গতকাল রেকর্ড গড়া শতকে মধ্যাঞ্চলের ব্যাটিংটা একাই টেনে নিয়েছিলেন নাঈম ইসলাম। ব্যক্তিগত ১০৪ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করা নাঈম আজ থেমেছেন ১২২ রানে। শেষ পর্যন্ত প্রথম শ্রেণিতে নাঈমের ৩৩তম শতকে ভর করে মধ্যাঞ্চল তাদের প্রথম ইনিংসে করেছে ২৮১ রান। জবাবে তাওহিদ হৃদয়ের ঝোড়ো শতকের পরও দিন শেষে ২৩৬ রান তুলতে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে উত্তরাঞ্চল।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুই নম্বর মাঠে ৮ উইকেটে ২৫৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা মধ্যাঞ্চল বেশি দূর এগোতে পারেনি আজ। উত্তরাঞ্চলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন তরুণ পেসার মুশফিক হাসান। তবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৪৫ রানে এগিয়ে আছে মধ্যাঞ্চল তাদের বোলারদের সৌজন্যে।
২৬ রানে ৩ উইকেট হারানো উত্তরাঞ্চল একসময় ৯৬ রানে হারায় ৫ উইকেট। পাঁচে নামা হৃদয় ১৩৮ বলে ১৩২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তাঁর তৃতীয় শতক। ৯ নম্বরে নামা রিশাদ হোসেন করেন ৬৮ বলে ৪৬ রান। মধ্যাঞ্চলের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার, শহীদুল ইসলাম ও শুভাগত হোম। আলোর স্বল্পতায় আজও খেলা শেষ হয় আগেভাগে।
সিলেটে লো-স্কোরিং ম্যাচ হলেও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অবশ্য বড় স্কোর দেখা গেছে। কোনো ব্যাটসম্যান শতক না পেলেও প্রথম ইনিংসে পূর্বাঞ্চল তুলেছে ৪০২ রান। পারভেজ হোসেনের ৯০ রানে প্রথম দিন ৫ উইকেটে ২৪২ রান করা পূর্বাঞ্চল ৪০০ পেরোয় শামসুর রহমান (৫৩) ও ৯ নম্বরে নামা তানজিম হাসানের (৬৬) অর্ধশতকে। নবম উইকেটে রেজাউর রহমানের (৩১) সঙ্গে তানজিমের জুটিতে আসে ৯০ রান। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে ৪২ ওভারে ১১৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম।
জবাবে প্রথম ইনিংসে দিন শেষে ২ উইকেটে ১২৩ রান তুলেছে দক্ষিণাঞ্চল। সম্প্রতি জাতীয় দলে ডাক পাওয়া সৌম্য সরকার ৪৮ বলে ৩৮ রান করে আউট হন। দিন শেষে অপরাজিত আছেন ফজলে মাহমুদ (৩২) ও মোহাম্মদ মিঠুন (৩১)। পূর্বাঞ্চলের হয়ে উইকেট দুটি নেন নাঈম আহমেদ।