মাহমুদউল্লাহকে বিদায় জানিয়ে ফারুক যা বললেন
প্রায় দুই দশকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন মাহমুদউল্লাহ। এক ফেসবুক পোস্টে কাল বিদায় বলার ঘোষণা দেন তিনি। এর পর থেকে তাঁকে নিয়ে চারদিক থেকেই ভেসে আসছে অভিনন্দন বার্তা, সতীর্থরাও তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে সব সংস্করণ মিলিয়ে ৪৩০ ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ, ১১ হাজার ৪৭ রানের সঙ্গে নিয়েছেন ১৬৬ উইকেট। আইসিসি টুর্নামেন্টে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি চারটি সেঞ্চুরিও এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এমন ক্যারিয়ারের ইতি টানার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকেও ধন্যবাদ পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘এটা বাংলাদেশ ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সবার জন্যই বিষাদের একটা মুহূর্ত। প্রায় দুই দশক মাহমুদউল্লাহ জাতীয় দলের অন্যতম প্রধান ভরসা ছিল। ধারাবাহিকতা ও চাপের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসতে পারার ক্ষমতা তাঁকে অমূল্য এক সম্পদে পরিণত করেছিল। খেলার প্রতি তার নিবেদন ও পারফরম্যান্স ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটা মানদণ্ড তৈরি করেছে। তার লিগাসি অনুপ্রেরণা হিসেবে থেকে যাবে।’
মাহমুদউল্লাহকে লম্বা সময় ধরেই ডাকা হয়েছে ‘আড়ালের নায়ক’ হিসেবে। শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তেই হাল ধরতে হয়েছে তাঁকে। কখনো ব্যর্থ হয়েছেন, কখনো হয়েছেন সফলও।
তাঁর এসব অবদানের কথাও স্মরণ করেছেন বিসিবি সভাপতি, ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পারফর্ম করার জন্য মাহমুদউল্লাহর আলাদা একটা সুনাম ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটে। ব্যাট অথবা বল হাতে, সবচেয়ে দরকারি মুহূর্তে সে পারফর্ম করেছে। চ্যালেঞ্জিং সময়ে তার মাথা ঠান্ডা রাখার গুণ ও মাঠে নেতৃত্বগুণ তাঁকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সম্মানিত ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।’
এরপর তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়ে ফারুক বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আমরা মাহমুদউল্লাহর দুর্দান্ত এক ক্যারিয়ারকে উদ্যাপন করি। একই সঙ্গে এতগুলো বছর দল ও খেলার জন্য নিবেদনের জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা তার ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানাই। এ বিষয়েও আমরা আত্মবিশ্বাসী যে তার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সমৃদ্ধ করে যাবে।’