২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

নির্বাচক হয়েই অবসরে কামরান আকমল

অবসরে কামরান আকমলছবি: এএফপি

পাকিস্তান ক্রিকেটে কত কী–ই না হয়!

সুদূর ইংল্যান্ডে বসে নিজের চাকরি বজায় রেখেই ‘অনলাইনে’ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া যায়। আবার ক্রিকেট থেকে অবসর না নিয়েই জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক হওয়া যায়।

প্রথম উদাহরণটি পাকিস্তানের তথা পৃথিবীর প্রথম জাতীয় ক্রিকেট দলের ‘অনলাইন কোচ’ মিকি আর্থারের। দ্বিতীয় উদাহরণটি কামরান আকমলের। দীর্ঘদিন পাকিস্তান ক্রিকেট দলে ‘ব্রাত্য’ এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান বড় পুরস্কারই পেয়েছেন।

যে নির্বাচকদের ওপর তাঁর এত দিনের ক্ষোভ ছিল, সেই নির্বাচক হিসেবেই নিয়োগ পেয়েছেন তিনি, সেটি খেলা থেকে অবসর না নিয়েই। ব্যাপারটি বেশ বাড়াবাড়ি হয়ে যায় ভেবেই হয়তো নির্বাচক হওয়ার এক দিন পর কামরান আকমল সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন।

আরও পড়ুন

রমিজ রাজাকে পিসিবির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সেই চেয়ারে নাজাম শেঠি বসার পর থেকে নানা রকম পরিবর্তন ঘটে চলেছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। মোহাম্মদ ওয়াসিমের নেতৃত্বাধীন আগের নির্বাচক কমিটিকে বিদায় করে দিয়ে শহীদ আফ্রিদিকে কিছু দিনের জন্য প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব তিনি পালন করতে চাননি। এর পরপরই প্রধান নির্বাচকের পদে নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক ব্যাটসম্যান হারুন রশিদকে।

পেশোয়ার জালমির মেন্টরের দায়িত্ব পালন করবেন কামরান আকমল
ছবি: টুইটার

কামরান আকমল তাঁর অধীনেই অন্যতম নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁর অন্য সহযোগী সাবেক ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ সামি। একই সঙ্গে কামরান আকমল বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। সেখানে কামরানের সঙ্গে কাজ করবেন সাবেক ক্রিকেটার তৌসিফ আহমেদ, আরশাদ খান, শোয়েব খান ও শহীদ নাজির।

আরও পড়ুন

‘পুরোপুরি অবসরে’ গেছেন কি না, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে কামরান আকমল বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আনুষ্ঠানিকভাবেই অবসর নিয়েছি। তবে আমি খেলা ছাড়লেও ছোটখাটো আনঅফিশিয়াল লিগে খেলা চালিয়ে যাব।’ একই সঙ্গে তিনি পিএসএলের দল পেশোয়ার জালমির মেন্টরের দায়িত্বও পালন করবেন।

পাকিস্তানের হয়ে ১৫৭টি ওয়ানডে ও ৫৩টি টেস্ট খেলেছেন কামরান আকমল। সেই সঙ্গে খেলেছেন ৫৮টি টি–টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। ২০০২ সালে টেস্ট অভিষেকের পর ২০১৭ সালে খেলেছেন শেষ ওয়ানডে। শেষ টি–টোয়েন্টিও খেলেছেন ২০১৭ সালে।

এরপর থেকেই পাকিস্তান দলে ফেরার অনেক চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। কিন্তু নির্বাচকদের মন গলাতে পারেননি তিনি। দল নির্বাচন নিয়ে সব সময়ই সমালোচনামুখর ছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএল খেলা এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান। তাঁর ছোট ভাই উমর আকমল পাকিস্তান ক্রিকেটের এক আলোচিত চরিত্র। আরেক ভাই আদনান আকমলও পাকিস্তান দলের হয়ে খেলেছেন।