অধিনায়ক হয়েও সিডনি টেস্টে না খেলার কারণ জানালেন রোহিত
বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ধরে রাখতে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে ভারত ক্রিকেট দল। কিন্তু অধিনায়ক রোহিত শর্মা সেই দলের অংশ নন। মাঠে নামছেন বটে, তবে সেটা পানি পানের বিরতিতে সঙ্গে এটা-ওটা নিয়ে। অধিনায়ক হয়েও কেন খেলছেন না রোহিত? তাঁকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে, বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে নাকি নিজেই সরে গেছেন?
আজ সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে এ নিয়ে সম্প্রচারপ্রতিষ্ঠান স্টার স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়েছিলেন রোহিত। সেখানেই তাঁকে সিরিজের শেষ টেস্টে না খেলার কারণ জিজ্ঞেস করা হয়।
সর্বশেষ ৫ ইনিংসে মাত্র ৩১ রান করা রোহিতের ফর্ম নিয়ে ব্যাপক সমালোচনাই হয়েছে কয়েক দিন। অধিনায়ক বলেই তাঁকে বাদ দেওয়া যাচ্ছিল না—এমনও বলেছিলেন কেউ কেউ। শেষ পর্যন্ত গতকাল শুরু সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টে রোহিত বসে থাকলেন ড্রেসিংরুমে, টস করতে নামলেন যশপ্রীত বুমরা।
টসের সময় রবি শাস্ত্রীর প্রশ্নের জবাবে বুমরা জানিয়েছিলেন, রোহিতকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। একজন খেলোয়াড়কে বিশ্রাম বিভিন্ন কারণেই দেওয়া হতে পারে। টানা খেলার ক্লান্তি থেকে যেমন সাময়িক মুক্তির জন্য বিশ্রাম দেওয়া হয়, আবার কাউকে তাঁর বাজে ফর্মের জন্য বাদ দিলেও সম্মানজনকভাবে ‘বিশ্রাম’ শব্দটি আনা হয়। আর ‘বাদ’ ও ‘সরে যাওয়া’ শব্দ দুটি মূলত টিম ম্যানেজমেন্ট ও খেলোয়াড়ের দিক থেকে বিপরীতধর্মী সিদ্ধান্তের ফল। রোহিতের ক্ষেত্রে তিনটির কোনটি হয়েছে?
প্রশ্ন শুনে হাসতে হাসতেই রোহিত বললেন, ‘তিনটার কোনোটাই নয়।’ এরপর অবশ্য না খেলার কারণটা বিশদভাবেই বলেছেন, ‘আমি সরে দাঁড়িয়েছি। এখানে আমি একটা কথা বলব, আর বাইরে থেকে মানুষ সেটা ৫০ রকম ব্যাখ্যা করবে। আমার সঙ্গে কোচ ও নির্বাচকের যে কথা হয়েছে, সেটা একদম সোজাসাপটা। আমার ব্যাটে এই মুহূর্তে রান নেই। আর ম্যাচটা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একজন ফর্মে থাকা খেলোয়াড় দরকার। আমাদের ব্যাটিং লাইনআপ রানের মধ্যে নেই যে একজন ফর্মে না থাকা খেলোয়াড়কে বহন করে যাবে। আমার মনে হয়েছে কোচ ও নির্বাচকদের আমারই বলা উচিত। তাঁরা আমার সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছেন।’
কোচ গৌতম গম্ভীর ও নির্বাচক অজিত আগারকার অধিনায়কের সিদ্ধান্ত শুনে কী বলেছেন, তা–ও উঠে এসেছে রোহিতের মুখে, ‘তাঁরা আমাকে বলেছেন ‘‘তুমি এত বছর ধরে খেলছ, কী করছ, সেটার বড় বিচারক তুমি নিজেই’’।’
রোহিতের দল সিডনি টেস্ট খেলছে সিরিজে ২–১ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে। এর আগের চারটি বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফিতে জিতেছিল ভারত।