েছে তাতেই। তিন ম্যাচ সিরিজে প্রথমটি ড্র হওয়ার পর এবার দারুণ এক জয় পেল সফরকারীরা, তাতে সিরিজেও এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
১৯০ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের স্পিন-ঘূর্ণির কবলে পড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দল। নাঈম হাসান, সাইফ হাসান ও তানভীর ইসলামের সামনে ৭০ রানেই ৫ উইকেট হারায় তারা। প্রথম ব্রেক থ্রুটা দেন নাঈম, তাঁর ঝুলিয়ে দেওয়া বলে আড়াআড়ি বড় শট খেলতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন কার্ক ম্যাকেঞ্জি।
রেমন রেইফার ও তেজনারায়ণ চন্দরপলের জুটি টেকে প্রায় ১৪ ওভার। সে জুটি ভাঙেন সাইফ, রেইফার দেন ফিরতি ক্যাচ। পরের ওভারে চন্দরপলকেও ফেরান সাইফ। চন্দরপলও স্লিপে প্রায় একইভাবে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ নাঈমের হাতে। দ্রুত ২ উইকেট নিয়ে উজ্জীবিত বাংলাদেশ ‘এ’ যায় মধ্যাহ্নবিরতিতে। বিরতির পর তানভীর পরপর ২ ওভারে নেন ২ উইকেট, অ্যালিক অ্যাথানাজের পর ফেরেন কিসি কার্টি।
আফিফ হোসেনের দলকে তখন হাতছানি দিচ্ছিল দুর্দান্ত এক জয়। তবে সেটি পেতে ব্রেন্ডন কিং ও দা সিলভার শেষ স্বীকৃত জুটিটি ভাঙতে হতো দ্রুতই। সেটিই করতে পারেননি স্বাগতিক বোলাররা। দুজন ষষ্ঠ উইকেটে যোগ করেন ৭৬ রান। ৪৩তম ওভারে ৭৮ বলে ৫৪ রান করা কিংয়ের পর সিনক্লেয়ারকে ফিরিয়ে অবশ্য আবার আশা জোগান তানভীর।
সে আশা শেষ করে দেয় দা সিলভার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ অধিনায়ক ৫৪ বলে ৪৭ রান করেন ৭ চার ও ১ ছক্কায়, তাঁকে দারুণ সঙ্গ দেন ২২ বলে ২০ রান করা নবম ব্যাটসম্যান আকিম জর্ডান। দুজনের ৪১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতেই নিশ্চিত হয় জয়।
এর আগে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান নিয়ে শেষ দিনে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ ‘এ’ দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলকে লক্ষ্য দিতে পারে ১৯০ রান। সকালে দ্রুতই ফেরেন নাঈম হাসান, তানজিম হাসানও বেশিক্ষণ টেকেননি। এরপর অসওয়াল্ড সিনক্লেয়ারের পঞ্চম শিকারে পরিণত হন শুক্কুর। ১০৬ বলে ৭২ রান করেন এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। আগের দিনের সঙ্গে বাংলাদেশ ‘এ’ দল ৪ উইকেট নিয়ে যোগ করতে পারে ২৩ রান। শেষ পর্যন্ত তো দুই দলের ব্যাটিং-ই গড়ে দিল পার্থক্য।
৩০ মে সিলেটেই শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ চার দিনের ম্যাচ। এ ম্যাচের জন্য গতকালই ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। আফগানিস্তানের বিপক্ষ আসন্ন একমাত্র টেস্ট সামনে রেখে দলে ঢুকেছেন জাতীয় দলের ছয় ক্রিকেটার-মুমিনুল হক, নুরুল হাসান, ইয়াসির আলী, শরীফুল ইসলাম, মৃতুঞ্জয় চৌধুরী ও নাসুম আহমেদ। দলে নেই প্রথম দুই ম্যাচের অধিনায়ক আফিফ হোসেন।