রশিদ খান কি টি–টোয়েন্টিতে ১০০০ উইকেট নিতে পারবেন
বলটা মোটেই উইকেট নেওয়ার মতো ছিল না। অফস্টাম্পের বেশ বাইরে পড়েছিল। কিন্তু ক্রিকেট তো গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা। এমআই কেপটাউনের স্পিনার রশিদ খান তাই উইকেটটা পেয়ে যান।
প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালসের ব্যাটসম্যান ক্লাইড ফরটুইন অফসাইডে চালিয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলেন। বল তাঁর ব্যাটের নিচের কানায় লেগে স্টাম্প ভেঙে দেয়। ব্যস, এর মধ্য দিয়ে মাইলফলকটির দেখা পেয়ে যান রশিদ খান। টি–টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেটের দেখা পেলেন আফগানিস্তানের এই তারকা লেগ স্পিনার।
কাল দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি–টোয়েন্টি লিগে এই মাইলফলকের দেখা পান ২৪ বছর বয়সী রশিদ খান। ২০১৫ সালে টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ার শুরু তাঁর। মাত্র ৮ বছরের মধ্যে যেহেতু ৫০০ উইকেটের দেখা পেয়ে গেলেন, তাই প্রশ্নটা উঠতেই পারে—রশিদ আরও ৮ বছর মানে ৩২ বছর বয়স পর্যন্ত খেলা চালিয়ে গেলে এই সংস্করণে কি ১০০০ উইকেটের দেখা পাবেন?
সময়ই তা বলে দেবে। তবে রশিদের জন্য ইতিবাচক দিক হলো, তিনি স্পিনার। টি–টোয়েন্টিতে ত্রিশ পেরিয়েও স্পিনার হিসেবে খেলতে খুব একটা বেগ পেতে হয় না। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বিশ্লেষক আকাশ চোপড়া তাই রশিদকে নিয়ে আশাবাদী। আকাশের টুইট, ‘৫০০ টি–টোয়েন্টি উইকেট নেওয়া কি অবিশ্বাস্য অর্জন! আমি নিশ্চিন্তে বলতে পারি, টি–টোয়েন্টিতে ১০০০ উইকেট নেওয়া প্রথম বোলার হবেন রশিদ খান।’
পরিসংখ্যান বলছে, আপাতত ৩৭১ টি–টোয়েন্টি ম্যাচে ৬.৩৮ ইকোনমি রেট ও ১৭.০ স্ট্রাইক রেট বজায় রেখে ৫০০ উইকেটের দেখা পেলেন রশিদ খান। গড় ১৮.১৮। এই সংস্করণে শুধু একজন বোলারই তাঁর চেয়ে বেশি উইকেট নিতে পেরেছেন—ডোয়াইন ব্রাভো।
আইপিএল থেকে অবসর নেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৩৯ বছর বয়সী অলরাউন্ডার ৫৫৬ ম্যাচে নিয়েছেন ৬১৪ উইকেট। রশিদ যে গতিতে এগোচ্ছেন, তাতে ব্রাভোকে ধরে ফেলতে বেশি সময় লাগার কথা নয়। ইনিংসের হিসাবই সে সাক্ষ্য দিচ্ছে। ছয় শতাধিক উইকেট নিতে ৫২৬ ইনিংসে বল করতে হয়েছে ব্রাভোকে। আর রশিদ ৩৬৮ ইনিংসেই ৫০০ উইকেটের দেখা পেয়ে গেলেন।
টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার তালিকায় শীর্ষ পাঁচে আছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান। ৩৮৯ ম্যাচে ৪৩৬ উইকেট নিয়ে পাঁচে সাকিব। ৩৭৩ ম্যাচে ৪৬৬ উইকেট নিয়ে চারে দক্ষিণ আফ্রিকার লেগ স্পিনার ইমরান তাহির। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার সুনীল নারিন ৪৩৫ ম্যাচে ৪৭৪ উইকেট নিয়ে তিনে। শীর্ষ পাঁচে চারজনই স্পিনার। এর মধ্যে প্রথম স্পিনার হিসেবে টি–টোয়েন্টিতে ৫০০ উইকেটের দেখা পেলেন আফগান অধিনায়ক।