- সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশের বিদায়
- মাহমুদউল্লাহর থ্রোয়ে আউট ল্যাথাম
- বড্ড দেরিতে আউট রবীন্দ্র!
- সহজ ক্যাচ ছাড়লেন মাহমুদউল্লাহ
- রবীন্দ্রর সেঞ্চুরি
- ‘জীবন’ পেলেন রবীন্দ্র
- বোলিংয়ে নাজমুল!
- রবীন্দ্র–ল্যাথামের জুটি
- রবীন্দ্রর ফিফটি
- মোস্তাফিজে ফিরলেন কনওয়ে
- কনওয়ে–রবীন্দ্রতে জুটি
- মেডেন উইকেট
- নাজমুলের ফিফটির পর রিশাদ–জাকেরে বাংলাদেশের রান ২৩৬
- নবম উইকেটের পতন বাংলাদেশের
- ৫৫ বলে ৪৫ রান করে আউট জাকের
- এবার ফিরলেন হৃদয়
- মিরাজকে ফেরালেন উইল ও’রুর্ক
- মিরাজের ছক্কায় দলীয় ৫০
- ফিরলেন তানজিদ
- নাজমুল–তানজিদের সতর্ক শুরু
- নিউজিল্যান্ডের ব্যর্থ রিভিউ
- খেলছেন মাহমুদউল্লাহ ও নাহিদ রানা
- টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশের বিদায়
বাংলাদেশের ২৩৬ রান তাড়া করতে নেমে সহজ জয়ই তুলে নিল নিউজিল্যান্ড। ২৩ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতল মিচেল স্যান্টনারের দল। গ্লেন ফিলিপস ২১ রানে ও ব্রেসওয়েল ১১ রানে অপরাজিত থেকে নিউজিল্যান্ডকে জেতালেন।
নিউজিল্যান্ডের জয়ের ভিত চতুর্থ উইকেটে ১৩৬ বলে ১২৯ রানের জুটি। ১০৫ বলে ১১২ করে আউট হন রবীন্দ্র। ৫৫ রান করেন ল্যাথাম।
অথচ বোলিংয়ে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে প্রথম ওভারের শেষ বলে ওপেনার উইল ইয়াংকে তুলে নেন পেসার তাসকিন আহমেদ। চতুর্থ ওভারে কেইন উইলিয়ামসনকে ফেরান নাহিদ রানা। তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রানের জুটিতে বিপর্যয়ের চোখ রাঙানি সামাল দেন রাচিন রবীন্দ্র ও ডেভন কনওয়ে। ৩০ রান করে কনওয়ে মোস্তাফিজের বলে আউট হওয়ার পর হাল ধরেন রবীন্দ্র। ওয়ানডেতে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন।
মাঝের ওভারগুলোয় সময়মতো জুটি ভাঙতে না পারার হতাশায় পুড়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন, নাহিদ, মোস্তাফিজ ও রিশাদ।
এই জয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে ভারতের সঙ্গী হলো নিউজিল্যান্ড। ২ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গতকালই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহও ২ ম্যাচে সমান ৪ পয়েন্ট। তবে ভারতের (০.৬৪৭) সঙ্গে রান রেটে এগিয়ে এ গ্রুপের শীর্ষে নিউজিল্যান্ড (০.৮৬৩)।
স্বাগতিক পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদায়ও নিশ্চিত হলো। ২ ম্যাচে ০ পয়েন্ট পাওয়া বাংলাদেশ (–০.৪৪৩) রান রেটে এগিয়ে ‘এ’ গ্রুপে তৃতীয়। পাকিস্তানের (–১.০৮৭) সংগ্রহও ২ ম্যাচে ০ পয়েন্ট।
রাওয়ালপিন্ডিতে আগামী বৃহষ্পতিবার আনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৩৬/৯ (নাজমুল ৭৭, জাকের ৪৫, রিশাদ ২৬, তানজিদ ২৪, মিরাজ ১৩; ব্রেসওয়েল ৪/২৬, ও’রুর্ক ২/৪৮, জেমিসন ১/৪৮)।
নিউজিল্যান্ড: ৪৬.১ ওভারে ২৪০/৫ (রবীন্দ্র ১১২, ল্যাথাম ৫৫, কনওয়ে ৩০, ফিলিপস ২১*, ব্রেসওয়েল ১১*; তাসকিন ১/২৮, নাহিদ ১/৪৩, মোস্তাফিজ ১/৪২, রিশাদ ১/৫৮)।
ফল: নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: মাইকেল ব্রেসওয়েল (নিউজিল্যান্ড)।
মাহমুদউল্লাহর থ্রোয়ে আউট ল্যাথাম
নিউজিল্যান্ড: ৪২ ওভারে ২১৪/৫। ৪৮ বলে ২৩ রান দরকার নিউজিল্যান্ডের।
মোস্তাফিজের করা ৪২তম ওভারের চতুর্থ বলে দ্রুত এক রান নিতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহর সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট টম ল্যাথাম। ৭৬ বলে ৫৫ রানে আউট হলেন এই বাঁহাতি।
ক্রিজে ফিলিপসের সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান মাইকেল ব্রেসওয়েল।
বড্ড দেরিতে আউট রবীন্দ্র!
