ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাজে কাটলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আত্মবিশ্বাসী আদিল রশিদ
৫০ ওভারের বিশ্বকাপে ইতিহাসের অন্যতম বাজে পারফরম্যান্স করলেও ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী আদিল রশিদ। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মানসিকতা তাঁদের আছে বলেও মনে করেন টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ (১০৭) উইকেটশিকারি এ লেগ স্পিনার।
সীমিত ওভারের দুই সংস্করণেরই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সর্বশেষ ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু শিরোপা ডিফেন্ড করতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে তারা। ৯ ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ড জেতে মাত্র ৩টি ম্যাচ, এর মধ্যে দুটিই আবার আসে বিদায় নিশ্চিত হওয়ার পর।
তবে ভারতের বিশ্বকাপের পারফরম্যান্সের কোনো প্রভাব আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে থাকবে না বলে মনে করেন রশিদ। বার্মিংহামে ইসিবির টেপ-টেনিস বলের টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘৫০ ওভারের বিশ্বকাপ একেবারেই আলাদা একটি সংস্করণ। আমাদের পথচলা বাজে ছিল। ব্যাপারটা এমনই। টুর্নামেন্টটা আমাদের ভালো যায়নি। আমরা ভালো খেলিনি—ব্যাটিংয়ে, বোলিংয়ে, দল হিসেবে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটা সংস্করণ, যেটিতে আমরা এ মুহূর্তে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।’
শিরোপা জয়ের ব্যাপারেও আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ডের হয়ে চারটি বিশ্বকাপ খেলা রশিদ, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমাদের এমন দল আছে, মানসিকতা আছে, খেলোয়াড় আছে, অভিজ্ঞতা আছে। আমরা যদি এ বিশ্বাস নিয়ে যাই, তাহলে আমার মনে হয়—আশা করি, শেষ পর্যন্ত যেতে পারব। আমাদের বাজে একটা বিশ্বকাপ গেছে—এভাবে ভাবছি না। কারণ, সংস্করণটা আলাদা। এটা ৫০ ওভার, টি-টোয়েন্টি না। দুটি গুলিয়ে না ফেলার চেষ্টা করি আমরা।’
এরপর রশিদ আরও বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়নদের মতো মানসিকতা আছে। অতীতে কী হয়েছে, তা নিয়ে ভাবছি না। বাজে বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি না। কেউ ফর্মে নেই, তা নিয়েও ভাবছি না। কারণ, সবকিছু দ্রুত বদলে যেতে পারে টুর্নামেন্টে অথবা প্রথম ম্যাচেই। তার আগপর্যন্ত হয়তো আমরা ভালো না-ও খেলতে পারি, কিন্তু টুর্নামেন্ট এলেই সবাই এগিয়ে আসে। দল এগিয়ে আসে। “সুইচ অন” করে এবং বিশ্বকাপ জেতে।’
গত ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে থাকা রশিদ মনে করেন, ৫০ ওভারের চেয়ে ২০ ওভারের সংস্করণে আরও খোলামেলা ক্রিকেট খেলতে পারবেন তাঁরা, ‘৫০ ওভারের ম্যাচ বেশ লম্বা—চিন্তাভাবনায়, একটু বেশি কৌশলগত দিক দিয়ে। বেশি পরিকল্পনা থাকে সেখানে। (অন্যদিকে) টি-টোয়েন্টি দ্রুতগতির। একটা পর্যায় পর্যন্ত পরিকল্পনা করতে হয়, তবে তেমন না। কারণ, মাঠে নেমে আপনার নিজেকে মেলে ধরতে হবে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বেশি পরিকল্পনা করলে আপনি হয়তো ১৮০ বা ১৭০-এ আটকে যাবেন। কিন্তু মুক্তভাবে খেললে ২৫০ বা ৩০০ রানও পেতে পারেন।’
বিশ্বকাপের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণার শেষ দিন আগামী ১ মে। আগামী সপ্তাহের শুরুতেই সে দল ঘোষণা করতে পারে ইংল্যান্ড।