লক্ষ্ণৌর বিখ্যাত কাবাবের নাম ভুল করলেন মরগান, শুধরে দিলেন কার্তিক
হাসুন, আপনি লক্ষ্ণৌতে এসেছেন—লক্ষ্ণৌতে নাকি এভাবেই অতিথিদের স্বাগত জানানো হয়। অতিথিপরায়ণ এই শহরের আতিথ্য দারুণ মুগ্ধ করেছে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এউইন মরগানকে। এমনকি লক্ষ্ণৌতে এসে প্রথম দিনই এখানকার বিখ্যাত কাবাবের স্বাদও গ্রহণ করেছেন। তবে মজাদার সেই কাবাবের নাম মনে রাখতে পারেননি মরগান। শুরুতে ভুল নাম বললেও পরে তাঁকে শুধরে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার দিনেশ কার্তিক।
লক্ষ্ণৌর কাবাব নিয়ে মরগানের মুগ্ধতা প্রকাশের ঘটনাটি ঘটেছে ভারত–ইংল্যান্ড ম্যাচে। ধারাভাষ্য কক্ষে এ সময় মরগানের সঙ্গে কার্তিক ছাড়াও ছিলেন হার্শা ভোগলেও। ম্যাচের ধারাভাষ্য দেওয়ার এক পর্যায়ে হার্শা কথা বলেন লক্ষ্ণৌর জীবনযাত্রা নিয়ে। তিনি জানান, এই শহরের মানুষের জীবনযাপন ভারতের অন্য শহরগুলোর মতো খুব বেশি গতিময় নয়। বরং এখানকার জীবন কিছুটা ধীরলয়ের এবং ছান্দসিক। হার্শার এই কথার পর প্রথমবারের মতো লক্ষ্ণৌতে আসার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করেন মরগানও।
বিশ্বকাপজয়ী ইংলিশ অধিনায়ক বলেছেন, ‘এটা সুন্দর জায়গা। গতকাল সন্ধ্যায় আমি যুক্তরাজ্য থেকে সরাসরি প্রথম এই শহরে এসেছি। এখানকার মানুষ খুবই অতিথিপরায়ণ এবং এখানকার খাবারও দারুণ। গতকাল আমি দারুণ খাবার খেয়েছি। দুর্দান্ত কাবাব ছিল। আমার মনে হচ্ছে কাবাটির নাম হচ্ছে টুক্কার কাবাব, নাকি তুষার কাবাব?’
কার্তিক তখন শুধরে দিয়ে জানতে চান এটি টুন্ডে কাবাব কি না? তখন পাল্টাজবাব দিয়ে মরগান বলেন, ‘টুন্ডে! হ্যাঁ, এটা টুন্ডে কাবাবই।’
নবাবদের শহর হিসেবে পরিচিত লক্ষ্ণৌ কাবাবের জন্যও বেশ বিখ্যাত। টুন্ডে শব্দের অর্থ হচ্ছে এক হাত যার অকেজো। কথিত আছে হাজি আলী মুরাদ নামের এক রন্ধনশিল্পী ভোপাল থেকে লক্ষ্ণৌতে আসেন। তিনিই মূলত এই কাবাবের স্রষ্টা, ১৬০ পদের মসলা দিয়ে এই কাবাব বানাতেন মুরাদ। তাঁর এক হাত পক্ষঘাতগ্রস্ত হওয়ার কারণে অন্য হাতেই এই কাবাব বানাতেন। যে কারণে লক্ষ্ণৌর নবাব ওয়াজিদ আলী খান এই কাবাবের নাম দেন টুন্ডে কাবাব।