নিউজিল্যান্ড: ৩৯ ওভারে ২০৫/৪। ৬৬ বলে ৩২ রান দরকার নিউজিল্যান্ডের।
রিশাদের করা ৩৯তম ওভারে দ্বিতীয় বলে লং অন দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে টাইমিং ভালো করতে পারেননি রাচিন রবীন্দ্র। সেখানে তাঁর ক্যাচ নেন বদলি ফিল্ডার পারভেজ হোসেন। ১০৫ বলে ১১২ রানে আউট হলেন তিনি। ১২টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন। এর মধ্য দিয়ে ল্যাথামের সঙ্গে তাঁর ১২৯ রানের জুটিও ভাঙল।
ল্যাথাম ৫০ রানে ও ছয়ে নামা ফিলিপস ৩ রানে অপরাজিত।
সহজ ক্যাচ ছাড়লেন মাহমুদউল্লাহ
নিউজিল্যান্ড: ৩৮ ওভারে ২০০/৩। জয়ের জন্য ৭২ বলে ৩৭ রান দরকার নিউজিল্যান্ডের।
মোস্তাফিজের করা ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে মিড অনে রবীন্দ্রর ক্যাচ ছাড়লেন মাহমুদউল্লাহ। সহজ ক্যাচ ছিল।
রবীন্দ্র ১১২ রানে অপরাজিত। ৪৮ রানে অন্য প্রান্তে ল্যাথাম। চতুর্থ উইকেটে ১২৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুজন।
রবীন্দ্রর সেঞ্চুরি
নিউজিল্যান্ড: ৩৫ ওভারে ১৭৭/৩।
নাহিদ রানার করা ৩৫তম ওভারের পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে ওয়ানডেতে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিলেন রাচিন রবীন্দ্র। ১ ছক্কা ও ১১ চারে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ল্যাথাম অন্য প্রান্তে ৩৮ রানে অপরাজিত। চতুর্থ উইকেটে ১১৬ বলে ১০৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুজন।
‘জীবন’ পেলেন রবীন্দ্র
নিউজিল্যান্ড: ৩৩ ওভারে ১৬৫/৩।
ক্যাচটি কঠিন ছিল। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে মেহেদী হাসান মিরাজ নিচু হয়ে আসা বলটি হাতে রাখতে পারেননি। বলে গতি ছিল। ক্যাচটি নিতে না পারায় হতাশ বোলার নাহিদ রানা। ৩৩তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়েছেন নাহিদ।
রবীন্দ্র ৯৪ ও ল্যাথাম ৩২ রানে অপরাজিত। ১০৪ বলে ৯৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন তাঁরা।
বোলিংয়ে নাজমুল!
নিউজিল্যান্ড: ২৮ ওভারে ১৪০/৩। জয়ের জন্য ২২ ওভারে ৯৭ রান দরকার নিউজিল্যান্ডের।
জুটি ভাঙতে না পারাতেই সম্ভবত বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন নিজেই বোলিংয়ে চলে এলেন! ২৮তম ওভারে বোলিংয়ে এসে চতুর্থ বলে ছক্কা হজম করলেন রবীন্দ্রর কাছে। পরের বলে কাভার দিয়ে চারও হজম করলেন! ১২ রান দিলেন এই ওভারে।
অথচ দলে আছেন মাহমুদউল্লাহ। তাঁকে এখনো বোলিংয়ে দেখা যায়নি।
নাজমুল ওয়ানডেতে সর্বশেষ বোলিং করেছেন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে। এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই। ওয়ানডেতে এর আগে ছয়বার বোলিং করেছেন নাজমুল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এর আগে ২০ বার বোলিং করেছেন। টেস্টে সর্বোচ্চ ৪ ওভার বোলিং করেছেন, ২০২২ সালে এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই ক্রাইস্টচার্চে।
রবীন্দ্র–ল্যাথামের জুটি
নিউজিল্যান্ড: ২৬ ওভারে ১২১/৩।
৬৪ রানে ব্যাট করছেন রাচিন রবীন্দ্র। অন্য প্রান্তে ১৮ রানে অপরাজিত ল্যাথাম। চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৪৯ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা।
রবীন্দ্রর ফিফটি
নিউজিল্যান্ড: ২১ ওভারে ৯৯/৩।
তাসকিনের করা ২১তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্ট্রেট দিয়ে চার মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে পঞ্চম ফিফটি তুলে নিলেন রাচিন রবীন্দ্র।
জয়ের জন্য ২৯ ওভারে ১৩৮ রান চাই নিউজিল্যান্ডের।
মোস্তাফিজে ফিরলেন কনওয়ে
নিউজিল্যান্ড: ১৬ ওভারে ৭৪/৩।
ভাগ্য খারাপ কনওয়ের। বেচারা!
