‘সাহসী’ খাজার প্রশংসায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের গল্পই এক—পাকিস্তানের বড় হার।
সেই দুই ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়া ওপেনার উসমান খাজাকে ঘিরে লেখা হয়েছে আরেকটি গল্প। যে গল্পের প্লটও এক ছিল। যে গল্পে খাজা যদি ‘নায়ক’ হোন, ‘খলনায়ক’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি।
পার্থে সিরিজের প্রথম টেস্টটা জুতায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ক্ষতবিক্ষত ফিলিস্তিনের জন্য সহানুভূতি জানিয়ে স্লোগান লিখে খেলতে চেয়েছিলেন খাজা। ‘রাজনৈতিক’ কারণ দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারকে তখন অনুমতি দেয়নি আইসিসি।
মেলবোর্নে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আগেও আবার আলোচনায় ছিলেন খাজা। এবার কোনো স্লোগান নয়, নিজের ব্যাটে ও জুতায় শান্তির প্রতীক পায়রার স্টিকার লাগিয়ে বক্সিং ডে টেস্টটা খেলতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই ক্রিকেটার। এবারও বাদ সাধে আইসিসি। প্রথম টেস্টটা কালো বাহুবন্ধনী পরে খেলা খাজা দ্বিতীয় টেস্টে জুতায় নিজের দুই মেয়ের নাম লিখে খেলতে নেমে অন্য রকমভাবেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
সেই খাজা আবার আলোচনায় কাল থেকে শুরু সিডনি টেস্টের আগেও। এই টেস্টে খাজা কী করবেন, জানা যায়নি। তবে প্রথম দুই টেস্টে খাজার ভূমিকার প্রশংসা করেছেন স্বয়ং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজি। যুদ্ধে নৃশংসতার শিকারদের পাশে দাঁড়ানোয় খাজার সাহসের প্রশংসা করেছেন অস্ট্রেলিয়া প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার সিডনির কিরিবিলি হাউজে নববর্ষ উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের টেস্ট দলকে সংবর্ধনা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে সে (খাজা) যে সাহসের পরিচয় দিয়েছে, আমি তাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। সে সাহস দেখিয়েছে, আর পুরো দলও যে তাকে সমর্থন দিয়ে গেছে, সেটিও দারুণ ব্যাপার ছিল।
সেখানেই বক্তৃতায় খাজার প্রসঙ্গে টেনেছেন অ্যালবানিজি, ‘মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়িয়ে সে (খাজা) যে সাহসের পরিচয় দিয়েছে, আমি তাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। সে সাহস দেখিয়েছে, আর পুরো দলও যে তাকে সমর্থন দিয়ে গেছে, সেটিও দারুণ ব্যাপার ছিল।’
সিডনির ম্যাচটা হতে যাচ্ছে খাজার ওপেনিং সঙ্গী ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ী টেস্ট। নিজের বক্তব্যে সেটিও টেনেছেন অ্যালবানিজি, ‘যখন এসসিজিতে উজি (খাজা) ও ডেভ (ওয়ার্নার) ব্যাট করতে নামবে, বিশেষ মুহূর্ত হবে সেটি।’