১৫ বলে ফিফটি করে যত রেকর্ড পারভেজ হোসেনের
৮৯ রানের লক্ষ্য। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সেই লক্ষ্যটা তাড়া করতে তর সইল না আবাহনীর ওপেনার পারভেজ হোসেনের। ইমন নামেই বেশি পরিচিত ওপেনার বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৬.৪ ওভারেই শাইনপুকুরের বিপক্ষে আবাহনীকে ১০ উইকেটের জয় এনে দিলেন। নবম ম্যাচে আবাহনী যখন অষ্টম জয়টি পেল, তখন ২৩ বলে ৬১ রানে অপরাজিত পারভেজ। জাতীয় দলের ওপেনার একটি রেকর্ড নিয়েও ফিরেছেন ড্রেসিংরুমে, লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।
পারভেজ ১৫ বলেই ফিফটি ছুঁয়েছেন। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মতো বাংলাদেশেও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটি এটি; লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে যা যৌথভাবে চতুর্থ দ্রুততম ফিফটিও।
লিস্ট ‘এ’তে বাংলাদেশে ও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আগের দ্রুততম ফিফটি ছিল ১৮ বলে। ২০১৪ এশিয়া কাপে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৮ বলে ফিফটি পেয়েছিলেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি।
পাঁচ বছর পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মিরপুরেই ১৮ বলে ফিফটি করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের রেকর্ড গড়েন ফরহাদ রেজা। প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে ২০ বলে ৫৬ রান করা ফরহাদ ভেঙেছিলেন নাজমুল হোসেন মিলনের রেকর্ড। ২০০৭ সালে জাতীয় লিগ ওয়ানডেতে খুলনার বিপক্ষে ১৯ বলে ফিফটি করেন ঢাকা বিভাগের নাজমুল। ম্যাচটি হয়েছিল ধানমন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
স্বীকৃত ক্রিকেটেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দ্রুততম ফিফটি এখন পারভেজের। আগের রেকর্ড ১৬ বলের। ২০১৯ সালে ডিপিএল টি–টোয়েন্টিতে মোহামেডানের বিপক্ষে ১৬ বলে ফিফটি পেয়েছিলেন শাইনপুকুরের শুভগত হোম।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটির বিশ্ব রেকর্ডটা কৌশল্য বীরারত্নের। শ্রীলঙ্কার হয়ে ১৫টি ওয়ানডে ও ৫টি টি-টোয়েন্টি খেলা বীরারত্নে ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার প্রিমিয়ার লিমিটেড ওভার টুর্নামেন্টে কুরুনেগালার বিপক্ষে ১২ বলে ফিফটি করেন। ১৯৯৪ সালে ইংল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার অ্যাডাম হোলিওকের গড়া ১৫ বলের ফিফটির রেকর্ড ভাঙেন বীরারত্নে।