১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে মোস্তাফিজকে রক্ষণাত্নকভাবে খেলেছিলেন কনওয়ে। বল তাঁর ব্যাটে লেগে স্টাম্পের বেলস ফেলে দেয়। বোল্ড! ৪৫ বলে ৩০ রানে ফিরলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গে রবীন্দ্রর ৫৭ রানের জুটিও ভাঙল।
পাঁচে নেমেছেন টম ল্যাথাম। রবীন্দ্র অন্য প্রান্তে ৩৮ রানে অপরাজিত।
কনওয়ে–রবীন্দ্রতে জুটি
নিউজিল্যান্ড: ১২ ওভারে ৫৮/২
তৃতীয় উইকেটে ৫৩ বলে অবিচ্ছিন্ন ৪৩ জুটি গড়েছেন ডেভন কনওয়ে–রাচিন রবীন্দ্র। কনওয়ে ২৭ ও রবীন্দ্র ২৬ রানে অপরাজিত।
নিজের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট রানার
নিউজিল্যান্ড: ৪ ওভারে ১৯/২
নিজের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট পেলেন নাহিদ রানা। সেটাও কার! কেইন উইলিয়ামসনের। উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানিয়ে সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে ফেরত পাঠালেন রানা। চার ওভারের মধ্যেই নিউজিল্যান্ডকে জোড়া আঘাত বাংলাদেশের।
ক্রিজে এসেছেন রাচিন রবীন্দ্র।
মেডেন উইকেট
নিউজিল্যান্ড: ১ ওভারে ০/১
ওভারের প্রথম পাঁচটি বলে রান দেননি তাসকিন। শেষ বলে তো নিউজিল্যান্ডের ওপেনার উইল ইয়ংকে ফিরিয়েছেন বোল্ড করে।
নাজমুলের ফিফটির পর রিশাদ–জাকেরে বাংলাদেশের রান ২৩৬
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৩৬/৯
শুরুটা মোটামুটি ভালোই ছিল—প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৫৮। কিন্তু ২১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে মাঝের ওভারে পথ হারায় বাংলাদেশের ইনিংস। ২ উইকেটে ৯৭ রান থেকে দ্রুতই বাংলাদেশের স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ১১৮। টানা ১০ ওভার বোলিং করে ২৬ রানে বাংলাদেশের প্রথম ৫ উইকেটের ৪টিই নেন নিউজিল্যান্ডের অফ স্পিনার মাইকেল ব্রেসওয়েল।
ধস সামাল দিতে এরপর ক্রিজে যেন নোঙর ফেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল। তবে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ও’রুর্কের বলে ব্রেসওয়েলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এর আগে ১১০ বলে ৯ চারে করেছেন ৭৭ রান। আউট হওয়ার আগে জাকেরের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তুলেছেন ৪৫ রান। নাজমুলের আউটের পর রিশাদ হোসেনের সঙ্গে ৩৩ ও তাসকিনের সঙ্গে ৪৫ রানের দুটি জুটি গড়ে বাংলাদেশের রানটা আড়াই শর কাছাকাছি নিয়ে যান জাকের। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে জাকের ৫৫ বলে তিন চার ও এক ছয়ে করেছেন ৪৫ রান। রিশাদের রান ২৫ বলে ২৬ আর তাসকিন ২০ বলে করেছেন ১০ রান।
নবম উইকেটের পতন বাংলাদেশের
বাংলাদেশ: ৪৯.২ ওভারে ২৩৬/৯
ফিরে গেলেন তাসকিনও। জেমিসনের বলে ডেভন কনওয়ের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেছেন ২০ বলে ১০ রান।
৫৫ বলে ৪৫ রান করে আউট জাকের
বাংলাদেশ: ৪৮.১ ওভারে ২৩১/৮
ম্যাট হেনরির বলটি ব্যাটে লাগাতে পারেননি তাসকিন। উইকেটকিপারের হাতে যায় বল। কিন্তু জাকের চেয়েছিলেন চুরি করে একটি রান নিতে। পারেননি তিনি, ফিরেছেন রান আউট হয়ে।
অবশেষে ২০০
বাংলাদেশ: ৪৩.৫ ওভারে ২০২/৭
২০০ করতে ৪৪তম ওভার পর্যন্ত খেলতে হয়েছে বাংলাদেশকে। জাকের আলীর চারে স্কোর ২০০ পেরিয়েছে। বাকি ৩৭ বলে কত রান করতে পারবে বাংলাদেশ?
