বাংলাদেশ ম্যাচের দিন গোয়ালিয়রে ‘বন্ধ্’ ডেকেছে হিন্দু মহাসভা, কানপুরেও কর্মসূচি
কানপুরে বাংলাদেশ-ভারত দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হতে আর দুই দিন বাকি। গোয়ালিয়রে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ ৬ অক্টোবর। এই দুই ম্যাচ ঘিরে আগেই হুমকি দিয়ে রেখেছিল ভারতের একটি ধর্মীয় সংগঠন অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। ম্যাচ যত ঘনিয়ে আসছে, কানপুরে ঝামেলা বাড়াচ্ছে সংগঠনটি আর গোয়ালিয়রে তো ম্যাচের দিন বন্ধের ডাক দিয়েছে।
পরিস্থিতি সামলাতে কানপুরে এরই মধ্যে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে ভারতের পুলিশ। আর কানপুর টেস্ট ম্যাচের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কানপুরে হিন্দু মহাসভার ২০ সদস্যের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
কানপুর ও গোয়ালিয়রে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আয়োজনের বিরোধিতা করার কারণ এর আগেই জানিয়েছে হিন্দু মহাসভা। তাদের দাবি, ৫ আগস্ট বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়ন করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে তারা এ দুটি ম্যাচ কানপুর ও গোয়ালিয়রে হতে দিতে চায় না।
হিন্দু মহাসভার এই দাবিতে সাড়া দেয়নি ভারত সরকার। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নিপীড়নের প্রতিবাদে গতকাল কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে রাস্তার মাঝে আগুন জ্বালিয়ে বিশেষ রীতি পালন করেছে হিন্দু মহাসভা। এই সংগঠনের ২০ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশ এ কারণেই এফআইআর দায়ের করেছে।
কানপুরের বাড়তি নিরাপত্তা নিয়ে এসিপি হরিশ্চন্দ্র বলেছেন, ‘আমরা নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যালোচনা করছি। এর জন্য কোনো কিছুই বাদ রাখছি না। পর্যাপ্ত পুলিশ নিয়োজিত রাখতে পারব বলে আত্মবিশ্বাসী।’
গোয়ালিয়রের বন্ধ্ নিয়ে হিন্দু মহাসভার ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়বীর ভরদ্বাজ বলেছেন, ‘হিন্দু মহাসভা ম্যাচের দিন গোয়ালিয়র বন্ধের ডাক দিয়েছে। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য এই বন্ধের আওতামুক্ত।’
ভারত সফরে দুটি টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। চেন্নাই প্রথম টেস্টে ২৮০ রানে জিতেছে ভারত। কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টের পর গোয়ালিয়র, দিল্লি ও হায়দরাবাদে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
এর আগে গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি বাতিল না করলে পিচ কুপিয়ে নষ্ট করার হুমকি দিয়েছিলেন হিন্দু মহাসভার ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়বীর ভরদ্বাজ। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নৃশংসতা চালানো হয়েছে...মন্দির ভাঙা হয়েছে। এ কারণে হিন্দু মহাসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে প্রতিবাদ জানানো হবে।’