১৩ মিনিট ও ১৫ বলেই শেষ জিম্বাবুয়ে, সিরিজ আফগানিস্তানের
দেরাদুন, চট্টগ্রাম, আবুধাবির পর আজ বুলাওয়ে।
এ নিয়ে চারটি টেস্ট ম্যাচ জিতল আফগানিস্তান। কিন্তু আফগানদের কাছে নিশ্চয় আজকের জয়ের মাহাত্ম্যটাই বেশি। কারণ, বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়েকে হারানোর মধ্যে দিয়ে যে দলটি প্রথমবারের মতো কোনো টেস্ট সিরিজ জিতল।
কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে গতকালই জয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি করে রেখেছিল আফগানিস্তান। ২৭৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে পড়ে ২০৫ রান তুলতেই ৮ উইকেট হারিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছিল জিম্বাবুয়ে। এই ম্যাচ দিয়েই প্রায় চার বছর পর টেস্ট খেলতে নামা রশিদ প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের পর কাল দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।
আজ পঞ্চম ও শেষ দিনে জিম্বাবুয়ের বাকি ২ উইকেট তুলে নিতে আফগানদের লাগল মাত্র ১৩ মিনিট ও ১৫ বল। আর কোনো রান যোগ করতে না পারা স্বাগতিকেরা অলআউট ২০৫ রানেই। ৭২ রানের জয়ে ১-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিল হাশমতউল্লাহ শহীদির দল। বুলাওয়েতেই রানবন্যার প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল।
আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের মাঝে বাধা হয়ে ছিলেন ক্রেইগ আরভিন। বাকিদের ব্যর্থতার মাঝেও জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ৫৩ রানে। তবে দিনের নবম বলেই আরভিনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হন রিচার্ড এনগারাভা।
পরের ওভারের তৃতীয় বলে আরভিনকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে আফগানিস্তানকে জয় এনে দেন রশিদ খান। ম্যাচে এটি তাঁর ১১তম উইকেট। ছয় টেস্টের ক্যারিয়ারে উইকেট মোট ৪৫টি। এ ম্যাচে ব্যাট হাতেও দারুণ অবদান রেখেছেন রশিদ, দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছেন ৪৮ রান। ম্যাচসেরা পুরস্কারটাও উঠেছে তাঁর হাতে। আর দুই ম্যাচে ৩৯২ রান করে সিরিজসেরা হয়েছেন রহমত শাহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ১৫৭ ও ৩৬৩
জিম্বাবুয়ে: ২৪৩ ও ৬৮.৩ ওভারে ২০৫
(আরভিন ৫৩, কারেন ৩৮, রাজা ৩৮; রশিদ ৭/৬৬, জিয়া ২/৪৪)।
ফল: আফগানিস্তান ৭২ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রশিদ খান।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: রহমত শাহ।
সিরিজ: ২ ম্যাচের সিরিজে আফগানিস্তান ১-০ ব্যবধানে জয়ী।