রিশাদের আউটে সপ্তম উইকেট
বাংলাদেশ: ৪৩.১ ওভারে ১৯৬/৭
২৫ বলে ২৬ রান করে আউট হয়ে গেছেন রিশাদ। জাকেরের সঙ্গে তাঁর জুটিটি শেষ হয়ে গেছে ৩৩ রানে। ২৬ রানে অপরাজিত জাকের আলীর ওপর চাপটা আরও বাড়ল।
৭৭ রানে আউট নাজমুল
বাংলাদেশ: ৩৭.১ ওভারে ১৬৩/৬
১১৮ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর জাকেরের সঙ্গে জুটিটা একটু জমে উঠতে না উঠতেই নাজমুল আউট। ও’রুর্কের বলে পুল করতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দিয়েছেন। দৌড়ে গিয়ে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তের পেছনে ক্যাচটা নিয়েছেন ব্রেসওয়েল।
নাজমুলের ১১০ বলে ৭৭ রানের ইনিংসে চার ছিল ৯টি। স্ট্রাইক রেট ৭০।
অভিজ্ঞতম দুই ব্যাটসম্যানই ব্যর্থ
মাহমুদউল্লাহকে দলে ফেরাতে বদলাতে হয়েছে ওপেনিং কম্বিনেশন। বাদ পড়তে হয়েছে সৌম্য সরকারকে। সেটির প্রতিদান একদমই দিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। করতে পেরেছেন মাত্র ৪ রান। এর আগে মুশফিক আউট হয়েছেন ২ রানে। অর্থাৎ বাংলাদেশের অভিজ্ঞতম দুই ব্যাটসম্যান মিলে করেছেন মাত্র ৬ রান। ভারতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তো শূন্য রানে আউট হওয়ায় মুশফিকের তো ২ ম্যাচে ২ রান!
হতাশ করলেন মাহমুদউল্লাহও
বাংলাদেশ: ২৭ ওভারে ১১৯/৫
চোট কাটিয়ে ফেরা মাহমুদউল্লাহ হতাশ করলেন ব্যাট হাতে। ১৪ বলে ৪ রান করে ফিরে গেলেন শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলে। এবারও বোলার ব্রেসওয়েল।
২৭ ওভার খেলা হয়েছে মাত্র। এরই মধ্যে নিজের ১০ ওভারের কোটা শেষ করে ফেলেছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বেশ ভুগিয়েছেন এই কিউই স্পিনার। মাত্র ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।
অবশেষে নাজমুলের ফিফটি
বাংলাদেশ: ২৪ ওভারে ১১৩/৪
মিচেল স্যান্টনারকে ডিপ স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে ১ রান নিয়ে ফিফটি করলেন নাজমুল। ওয়ানডেতে এটি নাজমুলের দশম ফিফটি। আপাতত ব্যাট করছেন ৭৩ বনলে ৫২ রানে।
প্রথম ২১ ওভারে ৮৬টি ডট বল খেলেছে বাংলাদেশ (৬৮.২৫%)।
মুশফিকের বিদায়ে বাড়ল চাপ
বাংলাদেশ: ২৩ ওভারে ১০৬/৪
হৃদয় ফিরে যাওয়ার ১৪ বল পরে ফিরলেন ব্যাট হাতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিকুর রহিমও। বোলার আবার ব্রেসওয়েল। এবার ডিপ মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ নিলেন রাচিন রবীন্দ্র। ৫ বল খেলে মাত্র ২ রান করেছেন মুশফিক।
নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ।
এবার ফিরলেন হৃদয়
বাংলাদেশ: ২১ ওভারে ৯৯/৩
মিরাজ আউট হয়েছিলেন দলকে ৬৪ রানে রেখে, ১২তম ওভারে। তারপর নাজমুল হোসেন ও তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে কিছুটা আশা দেখছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই জুটিও ভেঙে গেল ২১তম ওভারে এসে। মাইকেল ব্রেসওয়েলের অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাভারের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে কেইন উইলিয়ামসনের ক্যাচ হলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হৃদয় (২৪ বলে ৭ রান)।
ব্রেসওয়েল শুরু থেকেই ভোগাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। তাঁর ৭ ওভারে রান এসেছে মাত্র ২৩, নিয়েছেন ২ উইকেট।
নাজমুল ব্যাট করছেন ৪৬ রানে।
মিরাজকে ফেরালেন উইল ও’রুর্ক
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ৬৪/২
