‘আইপিএলে ৬০০-৭০০ ক্যাচ পড়েছে’

আইপিএলে ক্যাচ ফসকাচ্ছে প্রায় প্রতি ম্যাচেইআইপিএল

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে শেষ ওভারে পাঞ্জাব কিংসের দরকার ছিল ২৯ রান। শশাঙ্ক সিং আর আশুতোষ শর্মা মিলে জয়দেব উনাদকাটের ৬ বল থেকে তুলে ফেলেন ২৬ রান। হায়দরাবাদ জেতে মাত্র ২ রানে। অথচ ম্যাচটা উনাদকাটের দল আরও বড় ব্যবধানেই জিততে পারত, যদি ফিল্ডাররা বল না ফসকাতেন। উনাদকাটের শেষ ওভারে যে তিনটি ছয় হয়েছে, এর দুটিই ছিল হাত ফসকে বাউন্ডারি পার হওয়া। ওই ওভারেই ক্যাচ পড়েছে মোট ৩টি। আর দুই দল মিলিয়ে পুরো ম্যাচে ক্যাচ মিসের সংখ্যা ৭!

শুধু কাল রাতের পাঞ্জাব–হায়দরাবাদ ম্যাচই নয়, বল হাত ফসকে যাচ্ছে এবারের আইপিএলের প্রতিটি ম্যাচেই। নভজোত সিং সিধুর মতে, সংখ্যাটা এরই মধ্যে ৭০–এর কাছাকাছি। ভারতের আরেক সাবেক ক্রিকেটার, দুর্দান্ত সব ক্যাচের জন্য যাঁর খ্যাতি আছে, সেই মোহাম্মদ কাইফ দিলেন আরও উদ্বেগজনক পরিসংখ্যান। আইপিএলে গত কয়েক বছরের মধ্যেই নাকি ৬০০–৭০০ ক্যাচ পড়েছে।

পাঞ্জাব–হায়দরাবাদ ম্যাচের বিশ্লেষণে স্টার স্পোর্টসে ক্যাচিং নিয়ে কথা বলেন নভজোত ও কাইফ। এবারের আসরে এখন পর্যন্ত ৬৬–৬৭টি ক্যাচ পড়েছে উল্লেখ করে সাবেক এই ক্রিকেটার দায় দিয়েছেন ফিল্ডারদের, ‘ক্যাচ ম্যাচ জেতায়। কিন্তু খেলোয়াড়েরা ফিল্ডিং উপভোগ করে না। হয় তাদের হাতে তেল দেওয়া থাকে, নয়তো চামড়ায় অ্যালার্জি আছে। ফিল্ডিং উপভোগ না করলে ক্যাচ নেওয়া যায় না।’

মোহাম্মদ কাইফ
এক্স

একই সুরে কথা বলেছেন সাবেক ক্রিকেটার কাইফও। এবারের আইপিএলে বিশ্লেষকের ভূমিকায় থাকা এই সাবেক ক্রিকেটারের দিল্লি ক্যাপিটালস ও গুজরাট লায়নসে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে।

খেলোয়াড়দের কাছ থেকে দেখার সুবাদে ফিল্ডিং নিয়ে খেলোয়াড়দের উদাসীনতার অভিযোগ এনেছেন তিনি, ‘আইপিএলে খেলোয়াড়েরা ফিল্ডিংয়ে সময় দিতে চায় না। তারা অজুহাত দেখিয়ে ফিল্ডিং সেশন থেকে দূরে থাকে। এই লিগে গত পাঁচ বছরেই ৬০০–৭০০ ক্যাচ পড়েছে। খেলোয়াড়দের দেখি ব্যাটিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দেয়, বোলিংয়েও সময় দেয়। কিন্তু ফিল্ডিংয়ে ডাকলেই অজুহাত দেখায়।’

আরও পড়ুন

ভারতের হয়ে ১৩ টেস্ট ও ১২৫ ওয়ানডে খেলা কাইফ এ ক্ষেত্রে কোচদেরও দায় দেখেন, ‘ফিল্ডিং উপভোগ্য করে তোলার দায়িত্বটা কোচদের। কেউ একজন কয়েক ঘণ্টা ব্যাটিং বা বোলিং করার পর আমরা কোচরা তাদের রুমে ফিরে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ দিই। তারাও ফিল্ডিং এড়াতে খুশিমনে চলে যায়।’