তানজিদের পর ভালো শুরু করে ফিরলেন মেহেদী হাসান মিরাজও। ১৪ বলে ১৩ রান করা মিরাজ উইল ও’রুর্কের বলে মিড–অনে ক্যাচ দিয়েছেন মিচেল স্যান্টনারকে।
মিরাজের ছক্কায় দলীয় ৫০
বাংলাদেশ: ৯ ওভারে ৫১/১
তানজিদের বিদায়ের পর ব্রেসওয়েলকে ছক্কা মেরে বাংলাদেশকে দলীয় ৫০ রান এনে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
ফিরলেন তানজিদ
বাংলাদেশ: ৮.২ ওভারে ৪৫/১
ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারলেন না তানজিদ হাসান। মিশেল ব্রেসওয়েলের বলে শট খেলতে গিয়ে ফিরেছেন কেইন উইলিয়ামনকে ক্যাচ দিয়ে। ফেরার আগে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে ২৪।
নাজমুল–তানজিদের সতর্ক শুরু
বাংলাদেশ: ৬ ওভারে ২৪/০
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টিকে থাকার ম্যাচে সতর্ক শুরু করেছে বাংলাদেশের দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন ও তানজিদ হাসান। ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬ ওভারে ২৪ রান করেছে বাংলাদেশ। তানজিদ ১৬ ও নাজমুল ৮ রানে অপরাজিত আছেন।
নিউজিল্যান্ডের ব্যর্থ রিভিউ
বাংলাদেশ: ১ ওভারে ৩/০
ম্যাট হেনরির প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে এলবিডব্লিউর আবেদন করে নিউজিল্যান্ড। আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউও নিয়েছিল কিউইরা। কিন্তু ব্যর্থ হয় রিভিউ। বেঁচে যান নাজমুল হোসেন।
খেলছেন মাহমুদউল্লাহ ও নাহিদ রানা
বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন। সৌম্য সরকারের জায়গায় দলে ঢুকেছেন মাহমুদউল্লাহ। পেসার তানজিম হাসানের বদলে নাহিদ রানা। ওপেন করবেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন।
নিউজিল্যান্ড দলেও দুটি পরিবর্তন। নাথান স্মিথের জায়গায় এসেছেন কাইল জেমিসন। অসুস্থ ডেরিল মিচেলের পরিবর্তে খেলছেন রাচিন রবীন্দ্র।
বাংলাদেশ দল
তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও মোস্তাফিজুর রহমান।
নিউজিল্যান্ড দল
উইল ইয়াং, ডেভন কনওয়ে, কেইন উইলিয়ামসন, রাচিন রবীন্দ্র, টম ল্যাথাম, গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), কাইল জেমিসন, ম্যাট হেনরি ও উইল ও’রুর্ক।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাঁচামরার ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিং পেয়েছে বাংলাদেশ।
টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার কারণ হিসেবে মিচেল স্যান্টনার বলেছেন, পিন্ডির এই মাঠে রাতে শিশির পড়তে পারে। বোঝাই যাচ্ছে, শিশির পড়লে বোলারদের বল গ্রিপ করতে সমস্যা হয় বলে ঝুঁকিটা নেননি তিনি।
টসে জিতলে তিনিও প্রথমে বোলিং করতেন বলে জানিয়েছেন নাজমুল হোসেন।
বাংলাদেশ এই ম্যাচে হারলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেবে। একই সঙ্গে শেষ হয়ে যাবে পাকিস্তানের সেমিফাইনাল খেলার ক্ষীণ সম্ভাবনাও। সেমিফাইনালে উঠে যাবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড।
চ্যাম্পিয়নস লিগে দুই দলের একমাত্র দেখায় জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে কার্ডিফে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বৈশ্বিক আসরে প্রথম ও সর্বশেষবার সেমিফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। ২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ২২৪ রানের জুটি গড়েন সাকিব আল হাসান (১১৪) ও মাহমুদউল্লাহ (১০২*)।
বাংলাদেশ কি আজ সেই ম্যাচের পুনরাবৃত্তি করতে পারবে?
সৌম্য সরকারের বদলে তানজিদ হাসানের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান।